Cvoice24.com

চোখের পর মানসিক সমস্যায় ভুগছেন বিএম ডিপোর বিস্ফোরণে আহতরা

সিভয়েস প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ১৩:০২, ২২ জুন ২০২২
চোখের পর মানসিক সমস্যায় ভুগছেন বিএম ডিপোর বিস্ফোরণে আহতরা

পোশাককর্মী পারভেজ। সারাদিনের খাটুনি শেষে বিএম ডিপোতে আগুন ও বিস্ফোরণের গগনবিদারি শব্দ শুনে কৌতূহল মেটাতে ঘটনাস্থলে গিয়েছিলেন। কিন্তু আগুনের লেলিহান শিখা, দগ্ধ ও ঝলসে যাওয়া শরীরগুলো স্বচক্ষে দেখে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। জ্ঞান ফেরার পর পরিচিতজনদের সাহায্যে বাড়ি ফিরেন তিনি। কিন্তু এরপর থেকে চোখ বন্ধ করতেই ভয়াবহ দৃশ্য ভাসছে বলে বারবার আঁতকে উঠছেন পারভেজ। শেষ পর্যন্ত দ্বারস্থ হন চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালের মানসিক রোগ বিভাগে। 

শুধুমাত্র পারভেজই নয়, গত ৪ জুন সীতাকুণ্ডের বিএম কন্টেইনার ডিপোতে ভয়াবহ বিস্ফোরণ আর অগ্নিদুর্ঘটনার পর অন্তত ৩০ জনের বেশি মানুষকে সেবা দিয়েছেন চমেক হাসপাতালের মানসিক রোগ বিভাগের চিকিৎসকরা। এছাড়া বিভাগের বহিঃবিভাগ থেকেও অনেকেই সেবা গ্রহণ করেছেন বলেও তথ্য পাওয়া গেছে। 

দগ্ধ আর হাত-পা হারানোর ব্যথা যখন কিছুটা হলেও সহনীয়, তখন চোখের সমস্যায় মারাত্মক হয়ে ওঠে সীতাকুণ্ডের বিএম কন্টেইনার ডিপোর বিস্ফোরণ আর অগ্নিদগ্ধে আহতদের। চোখের করুণ অবস্থা সেরে তুলতে কয়েক দফায় বোর্ড বসানো হয় দেশসেরা চক্ষু চিকিৎসকদেরও। যদিও সেই ব্যথাটিও এখন পর্যন্ত পুরোপুরি সেরে ওঠেনি আহতদের। এমন অবস্থায় মধ্যেই এবার বিএম ডিপোর আহত এবং আশপাশের মানুষের নতুন করে সমস্যা দেখা দিচ্ছে মানসিক বিপর্যয়ের। ঘটনার পর থেকেই ছোট শব্দ কিংবা ঘুমানোর সময় প্রতিচ্ছবি ভেসে আসছে প্রতক্ষ্যদর্শীদেরও। 

চিকিৎসকরা বলছেন, চোখের সামনেই ঘটে যাওয়া এমন দুর্ঘটনার দৃশ্য বারবারই ভেসে আসছে এসব রোগীদের। এতবড় এ দুর্ঘটনাটি কিছুতেই ভুলতে পারছে না তারা। তবে এ সমস্যাটি তাদের দীর্ঘসময় থাকবে। এটি ভুলতেও সময় প্রয়োজন হবে। তবে অবশ্যই সাইকোালজিস্টের পরামর্শ গ্রহণ করতে হবে। 

চমেক হাসপাতালের মানসিক স্বাস্থ্য বিভাগের মেডিকেল অফিসার ডা. বিজন কুমার দত্ত বলেন, আমার কাছেই ৭-৮ জন রোগী এসেছে, যারা ওই সময়ের ঘটনাটি দেখেছেন কিংবা বিস্ফোরণের শব্দ শুনেছিলেন। কিন্তু এখনও তারা ছোট শব্দতেও আঁতকে ওঠছেন। এছাড়া আন্তঃবিভাগেও রোগীরা ভর্তি হচ্ছে। আর হাসপাতালের অন্য যে ওয়ার্ডগুলোতে আগে থেকেই ভর্তি আছে, তাতেও অনকলে গিয়ে সেবা দিচ্ছেন সিনিয়র ডাক্তারা। মূলত এ সমস্যাটি সেরে ওঠতে সময় লাগবে। তবে ধীরে ধীরে সেরে ওঠবে।

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়