Cvoice24.com

জনপ্রতিনিধিদের কাছে ধর্ণা দিয়েও লাভ হয়নি, বিধ্বস্ত সড়ক সারাল এলাকাবাসী

সাতকানিয়া প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ২০:১২, ১৪ জুলাই ২০২১
জনপ্রতিনিধিদের কাছে ধর্ণা দিয়েও লাভ হয়নি, বিধ্বস্ত সড়ক সারাল এলাকাবাসী

সাতকানিয়া উপজেলার কালিয়াইশ ইউনিয়নের কাটগড় সীমান্ত থেকে বাজালিয়া বুড়ির দোকান পর্যন্ত মুক্তিযোদ্ধা এম.ফজল করিম সড়কটি দীর্ঘদিন ধরে পড়েছিল বিধ্বস্ত অবস্থায়। স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের কাছে বহু দেনদরবার করেও কোন সুরাহা হয়নি। অবস্থাটা এমন এ সড়কের যেন কোন কর্তৃপক্ষই নেই। কাটগড় বিওসি’র মোড় এলাকা থেকে শুরু করে শেষ প্রান্ত পর্যন্ত চলছে শুধু জবর দখলের প্রতিযোগিতা। অথচ কালিয়াইশ ইউনিয়নসহ চারটি ইউনিয়নের প্রায় লাখ মানুষের চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কে যোগাযোগের একমাত্র মাধ্যম হিসেবে অত্যাধিক গুরুত্ব বহন করে এ সড়কটি। 

তাছাড়া পার্বত্য জেলা বান্দরবানের সঙ্গে যোগাযোগের ক্ষেত্রে দ্বি-বিকল্প সড়ক হিসেবেও এ সড়কের গুরুত্ব অনস্বীকার্য। তারপরও দীর্ঘদিন ধরে এ সড়কের উত্তর কালিয়াইশ ৫ নম্বর ওয়ার্ড অংশে বিধ্বস্ত হয়ে থাকায় যাতায়াতকারীদের দুর্ভোগ চরম আকার ধারণ করে। এ পর্যন্ত নির্বাচিত ও অনির্বাচিত জনপ্রতিনিধিরা নিজেদের স্বার্থে মুক্তিযোদ্ধা এম. ফজল করিম সড়কের নাম ফলক স্বর্বস্ব উন্নয়ন কাজ উদ্বোধন করেছেন পাঁচবার। বাস্তবিকপক্ষে কাজের কাজ কিছুই হয়নি। জনসাধারনের দুর্ভোগ কিঞ্চিত পরিমাণও কমেনি। নাম ফলক লাগিয়ে যতবার উন্নয়ন কাজ উদ্বোধন করা হয়েছে তার সামান্য পরিমাণ কাজও যদি হতো তাহলে প্রায় ৮ কিলোমিটার দীর্ঘ সড়কের কোথাও কোন ভাঙ্গা থাকত না বলে জানিয়েছে এলাকাবাসী।

জনপ্রতিনিধিরা নিজেদের হীন স্বার্থে একই সড়ককে ভিন্ন ভিন্ন নামে পাঁচবার উন্নয়ন কাজ উদ্বোধন করেছেন। আজ বুধবার এলাকাবাসী সকাল ১০টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত টানা মেরামত কাজ করেছে। এ সড়কের উত্তর কালিয়াইশ অংশে তিন স্থানের বিশালাকৃতির গর্ত এলাকাবাসী নিজেদের অর্থে ইট, বালি ও সুরকি দিয়ে ভরাট করে চলাচল উপযোগী করেছে। 

সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, এলাকার লোকজন ছোট, বড় ও আবাল বৃদ্ধ সকলে মিলে একসাথে সড়ক মেরামতের কাজে লেগে গেছে। কেউ বালি ভর্তি করছে, কেউ ইট বিছানোর কাজ করছে আবার কেউ ইট ভাঙ্গার কাজ করছে। যারা ভারি কাজ করতে অক্ষম তারা মেরামত কাজে নিয়োজিতদের পানীয় জল কিংবা নাস্তা সরবরাহ করছে। 

মেরামত কাজের সমন্বয়কারী প্রবাসী আমিনুল ইসলাম বলেন, দীর্ঘ কয়েক বছর এ সড়ক বিধ্বস্ত অবস্থায় পড়ে থাকলেও দেখার যেন কেউ নেই। আমাদের দূর্ভোগের সীমা ছাড়িয়ে গেছে। বহু দেন দরবার করেছি। জনপ্রতিনিধি, এমপি ও মন্ত্রীর দূয়ারে দূয়ারে বহু ধর্ণা দিয়ে কোন লাভ হয়নি। অবশেষে নিজেদের কষ্ট নিজেরাই লাঘব করতে এ উদ্যোগ নিয়েছি।   

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়