Cvoice24.com

সাতকানিয়ায় দগ্ধ চারজন শেখ হাসিনা বার্ন ইউনিটে

সিভয়েস প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ২১:৩৬, ৯ জুলাই ২০২১
সাতকানিয়ায় দগ্ধ চারজন শেখ হাসিনা বার্ন ইউনিটে

সাতকানিয়ায় সিলিন্ডারের আগুনে দগ্ধ চারজন

সাতকানিয়ায় গ্যাস সিলিন্ডার থেকে লাগা আগুনে দগ্ধ চারজনকে ঢাকা মেডিকেলের শেখ হাসিনা বার্ন এন্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইন্সটিটিউটে ভর্তি করা হয়েছে। শুক্রবার রাতেই উন্নতর চিকিৎসার জন্য তাদের চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে ঢাকা পাঠানো হয়।

ঢাকায় পাঠানো দগ্ধরা হলেন— সৈয়দ আহমদের মেয়ে খালেদা বেগম (৪২),  তার ছেলে মো. শাহনেওয়াজ (২৪), মৃত আবদুস শুক্কুরের ছেলে মো. হেলাল উদ্দিন (৩৬) এবং অগ্নিকাণ্ডের খবর শুনে উদ্ধার করতে যাওয়া চরপাড়ার মৃত আলী আহমদের ছেলে মো. দেলোয়ার হোসেন (৫০)। তারা হাসপাতালের ১১৫ ও ১১৬ নম্বর ওয়ার্ডে ভর্তি আছেন।

এছাড়া সৈয়দ আহমদের মেয়ে খালেদা বেগমের স্বামী শাহ আলম চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন। আর দুর্ঘটনার সূত্রপাত হওয়া বাড়ির মালিক সৈয়দ আহমদ সাতকানিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে বাড়ি ফিরেছেন।

আহতদের সঙ্গে ঢাকায় যাওয়া মো. দেলোয়ার হোসেনের ছেলে ওমর ফারুক বিষয়টি সিভয়েসকে নিশ্চিত করে বলেন, ‘ঘটনার পর মধ্যরাতেই চট্টগ্রাম মেডিকেল থেকে আমরা ঢাকায় রওনা দেই। সকাল সাড়ে সাতটার মধ্যে আমরা চার রোগীকে নিয়ে ঢাকায় পৌঁছেছি। তারা শেখ হাসিনা বার্ন ইউনিটে চিকিৎসাধীন রয়েছে।’

এদিকে সাতকানিয়া পৌরসভার প্যানেল মেয়র সাইফুল আলম সোহেলও একই তথ্য জানিয়েছেন। তিনি বলেন, রাতেই উন্নতর চিকিৎসার জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে ঢাকায় পাঠানো হচ্ছে। আহতদের স্থানীয়ভাবে আমরা সবাই সহযোগিতা করছি। তাদের সঙ্গে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রেখেছি। এছাড়াও উপজেলা প্রশাসনের পক্ষে দুর্ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা নেওয়া হয়েছে। তাদের সরকারি সহযোগিতা করা হবে।

এরআগে গতকাল বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে দশটার দিকে পৌরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ড মনটানা ক্লাবের পিছনে চরপাড়ায় স্থানীয় সৈয়দ আহমদের বাড়িতে আনা নতুন গ্যাস সিলিন্ডার লাগাতে গিয়ে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। এতে সৈয়দ আহমদ, তার মেয়ে, মেয়ের জামাই ও নাতি এবং উদ্ধার করতে যাওয়া একজনসহ মোট ৬ জন অগ্নিদগদ্ধ হন। ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট স্থানীয়দের সহযোগিতায় আগুন নিয়ন্ত্রণে এনে প্রথমে তাদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠায় পরে তাদের সেখান থেকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়ে দেওয়া হয়।

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়