Cvoice24.com

জঙ্গল সলিমপুরে সংঘর্ষের ঘটনায় পুলিশের দুই মামলা

সীতাকুণ্ড প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ১৮:০৫, ৯ সেপ্টেম্বর ২০২২
জঙ্গল সলিমপুরে সংঘর্ষের ঘটনায় পুলিশের দুই মামলা

চট্রগ্রামের সীতাকুণ্ডের জঙ্গল সলিমপুরের অবৈধ বসবাসকারীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষের ঘটনায় দুটি মামলা দায়ের করেছে পুলিশ। বিস্ফোরক নিয়ন্ত্রণ আইন, পুলিশের উপর হামলা, কর্তব্য কাজে বাধা দেওয়াসহ মামলায় মোট ১০টি ধারা উল্লেখ করা হয়েছে। 

সীতাকুণ্ড থানার এসআই শামীউর রহমান বাদী হয়ে বৃহস্পতিবার রাতে মামলা দুটি দায়ের করেন। দুটি মামলায় ২৫জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত ১৩০/৪০ জনকে আসামি করা হয়েছে। তার মধ্যে চারজনকে আটক করেছে পুলিশ। আরও চারজন পুলিশ পাহারায় আহত অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।

সীতাকুন্ড থানার পরিদর্শক (তদন্ত) সুমন বণিক বলেন, বিস্ফোরণ ঘটানো, সরকারি কাজে বাধা, কর্তব্যরত অবস্থায় পুলিশের উপর হামলাসহ কয়েকটি অভিযোগে দুটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। ইতিমধ্যে ঘটনাস্থল থেকে চারজনকে আটক করে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে। বাকিদের গ্রেপ্তারে অভিযান চালানো হবে। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন যারা রয়েছেন সুস্থ হলে তাদেরও আদালতে পাঠানো হবে।

এর আগে পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী গতকাল বৃহস্পতিবার সেখানে আটকে রাখা বাসিন্দাদের নিরাপদে বের করে আনতে গেলে ক্ষিপ্ত হয়ে প্রশাসনের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়ায় সন্ত্রাসীরা। এসময় প্রশাসনের উপর তারা ককটেল ও ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীও আত্মরক্ষার্থে ফাঁকা গুলি ছুঁড়ে। 

এর আগে, গত ৩০ আগস্ট জঙ্গল সলিমপুরে অবৈধ বসবাসকারীদের সরে যেতে মাইকিং করা হয়। একইসঙ্গে নিজ দায়িত্বে মালামাল সরিয়ে জায়গা খালি না করলে আইন অনুযায়ী উচ্ছেদ করা হবে বলে আল্টিমেটাম দেয় জেলা প্রশাসন।

তারও আগে, গত ৭ আগস্ট সীতাকুন্ডের জঙ্গল সলিমপুরের আলীনগরের পাহাড়, টিলা, বনভূমি এবং এখানকার পরিবেশ, প্রতিবেশ ও জীববৈচিত্র রক্ষাকল্পে হাইকোর্ট এক নির্দেশনা দিয়েছেন। এতে সেখানে পাহাড়-টিলা দখল করে অবৈধভাবে বসবাসকারীদের সব স্থাপনা উচ্ছেদ এবং বৈধ জমির মালিকদের মালিকানা নিশ্চিত করতে বলা হয়। এর অংশ হিসেবে ইতোমধ্যে সেখানে খাসজমি চিহ্নিত করার কাজ শুরু হয়েছে এবং বৈধ ভূমির মালিকদের ২০ আগস্টের মধ্যে সীতাকুণ্ডের সহকারী কমিশনার (ভূমি) কার্যালয়ে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র নিয়ে উপস্থিত হতে বলা হয়েছে। পাশাপাশি যারা অবৈধ উপায়ে সেখানে পাহাড়-টিলা দখল করে কেটে বসত ঘর বা স্থাপনা নির্মাণ করে বসবাস করছেন তাদেরকে বেধে দেওয়া সময়ের মধ্যে অবশ্যই এলাকা ছেড়ে যেতে হবে। অন্যথায় তাদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানায় প্রশাসন।
 

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়