Cvoice24.com

সাতকানিয়ায় মুরগির খামারের বিষ্ঠার গন্ধে অতিষ্ঠ এলাকাবাসী

সাতকানিয়া প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ১৮:২২, ১৫ আগস্ট ২০২২
সাতকানিয়ায় মুরগির খামারের বিষ্ঠার গন্ধে অতিষ্ঠ এলাকাবাসী

চট্টগ্রামের সাতকানিয়া নলুয়ার মরফলা এলাকায় মুরগির খামারের বিষ্ঠার দুর্গন্ধে অতিষ্ঠ এলাকাবাসী। অভিযোগ উঠেছে, নীতিমালা উপেক্ষা করে গ্রামের ঘনবসতিপূর্ণ এলাকায় খামারটি স্থাপন করা হয়েছে। এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছে গ্রামবাসী।

অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, মরফলা ৮ নম্বর ওয়ার্ড এলাকায় মো. ইলিয়াছ নামে এক ব্যক্তি খামারটি গড়ে তুলেছেন। প্রধান সড়কের দুপাশ ধরে দীর্ঘদিন ধরে মুরগির খামার স্থাপন করায় বিষঠার গন্ধে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে এলাকাবাসী। ওই সড়কটি মরফলা এলাকার প্রধান সড়ক হওয়ার কারণে বিকল্প পথে যাতায়াতের কোন সুযোগও নেই। বাধ্য হয়েই নলুয়া ইউনিয়নের বাসিন্দাসহ পার্শ্ববর্তী ঢেমশা ও পশ্চিম ঢেমশা ইউনিয়নের প্রায় অর্ধলাখ মানুষকে  সহজ যাতায়াত হিসেবে এ সড়ক ব্যবহার করতে হয়। তাছাড়া এ সড়কের পাশেই স্থাপিত হয়েছে নলুয়া ইউনিয়ন পরিষদ এবং মরফলা বাজার। ফলে ইউপিতে জরুরি কাজ সম্পাদন ও নিত্য প্রয়োজনীয় সওদা করতে নলুয়াবাসীর বাধ্য হয়ে এ সড়ক দিয়ে চলাচল করতে হয়। এ সড়কে রয়েছে মরফলা কমিনিউটি ক্লিনিক। যেখানে অধিকাংশ সময় গর্ভবতী মহিলাসহ দুগ্ধপোষ্য বাচ্চাদের চিকিৎসার জন্য আনা হয়। এ সড়কে রয়েছে মরফলা আরএমএন উচ্চ বিদ্যালয়, মরফরা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, নুরানী মাদ্রাসা ও হেফজখানাসহ মরফলা শাহী জামে মসজিদ। এসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কোমলমতি শিক্ষার্থীরা অস্বাস্থ্যকর পরিবেশের মধ্যদিয়ে যাওয়া আসা করে। মুরগী খামারের এ দুর্গন্ধ শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্য ঝুঁকি বাড়াচ্ছে। অপরদিকে মসজিদের নিয়মিত মুসল্লিরা পড়েছেন বিপাকে। বিষয়টি এলাকাবাসী সম্মিলিতভাবে খামারের মালিক মো. ইলিয়াছকে সড়কের পাশের লোকালয় থেকে খামার দূরে সরিয়ে নেয়ার অনুরোধ করলে তিনি উল্টো এলাকাবাসীকে হুমকিসহ বিভিন্ন ভয়ভীতি প্রদর্শন করেন বলে অভিযোগ করেন। 

এলাকার বেশ কয়েকজন অভিভাবক অভিযোগ করে বলেন, এ মুরগী ফার্মের দুর্গন্ধের কারণে আমাদের ছেলে মেয়েদের স্কুলে পাঠানো যাচ্ছে না। তারা আরো বলেন, স্কুলের সময় হলে তারা বাড়ি থেকে গা ঢাকা দেয়। শুধুমাত্র দুর্গন্ধের কারণে এ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। সড়কের দু’পাশ থেকে মুরগীর খামার অপসারণ পূর্বক দূষনমুক্ত পরিবেশের দাবিতে এলাকাবাসী সম্মিলিতভাবে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে লিখিত অভিযোগ করেছে।

খামারের মালিক মো. ইলিয়াছের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আমি দীর্ঘ ৫ বছর ধরে এ স্থানে মুরগীর ফার্ম করে আসছি। কোন সময় কেউ পরিবেশ দূষণের অভিযোগ করেনি। এলাকার একটি কুচক্রী মহল আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছে। তাছাড়া বর্তমানে আমার ফার্মে কোন মুরগি নেই, সব বিক্রি করে দেওয়া হয়েছে।

সাতকানিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফাতেমা তুজ জোহরা বলেন, অভিযোগের বিষয়টি আমরা সরেজমিনে তদন্ত করে সত্যতা পাওয়া গেলে ব্যবস্থা নেব।

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়