Cvoice24.com

বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় মেয়র হলেন আ.লীগের জোবায়ের

সাতকানিয়া প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ২১:৫১, ২৬ জানুয়ারি ২০২১
বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় মেয়র হলেন আ.লীগের জোবায়ের

মোহাম্মদ জোবায়ের

সাতকানিয়া পৌরসভা নির্বাচনে মনোনয়ন প্রত্যাহারের শেষ দিন মঙ্গলবার (২৬ জানুয়ারি) বিএনপি মনোনীত প্রার্থী এজেডএম মঈনুল হক চৌধুরী খোকন মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেছেন। এতে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী দক্ষিণ জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি মোহাম্মদ জোবায়ের বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় মেয়র নির্বাচিত হয়েছেন।

গত নির্বাচনে বিএনপির প্রার্থী হাজী রফিকুল আলমকে হারিয়ে তিনি মেয়র নির্বাচিত হলেও এবার বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় মেয়র নির্বাচিত হচ্ছেন।

জেলা সিনিয়র নির্বাচন কর্মকর্তা ও সাতকানিয়া পৌরসভা নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা আতাউর রহমান আজ মঙ্গলবার তাঁকে বেসরকারিভাবে মেয়র পদে নির্বাচিত ঘোষণা করেন। তিনি বলেন, সাতকানিয়া পৌরসভা নির্বাচনে মেয়র পদে দুজন মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছিলেন। আজ মঙ্গলবার প্রত্যাহারের শেষ দিনে এজেডএম মঈনুল হক চৌধুরী মনোনয়পত্র প্রত্যাহার করে নিয়েছেন। এই পদে আর কোন প্রার্থী না থাকায় বেসরকারিভাবে  মোহাম্মদ জোবায়েরকে নির্বাচিত ঘোষণা করা হয়েছে।
 
এদিকে বিএনপি প্রার্থী এজেডএম মঈনুুল হক চৌধুরী প্রার্থিতা প্রত্যাহার করে নেয়ায় ক্ষোভ জানিয়েছেন পৌর বিএনপিসহ দক্ষিণ জেলা বিএনপি’র তৃণমূল নেতা কর্মীরা।

বিএনপি’র তৃণমূল নেতাকর্মীরা বলছেন, বিএনপিকে বিক্রি করে নিজের আখের গুছানোর জন্য কেন্দ্রীয় নেতারা এলডিপি নেতা খোকনের কাছে থেকে অনৈতিক সুবিধা নিয়ে বিএনপি’র মেয়র প্রার্থী করেছেন। আমরা প্রথম থেকে বলেছি তিনি বিএনপি’র কোন নেতা কিংবা কর্মী নন। তিনি সরকার দলীয় প্রার্থীর সাথে গোপন আতাঁত করে দলকে বিক্রি করতে প্রার্থী হয়েছে। তার প্রার্থিতা প্রত্যাহারে আমাদের এ বক্তব্যের প্রতিফলন ঘটেছে। আমরা বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপারসন তারেক রহমান ও মহাসচিব মীর্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের কাছে এলডিপি নেতা খোকনের নিকট হতে অনৈতিক সুবিধা নিয়ে বিএনপি’র দলীয় প্রার্থী করার সাথে জড়িতদের ব্যবস্থা গ্রহণের অনুরোধ জানান। 

এ ব্যাপারে সাতকানিয়া পৌরসভা নির্বাচনের বিএনপি’র মনোনয়ন প্রত্যাশী দক্ষিণ জেলা বিএনপি’র আহ্বায়ক কমিটির সদস্য ও সাবেক কাউন্সিলর নবাব মিয়া বলেন, আমরা আগে বলেছি বিএনপি থেকে মনোনয়ন দেয়া ব্যক্তি বিএনপি’র কোন লোক নয়। তিনি দল বিক্রি করার জন্য প্রার্থী হয়েছেন। তাছাড়া দীর্ঘদিন ধরে তিনি বিএনপি’র কোন মিছিল কিংবা দলীয় সভা সমাবেশে অংশগ্রহণে বিরত রয়েছেন। তিনি দলীয় কর্মসূচীর বাস্তবায়নে কোন সহযোগিতাও করেননি। বিগত ২০১৬ সাথে কর্নেল অলি আহমদের হাতে ফুল দিয়ে এলডিপিতে যোগদান করেন। এমন লোককে বিএনপি থেকে মনোনয়ন দেয়া সত্যিই দুঃখজনক যেহেতু তিনি এলডিপি’র লোক সেকারণে বিএনপি’র প্রতি তার কোন ধরনের দরদ থাকার কথা নয়। আজ তাই হয়েছে তিনি মোটা অংকের অর্থের বিনিময়ে মাঠ ছেড়ে নিজের প্রার্থিতা প্রত্যাহার করেছেন। তিনি এতদিন সরকার দলের সাথে প্রতিদ্বন্দ্বিতার করার নামে নাটক মঞ্চস্থ করেছেন।

-সিভয়েস/জেডএইচ

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়