Cvoice24.com

সীতাকুণ্ডে বন বিভাগের বিরুদ্ধে ৩ শতাধিক ফলজ গাছের চারা কেটে ফেলার অভিযোগ

সীতাকুণ্ড প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ১৩:০১, ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২২
সীতাকুণ্ডে বন বিভাগের বিরুদ্ধে ৩ শতাধিক ফলজ গাছের চারা কেটে ফেলার অভিযোগ

সীতাকুণ্ডে বন বিভাগের সংরক্ষিত জায়গায় অবৈধভাবে ফলজ গাছের চারা লাগানোয় তা কেটে ফেলা হয়

চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের বারৈয়াঢালা ইউনিয়নের পাহাড়ে লাগানো ৩ শতাধিক ফলজ গাছের চারা কেটে ফেলার অভিযোগ পাওয়া গেছে। স্থানীয় নুর উদ্দিন পারভেজ নামের এক ব্যক্তি উপজেলার বন বিভাগের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ আনেন। তবে বন বিভাগ বলছে সংরক্ষিত বনাঞ্চল দখলমুক্ত করতে গাছ চারাগুলো কাটা হয়েছে।

নুর উদ্দিন পারভেজ নিজেকে বন বিভাগের তালিকাভুক্ত একজন উপকারভোগী হিসেবে দাবি করে বলেন, বিগত ২০০৪ সাল থেকে তিনি তালিকাভুক্ত উপকারভোগী হিসেবে বন বিভাগের মালিকানাধীন পাহাড়ে বনজ বৃক্ষ রোপণ করেন। এরপর থেকে এ পর্যন্ত গাছগুলো দেখভাল করে আসছেন তিনি। কিন্তু গত বছর ইজারার মাধ্যমে গাছগুলো বিক্রি করে বনবিভাগ। এরপর থেকে খালি পড়ে আছে পাহাড়। তাই গাছ কাটার পর আম, কাঠাল, পেয়ারা, কলা, লিচু, মাল্টাসহ বেশ কিছু সংখ্যক ফলের চারা লাগান তিনি। 

এ ব্যাপারে বনবিভাগ থেকে কোন নিষেধ করা হয়নি জানিয়ে তিনি আরও বলেন গাছের চারাগুলো লাগানোর পরও তাকে কিছু জানায়নি কেউ। কিন্তু হঠাৎ করে কয়েকদিন আগে রেন্জার আলতাফ হোসেনের নির্দেশে ফরেস্টার আবুল হোসেন লোকজন নিয়ে তার লাগানো গাছগুলো সব কেটে ফেলেন। নুর উদ্দিন পারভেজ জানান,  গাছগুলো না কেটে তাকে বলে হলে তিনি তা তুলে অন্যত্র নিয়ে যেতেন।

বারৈয়াঢালা বিট অফিসের ফরেস্টার আবুল হোসেন বলেন, এটা বন বিভাগের সংরক্ষিত জায়গা। কেউ এখানে গাছ লাগিয়ে বন দখলের চেষ্টা করলে আমরা গাছগুলো কেটে বন দখলমুক্ত করি।

রেন্জার আলতাফ হোসেন বলেন, কে বা কারা আমাদের না জানিয়ে ফলের গাছ লাগায়। এখানে বনজ গাছ ছাড়া ফলজ গাছ লাগানোর কোন অনুমতি নাই। বার বার গাছ না লাগানোর বিষয়ে বলা হলেও কেউ সাড়া না দেওয়ায় বাধ্য হয়ে গাছের চারাগুলো কাটা হয়েছে।

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়