সাতকানিয়ায় সিএনজি চালকদের পকেট কাটছে ‘চাঁদাবাজ’ চক্র

চট্টগ্রামের সাতকানিয়ায় সিএনজি সমিতির নাম ভাঙিয়ে চাঁদাবাজি করছে একটি চক্র। সমিতির নাম দিয়ে সিএনজি চালকদের লাখ লাখ টাকা পকেট পুরছে চক্রটি। তাদের চাঁদাবাজিতে অতিষ্ঠ হয়ে সিএনজি চালকরা পুলিশ, শ্রম দপ্তর, ট্রেড ইউনিয়নের দ্বারস্থ হলেও এখনো থামেনি তাদের চাঁদাবাজির কর্মযজ্ঞ।

জানা গেছে, চট্টগ্রাম জেলা সমবায় থেকে হযরত কালু শাহ সিএনজি (ফোরস্ট্রোক) চালক বহুমুখী সমবায় সমিতির আওতায় কেরানীহাট থেকে বান্দরবান, বাজালিয়া, ছদাহা ফকির হাট, কাজির পাড়া, হাঙ্গরমুখ,সাতকানিয়া ডলুব্রিজ, কেওচিয়া বণিক পাড়ায় সিএনজি অটোরিকশা চলাচল করে। সম্প্রতি কেরানীহাট-বাজালিয়া সড়ক ও উপ-সড়ক সিএনজি অটো টেম্পো উপ-পরিষদের স্টিকার সাটিয়ে গাড়িতে গাড়িতে চাঁদা আদায় করছে একটি চক্র। তাদের অভিযোগ আব্দসু শুক্কুর, আনোয়ার হোসেন কালু, শফিক আহমদ, মো. জকরিয়া ও আবুল কাসেম মিলে সিন্ডিকেট করে চাঁদাবাজির এই কর্মযজ্ঞ চালাচ্ছে। কোন চালক চাঁদা দিতে অস্বীকৃতি জানালে তাদের শারীরিকভাবে লাঞ্চিতও করছে।বিষয়টি নিয়ে সিএনজি অটোরিকশা চালকদের মাঝে উত্তেজনা বিরাজ করছে। 
 
অভিযুক্ত আনোয়ার হোসেন কালু বলেন, আমি আগে মনির চেয়ারম্যানের গাড়ি চালাতাম। বর্তমানে বান্দরবানের থানচি বলিপাড়া লাইনে পিকআপ চালাচ্ছি। ব্যাংক লোন আর সংসারের ঘানি টানতে মাথার ঘাম পায়ে ফেলতে হচ্ছে। এসব সংগঠন করার সময় কোথায়?  আমি কোন সংগঠনের সাথে জড়িত নই। কোন ধরনের সংগঠনের নাম দিয়ে কারো কাছ থেকে চাঁদাবাজি করিনি। আমার বিরুদ্ধে কেউ যদি অভিযোগ দিয়ে থাকে এটা সম্পূর্ণ মিথ্যা।

অভিযোগকারী আবুল কালাম বলেন, ভূয়া রেজিস্ট্রেশন নম্বর দিয়ে সিএনজি চালকদের কাছ থেকে চাঁদাবাজি করছে চক্রটি। এ নিয়ে শ্রমিকদের মাঝে উত্তেজনা বিরাজ করছে। যে কোন মুর্হুতে বড় ধরনের সংঘর্ষের ঘটনাও ঘটতে পারে।

সাতকানিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ তারেক মোহাম্মদ আব্দুল হান্নান বলেন, সিএনজি অটোরিকশার ভুয়া সমিতির নামে চাঁদা উঠানোর বিষয়ে লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি তদন্ত করার জন্য একজন অফিসারকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। অভিযোগ তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে। তবে আমরা সড়কে কাউকে চাঁদাবাজি করতে দেবনা, চাঁদাবাজির মত অপরাধ করলে কাউকে ছাড় দেয়া হবে না।