Cvoice24.com

এমপি নদভীর শ্যালকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে সুপারিশ

সিভয়েস প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ২০:৪৩, ১৫ মে ২০২৩
এমপি নদভীর শ্যালকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে সুপারিশ

সাতকানিয়ার চরতীতে মোবাইল কোর্টে জব্দকৃত বালু ও এস্কেভেটর চুরির ঘটনায় জিম্মাদার ইউপি চেয়ারম্যান রুহুল্লাহ চৌধুরীকে দায়ী করে প্রতিবেদন দিয়েছে তদন্ত কমিটি। 

বালু নিলাম কমিটির আহ্বায়ক ও উপজেলা সহকারী কমিশনারসহ (ভূমি) পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফাতেমা তুজ জোহরার কাছে এ প্রতিবেদন দাখিল করেন। 

তদন্ত কমিটি দায়িত্বে অবহেলা ও সরকারি সম্পত্তির ক্ষতি করেছে মর্মে জব্দকৃত মালামালের জিম্মাদার উপজেলার চরতী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এমপি নদভীর শ্যালক মো. রুহুল্লাহ চৌধুরীকে দায়ী করে প্রতিবেদনে দাখিল করেন। ইউএনও প্রতিবেদনের সাথে একমত পোষণ করে পরবর্তী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য প্রতিবেদনটি চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসকের কাছে পাঠিয়েছেন। এতে স্থানীয় সরকার বিভাগ চট্টগ্রামের উপ-পরিচালকের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়েছে।

ইউএনও'র কাছে দাখিল করা প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, জব্দকৃত বালু ও এস্কেভেটর নিলামে বিক্রির জন্য ৩ দফায় ২৮ দিন জব্দকৃত বালু স্থান পরিদর্শন করেন বালু নিলাম কমিটির আহ্বায়ক আরাফাত সিদ্দিকীর নেতৃত্বে গঠিত পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটি। পরিদর্শনে কমিটি ২২ মার্চ প্রায় ৪০ লাখ, ১৩ এপ্রিল প্রায় ৩০ লাখ এবং ১৮ এপ্রিল প্রায় ২৫ লাখ ঘনফুট বালু পাওয়া যায় বলে উল্লেখ করেন। তবে মোবাইল কোর্টের জিম্মানামায় প্রায় ৫০ লাখ ঘনফুট বালু ও একটি এস্কেভেটরের কথা উল্লেখ রয়েছে। চুরি হওয়া বালু এক টাকা হারে ২৫ লাখ ঘনফুট বালুর আনুমানিক মূল্য ২৫ লাখ এবং এস্কেভেটরটির মূল্য ১০ লাখ ধরে মোট ৩৫ লাখ টাকা নির্ধারণ করেন।

প্রতিবেদন থেকে আরও জানা যায়, কমিটি সরেজমিন পরিদর্শন ও স্থানীয় লোকজনের সাথে কথা বলে চুরির প্রাথমিক সত্যতা পায়। যদিও জিম্মাদার বিষয়টি মোবাইল কোর্ট বা নিলাম কমিটিকে যথাসময়ে অবহিত করেননি। যা একই সাথে মোবাইল কোর্টের আইনানুগ আদেশ প্রতিপালন না করা এবং তাঁর উপর অর্পিত দায়িত্ব পালনে অবহেলার শামিল বলেও প্রতিবেদনে উল্লেখ রয়েছে। ইতোমধ্যে প্রাপ্ত প্রায় ২৫ লাখ ঘনফুট বালু বিধি মোতাবেক নিলামে দেয়া হয়েছে বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।

এরই প্রেক্ষিতে দাখিলকৃত প্রতিবেদনের সাথে একমত পোষণ করে জব্দকৃত মালামালের জিম্মাদার ও চেয়ারম্যান রুহুল্লাহ চৌধুরীর বিষয়ে প্রতিবেদনে উল্লিখিত বিষয়ে পরবর্তী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য ইউএনও জেলা প্রশাসকের কাছে বালু নিলাম কমিটির দাখিল করা প্রতিবেদনটি পাঠান।

এ বিষয়ে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও বালু নিলাম কমিটির আহ্বায়ক আরাফাত সিদ্দিকী বলেন, স্পটে কি পেয়েছি, কি পেলাম না এ বিষয়ে দাখিলকৃত প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে। এছাড়া এ বিষয়ে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য পানি উন্নয়ন বোর্ড পটিয়া চট্টগ্রামের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলীকে একটি চিঠি দেওয়া হয়েছে।

সাতকানিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ফাতেমা তুজ জোহরা বালু নিলাম কমিটির দাখিলকৃত প্রতিবেদনের সাথে একমত পোষণ করে জেলা প্রশাসনের নিকট প্রতিবেদনটি পাঠানোর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

প্রতিবেদন হাতে পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে চট্টগ্রামের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) রাকিব হাসান বলেছেন, এ ব্যাপারে পরবর্তীতে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়