Cvoice24.com

পাচার হয়ে যাচ্ছে পার্বত্য চট্টগ্রামের শঙ্খিনী সাপ

সীতাকুণ্ড প্রতিনিধি, সিভয়েস

প্রকাশিত: ১১:২৫, ৩০ এপ্রিল ২০২১
পাচার হয়ে যাচ্ছে পার্বত্য চট্টগ্রামের শঙ্খিনী সাপ

প্রচণ্ড বিষধর সাপ শঙ্খিনী

বৈচিত্র্যময় প্রাণীজগৎ নিয়ে মানুষের আগ্রহ যেমন আছে তেমনি নির্বিচারে বন্যপ্রাণী হত্যাও অনেকের কাছে বেশ আনন্দের। আর এসবের মধ্যে সাপ মারতে একটু বেশিই উৎসাহ পায় সাধারণ মানুষ। আবার কিছু বিরল প্রজাতির সাপ আছে, যা পাচার হয়ে যাচ্ছে। তার মধ্যে শঙ্খিনী অন্যতম। 

প্রচণ্ড বিষধর শঙ্খিনীকে (Banded Krait) এলাকা বিশেষ বিভিন্ন নামে ডাকা হয়। যেমন- ছানি, শাঁখামুঠি, আদি, দুমুখো, অহিরাজ, রাজসাপ। এদের শাঁকিনী সাপ নামেও ডাকা হয়। 

শঙ্খিনী সাপের প্রধান খাদ্য হচ্ছে অন্য বিষধর সাপ। এরা গোখরা, কেউটে, কালাচ, রাসেল ভাইপারের মত বিষধর সাপ খেয়ে থাকে।
খুবই শান্ত এই সাপ সচরাচর মানুষদের কামড়াতে আসে না। 

পৃথিবীতে শঙ্খিনী জাতের সাপের মোট ৮টি প্রজাতি রয়েছে, এর মধ্যে ৫টির আবাসই বাংলাদেশে। দেশের প্রায় সব জায়গাতেই এদের কম বেশি পাওয়া গেলেও পার্বত্য চট্টগ্রামেই বেশি দেখা মেলে এদের। তবে পাচার হয়ে যাওয়ায় পার্বত্য এলাকা থেকেও সাপটি হারাতে বসেছে।   

সীতাকুণ্ডের শীতলপুর এলাকা থেকে পাচার হচ্ছিল বিরল প্রজাতির শঙ্খিনী সাপ। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে বৃহস্পতিবার (২৯ এপ্রিল) রাত সাড়ে ১১টার দিকে সাপটিকে উদ্ধার করেছে চট্টগ্রাম উত্তর বন বিভাগ।

শঙ্খিনী সাপটিকে উদ্ধার করেছে চট্টগ্রাম উত্তর বন বিভাগঅভিযানে নেতৃত্ব দেওয়া বন বিভাগের ফৌজদার হাট চেক স্টেশন কর্মকর্তা মো. শাহানশাহ নওশাদ জানান, শঙ্খিনী সাপটি উদ্ধারে শীতলপুর এলাকায় বিশেষ অভিযান চালানো হয়। অভিযানে বিরল প্রজাতির এই সাপটি উদ্ধার সম্ভব হয়।

তিনি জানান, উদ্ধারের পর গভীর রাতেই সাপটি স্থানীয় ইউপি সদস্য ও এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিদের উপস্থিতিতে শীতলপুর বিটের বন এলাকায় অবমুক্ত করা হয়।

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়