Cvoice24.com

মামলা থেকে রেহাই পেয়ে কুতুবদিয়ার মেয়েকে রাউজানে এনে খুন, গ্রেপ্তার তিন

রাউজান প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ১৮:৪২, ১১ জানুয়ারি ২০২২
মামলা থেকে রেহাই পেয়ে কুতুবদিয়ার মেয়েকে রাউজানে এনে খুন, গ্রেপ্তার তিন

রাউজানে নারী হত্যার অভিযোগে গ্রেপ্তার তিন যুবক

চট্টগ্রামের রাউজানে সড়কের পাশে পাওয়া অজ্ঞাত সেই নারীর লাশের পরিচয় মিলেছে।একইসঙ্গে রহস্য উদঘাটন করে ওই নারীকে হত্যায় জড়িত তিনজনকে গ্রেপ্তার করে আদালতে পাঠিয়েছে পুলিশ।

পুলিশ জানিয়েছে, ওই নারীর নাম আমেনা বেগম হলেও রাহি বা  শারমিন নামেও চিনতো মানুষ। তিনি কক্সবাজার জেলার কুতুবদিয়া পাড়ার নুর হোসেনের মেয়ে। ভিকটিমের সাথে নিজ পাড়ার নুরুল ইসলাম প্রকাশ বাদশার সাথে শারমিনের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। বিয়ের প্রলোভনে শারীরিক সম্পর্কে জড়িয়ে পড়লে তিনি গর্ভবর্তী হয়ে পড়লে বিয়ের প্রতিশ্রুতিতে শারমিনকে গর্ভপাত ঘটাতে বাধ্য করে। এই পরিস্থিতিতে ভিকটিম ও তার পরিবার নুরুল ইসলামের বিরুদ্ধে জোড়পূর্বক গর্ভপাত ঘটানোর অভিযোগ করে  ১৯ সালের ১১ নভেম্বর  কক্সবাজার সদর থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে মামলা করে। ওই মামলায় নুরুল ইসলাম গ্রেপ্তার হয়ে কারাভোগ করে। জেল থেকে জামিনে এসে নুরুল ইসলাম শারমিন ও তার পরিবারকে বশে এনে মামলা প্রত্যাহার করে নিতে চাপ দেয়। কৌশলের আশ্রয় নিয়ে বিয়ে করার আগ্রহ প্রকাশ করলে ভিকটিম মামলা প্রত্যাহার করে। মামলা থেকে অব্যাহতি পেয়ে নুরুল ইসলাম শারমিনকে হত্যার কৌশল নেয়।

আবারও বিয়ের প্রস্তাবে শারমিনকে গত ১১ নভেম্বর কক্সবাজার থেকে চট্টগ্রাম শহরে এনে লালদীঘির পাড়ে একটি হোটেল রাখে। এখানে তাকে রেখে নুরুল ইসলাম খুনের পরিকল্পনার করে সহযোগিতার জন্য যোগাযোগ করে তার পূর্ব পরিচিত লালখান বাজারের বসবাসকারী ভোলা জেলার  মনপুরা উপজেলার মৃত গোলাম হোসেনের ছেলে আকতার হোসেন (৩৫) ও রাউজানের জিয়াবাজার এলাকায় বসবাসকারী নোয়াখালীর হাতিয়া বাজারের রাশেদ মিয়ার পুত্র টেক্সি চালক মেহেরাজ প্রকাশ মিরাজ (২৩) এর সাথে। তিনজনের পরিকল্পনা অনুসারে গত ১৮ নভেম্বর হোটেল থেকে শারমিনকে নিয়ে টেক্সিতে করে কাপ্তাই, রাঙ্গুনিয়ার বিভিন্ন স্পটে বেড়াতে বের হয়। এভাবে ঘুরে বেড়ানোর ফাঁকে ১৯ নভেম্বর তারা শহরে ফিরে যাওয়ার আগে সুযোগ খুজে শারমিনকে হত্যা করার। তারা কাপ্তাই রোড ধরে শহরের দিকে এগুনোকালে রাউজানের পাহাড়তলী এলাকায় নিরিবিলি জায়গায় এসে তিনজন শারমিনকে প্রথমে গলা চেপে ধরে। পরে গলায় ওড়না পেচিঁয়ে হত্যা করে গাড়ির ভিতর। এর পরে গাড়িটি নোয়াপাড়া পথেরহাট থেকে উত্তরমুখি রাউজান-নোয়াপাড়া সেকশন -২ পথের প্রায় চার কিলোমিটার ভিতরে গিয়ে নিরিবিলি স্থানে লাশটি ফেলে চলে যায়।

রাউজান থানার আবদুল্লাহ আল হারুন হত্যাকাণ্ডের ঘটনার বর্ণনা দিয়ে জানান, আসামিদের জিজ্ঞাসাবাদে এসব তথ্য পাওয়া গেছে। তিনি আশা করছেন আদালতে জবানবন্দিতে একই ধরনের স্বীকারোক্তি দেবেন তারা।

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়