Cvoice24.com

কোটি টাকার প্রকল্পে দুই নম্বর ইট ব্যবহারের অনুমোদন প্রকৌশলীর!

সীতাকুণ্ড প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ১৮:৫২, ৩০ এপ্রিল ২০২২
কোটি টাকার প্রকল্পে দুই নম্বর ইট ব্যবহারের অনুমোদন প্রকৌশলীর!

এডিবির অর্থায়নে নগর উন্নয়ন প্রকল্পের অধীনে ১ কোটি ৭ লাখ টাকার উন্নয়ন কাজে নিম্নমানের ইট ব্যবহার করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। উপজেলার পৌরসভাধীন সীতাকুণ্ড ডিগ্রী কলেজ রোডের পূর্বাংশে মহাদেবপুরের প্রেমতলা এলাকায় ১ কিলোমিটার সড়ক উন্নয়ন কাজে দুই নম্বর ইট ব্যবহারের অভিযোগ করেন স্থানীয়রা। 

স্থানীয়দের অভিযোগ পৌরসভার প্রকৌশলী নুর নবীর যোগসাজশে ঠিকাদার দুই নাম্বার ইট ব্যবহার করছেন।

সীতাকুণ্ড পৌরসভা সূত্রে জানা যায়, এডিবির অর্থায়নে নগর উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় কলেজ রোড নামক সড়ক উন্নয়নে দুটি প্যাকেজে কাজের দরপত্র আহ্বান করা হয়। পশ্চিমাংশে কলেজ রোডের মাথা থেকে ডিগ্রী কলেজের পশ্চিমাংশের বরাদ্দ ধরা হয়েছে ১ কোটি ৩৭ লাখ টাকা। আরেকটি অংশে কলেজের পূর্বপাশ থেকে শুরু হয়ে পাহাড়ের পাদদেশে অবস্থিত দুই নম্বর পোল নামক স্থানের বরাদ্দ ধরা হয়েছে  ১ কোটি ৭ লাখ টাকা। এই অংশের কাজের ইজারা পেয়ে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান আব্দুল্লাহ এন্টারপ্রাইজ কাজে দুই নম্বর ইট ব্যবহার করছেন বলে অভিযোগ করেছেন স্থানীয়রা।

তারা বলেন, প্রভাবশালী ঠিকাদার ও পৌর প্রকৌশলীর যোগ-সাজশ থাকায় কাজের মান নিয়ে কেউ উচ্চবাচ্য করছেন না।

শুক্রবার সরেজমিনে দেখা যায়, মহাদেবপুর এলাকায় অবস্থিত ‘কলেজ রোড’ সড়কের দুইপাশে এডিবির অর্থায়নে উন্নয়ন কাজ শুরু করেছে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। সালাউদ্দিন নামের এক মাঝির তত্বাবধানে কয়েকজন মিস্ত্রি নিম্নমানের ইট দিয়ে গাথুঁনির কাজ করছেন। জানতে চাইলে সালাউদ্দিন মাঝি দুই নাম্বার ইটের কথা স্বীকার করে বলেন, ‘ঠিকাদার যা পাঠান তা দিয়েই কাজ করতে হয়। দুই ট্রাক দুই নাম্বার ইট পাঠিয়েছেন ঠিকাদার।’

এ সময় স্থানীয়রা জানান, পৌর প্রকৌশলী নুরনবী এসে ইট দেখে প্রথমে কাজ বন্ধ করে দেন। কিন্তু কিছুক্ষণ পরে আবার কাজের অনুমতি দিয়ে তিনি চলে যান। তবে এ বিষয়টি জানতে চেয়ে ফোন দিলে প্রকৌশলী নুরনবী প্রথমে বারবার সামনা সামনি কথা বলার জন্য বলেন। এরপর শুক্রবারে ফোন দেওয়ার কারণ জানতে চান। তবে একপর্যায়ে তিনি বলেন, যদি কোন দুই নাম্বার ইট ব্যবহার করা হয়ে থাকে তা অপসারণ করা হবে।

তবে অভিযোগ অস্বীকার করে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান আব্দুল্লাহ এন্টারপ্রাইজের স্বত্বাধিকারী মো. হারুন বলেন, কাজে কোন নিম্নমানের ইট ব্যবহার করা হচ্ছেনা। বরাদ্দ অনুযায়ী আমি কাজ করছি। 

পৌর মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা বদিউল আলম বলেন, একটি ইটও যদি নিম্নমানের ব্যবহার হয়ে থাকে সেটা অপসারণ করা হবে। এছাড়া কাজে ত্রুটি থাকলে এ কাজের বিল আটকে দেওয়া হবে। কাজের মান নিয়ে কোন আপোষ করা হবে না।

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়