Cvoice24.com

স্ত্রীকে হত্যা করে ডাকাতির ঘটনা বলে প্রচারের চেষ্টা

সীতাকুণ্ড প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ২০:৫৪, ১১ মে ২০২৩
স্ত্রীকে হত্যা করে ডাকাতির ঘটনা বলে প্রচারের চেষ্টা

সীতাকুণ্ডে গৃহবধূ সায়মা হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার স্বামী দিদার আলম আদালতে দায় স্বীকার করে জবানবন্দি দিয়েছেন। বৃহস্পতিবার (১১ মে) চট্টগ্রামের চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারকের কক্ষে জবানবন্দি দেন তিনি।

সীতাকুণ্ড মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ তোফায়েল আহমেদ জানান, গত ৯ মে মঙ্গলবার রাত বারোটার দিকে চেয়ারম্যানের মাধ্যমে গৃহবধূর গলাকাটা লাশ পড়ে থাকার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পৌছালে ঘটনাটিকে ডাকাতি ঘটনা বলে প্রচারের চেষ্টা করে পরিবারের লোকজন। কিন্তু ঘটনার পারিপার্শ্বিকতা, ঘটনাস্থলে পড়ে থাকা রক্তাক্ত জামা, খুনে ব্যবহৃত ছুরি ও অন্যান্য আলামতে এটিকে একটি পরিকল্পিতভাবে ঘটানো পারিবারিক হত্যাকাণ্ড বলে মনে হচ্ছিল। তাই ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সাথে আলোচনা করে তাৎক্ষণিকভাবে ভিকটিমের স্বামী দিদার আলম, ননদ রেশমা আক্তার ও রোকসানা আক্তারকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় নিয়ে আসি। থানায় জিজ্ঞাসাবাদের একপর্যায়ে স্বামী নিজ হাতে স্ত্রীকে হত্যার কথা স্বীকার করেন। 

অন্যদিকে নিহত গৃহবধূ সায়মার বাবা বাদী হয়ে সায়মার স্বামী দিদার আলম ও তার দুই বোনকে আসামি করে থানায় মামলা দায়ের করেন। ওই মামলায় চট্টগ্রামের আদালতে ফৌজদারি কার্যবিধির ১৬৪ ধারায় হত্যাকাণ্ডের ঘটনা বর্ণনা দিয়ে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন দিদার আলম।

যেভাবে খুন করা হয় সায়মাকে

কাউকে না জানিয়ে চট্টগ্রামের হাটহাজারীর নিজ কর্মস্থল থেকে রাত দশটার দিকে বাড়ি আসেন দিদার আলম। এসে স্ত্রীকে তার কক্ষে ছেলেকে বুকের দুধ খাওয়াতে দেখেন। তখন উঠানোর পার্শ্ববর্তী খড়ের গাদার পাশে গিয়ে অবস্থান নেন তিনি। সেখান থেকে কিছুক্ষণ পরে স্ত্রীকে ফোন দিয়ে সেখানে তার ব্যবহৃত মোবাইল ফোন নিয়ে আসতে বলেন। স্ত্রী শর্ত দেন সেখানে আসলেও তার গায়ে স্পর্শ করতে পারবে না সে। সেখানে আসার পর স্ত্রীর গায়ে হাত দেওয়ার চেষ্টা করলে স্ত্রীর সাথে বাড়াবাড়ি শুরু হয়। একপর্যায়ে স্ত্রী সায়মার গলায় ছুরি চালান তিনি। পরবর্তীতে সায়মা মাটিতে পড়ে গেলে আবারো গলায় চুরি চালিয়ে এবং বুকের বা পাশে ছুরিকাঘাত করে মৃত্যু নিশ্চিত করেন। এরপর সেখানে কিছুক্ষণ বসে থেকে হাবিব রোড দিয়ে সরে পড়েন তিনি। পরবর্তীতে রাত সাড়ে বারোটার দিকে পুলিশের উপস্থিতি নিশ্চিত হয়ে ঘটনাস্থলে এসে কর্মস্থল থেকে ফিরছেন বলে জানান তিনি।
তবে স্ত্রীকে হত্যার দায় স্বীকার করে আদালতে স্বীকারোক্তি মূলক জবানবন্দী দিলেও অধিকতর তদন্তে আরো কিছু বেরিয়ে আসতে পারে বলে জানান সীতাকুণ্ড থানার অফিসার ইনচার্জ তোফায়েল আহমেদ।

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়