Cvoice24.com

ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং/
নির্মাণের দুমাসেই ভেঙে গেল কুমিরা জেটি ঘাট, সন্দ্বীপের যাত্রীদের ভোগান্তি

সিভয়েস প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ১৮:৪৫, ২৫ অক্টোবর ২০২২
নির্মাণের দুমাসেই ভেঙে গেল কুমিরা জেটি ঘাট, সন্দ্বীপের যাত্রীদের ভোগান্তি

সীতাকুণ্ডের কুমিরা-সন্দ্বীপ নৌপথে নির্মিত জেটি ভেঙে পানিতে পড়ে যায়।

গত দুমাস আগেই শেষ হয়েছিল সীতাকুণ্ডের কুমিরা-সন্দ্বীপ নৌপথে বিকল্প জেটি নির্মাণ কাজ। এটি বানাতে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিইউটিএ) ব্যয় করেছিল প্রায় ৪০ লাখ টাকা। কিন্তু ৪০ লাখ টাকা ব্যয়ে নির্মাণকৃত সেই জেটিটি ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং এর প্রভাবে ভেঙে পড়েছে। পাশাপাশি যাত্রী ওঠানামার সুবিধার্থে জেটির পাশে ইজারাদারদের নির্মিত ভ্রাম্যমাণ ব্রিজের সামনের অংশ ভেঙে পড়ায় ভোগাান্তিতে পড়েছেন যাত্রীরা। 

সোমবার সন্ধ্যা ৬টায় চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ২৭৫ কিলোমিটার দক্ষিণপশ্চিমে অবস্থান করেছিল ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং। চট্টগ্রামের উপকলীয় এলাকাগুলোতে প্রবল ঝড়ো হাওয়ার সঙ্গে বৃষ্টি হয়। এছাড়া চট্টগ্রামের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরগুলোতে স্বাভাবিক জোয়ার থেকে ৫ থেকে ৮ ফুট উঁচু জলোচ্ছ্বাস হয়। এর প্রভাবে জেটি ও ব্রিজ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। 

কুমিরা ঘাট দিয়ে প্রতিদিন তিন থেকে চারশ মানুষ পারাপার হয়। জেটি ও ব্রিজের ক্ষতি হওয়ায় ঘাট পার হতে গিয়ে মানুষ রীতিমত ভোগান্তিতে পড়ছেন। তবে আগামী দু তিনদিনের মধ্যে লোহার ব্রিজটি মেরামত করা হবে বলে জানিয়েছেন ইজারাদাররা। 

জানা গেছে, গত ১৩ মে কুমিরা-গুপ্তছড়া নৌপথের কুমিরা অংশের জেটির সিঁড়ি ভেঙে সাগরে পড়ে যায়। পাশাপাশি জেটির পশ্চিমাংশের ৩৬টি পিলারের নিচের মাটি সরে গিয়ে সেটিও ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়ে। ফলে দুর্ঘটনা এড়াতে ঝুঁকিপূর্ণ জেটিতে যাত্রী চলাচলের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের পাশাপাশি জেটির প্রবেশদ্বার বন্ধ করে দেওয়া হয়। প্রায় ১০০ ফুট দৈর্ঘ্য ও ৬ ফুট প্রস্থ এই জেটির কাজ শুরু হয় গত ১৮ মে। দশদিনের মধ্যে কাজও শেষ করার আশ্বাস দিয়েছিল বিআইডব্লিউটিএ। তবে সাগরে জোয়ার থাকায় কাজ করতে গিয়ে বেগ পেতে হয় বিআইডব্লিউটিএ সংশ্লিষ্টদের। এটি নির্মাণে ব্যয় হয়েছিল প্রায় ৪০ লাখ টাকা। জেটির পাশে যাত্রীদের স্পিডবোট থেকে ওঠানামার সুবিধার্থে লোহার তৈরি ভ্রাম্যমাণ ব্রিজ তৈরি করে ইজারাদাররা।

কুমিরাঘাটের সুপারভাইজার মো. কাউছার সিভয়েসকে বলেন, দুমাস আগে জেটির কাজ শেষ করা হয়েছিল। ৪০ লাখ টাকা ব্যয়ে এটি নির্মিত হলেও টেকসই হয়নি। ফলে প্রবল স্রোতের আঘাতে জেটিটি ভেঙে পড়ে। বিআইডব্লিউটিএর প্রকৌশলীরা যদি ইজারাদারদের সাথে আলোচনা করতো তাহলে ভালো ধারণা পেতেন তারা। এটি আরো টেকসই হতো। পাশাপাশি যাত্রী ওঠানামার সুবিধার্থে লোহার তৈরি ভ্রাম্যমাণ ব্রিজ তৈরি করা হয়। সেটিও ভেঙে গেছে। যাত্রীরা এতে ভোগান্তিতেও পড়েছেন। 

এবিষয়ে জানতে বিআইডব্লিউটিএর নির্বাহী প্রকৌশলী আশরাফুজ্জামানের মুঠোফোনে কল করলেও তিনি ধরেননি।

সম্পর্কিত বিষয়:

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়