Cvoice24.com

চবিতে চড়ুইভাতি: ফিরিয়ে দিল রোমাঞ্চকর স্মৃতি

চবি প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ১১:৫৫, ১১ জানুয়ারি ২০২২
চবিতে চড়ুইভাতি: ফিরিয়ে দিল রোমাঞ্চকর স্মৃতি

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সীতাকুণ্ড ছাত্র সমিতির আয়োজনে চড়ুইভাতি

‘চড়ুইভাতি’ শব্দটি শুনলেই কেমন চনমনে ছেলেবেলার কথা মনে পড়ে যায়। সময়ের স্রোতে স্মৃতিতে ধুলো জমলেও শব্দের চিত্রকল্পে ধুলো জমে না। পৌষ-মাঘের শীত আর বাড়ন্ত শীতের সবজি চুরি করে সাধের চড়ুইভাতির স্মৃতি কুয়াশাঘেরা জীবনে আগুনের উষ্ণতা।

শৈশব, কৈশোরের ফেলে আসা হাজারো মধুর স্মৃতির মধ্যে অন্যতম একটা স্থান দখল করে আছে পাড়ার বন্ধুরা মিলে ‘চড়ুইভাতি’ খেলা। স্থানভেদে যার আরেক নাম ‘জোলাভাতি’। 

পুরনো স্মৃতি রোমন্থন করতে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘সীতাকুণ্ড ছাত্র সমিতি'র আয়োজনে বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষার্থীরা নিয়ে করা হলো ক্যাম্পাসে চড়ুইভাতি। আনন্দঘন পরিবেশে ১০ জানুয়ারি সবাই মিলিত হলো বিশ্ববিদ্যালয়ের বোটানিক্যাল গার্ডেনের পুকুর পাড়ে। যদিও শৈশবের মত কারো কোন কিছু জোগাড় করতে হয়নি। সব জোগাড় করেছে সংগঠনটির সভাপতি মো. ফয়সাল ও সম্পাদক ইব্রাহীম সাজ্জাত।

বাজারের দায়িত্বে থাকা আমজাদ, জাহিদ, সাইমুমসহ বাকিরা বাজার নিয়ে যথাসময়ে হাজির প্রয়োজনীয় কেনাকাটা সেরে। তারপর শুরু হয় কাজের ধুম। দায়িত্ব অনুযায়ী সকলে যে যার মতো শুরু করল কাজ। কেউ পানি আনা, কেউ কাটাকাটি, কেউবা চুলা জ্বালানো, কেউ আবার হাঁড়ি-পাতিল পরিষ্কারের কাজে নেমে গেল। কাঠ কুড়ানো, চুলা বানানো, চাল ধোয়া, মাংস কাটাসহ সব কাজই করা হলো মিলেমিশে। এরই মধ্যে শুরু হয়ে গেলো রান্নার তোড়জোড়।

রান্নার পাশাপাশি গান, গল্প, আড্ডা ও ছবি তোলার কাজ চলতে থাকল সমানতালে। রান্নার সুগন্ধ আর আড্ডাবাজিতে এক অন্যরকম ভালোলাগার পরিবেশ সৃষ্টি হলো। বিকেল আড়াইটার দিকে শুরু হলো ভোজন পর্ব। রাঁধুনি ইভা, শাহিনুর, নাতাশা, তুহিন আর সিয়ামদের রন্ধনশিল্পে মুগ্ধ সবাই।

পাশাপাশি গল্প, একে অপরের সাথে পরিচয়ে রোমাঞ্চকর এক মুহূর্ত পার করছে সবাই। এ মিলনমেলা যেন ক্যাম্পাসে নিজ উপজেলার মাটির গন্ধ ফিরিয়ে এনেছে। যেন নিজ পরিবারের বসে সবাই আড্ডা দিচ্ছে, গল্প করছে। সবার অনভূতি প্রকাশে উঠে এল এমন কথা। সব মিলিয়ে শৈশবের সেই রোমাঞ্চকর দিনগুলোতে যেন ফিরে গেল সবাই আরেকবার।

আড্ডা হৈ-হুল্লোড়ের শেষে সীতাকুণ্ড ছাত্র সমিতির ২৫ বছর পূর্তি উপলক্ষ্যে কেক কেটে রজতজয়ন্তী উদযাপন করে সমিতির সদস্য ও উপদেষ্টারা। পরে সমিতির সদস্যের মধ্যে নতুন বছরের ক্যালেন্ডার বিতরণের মধ্যে শেষ দিনব্যাপী মহা মিলনমেলা।

সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক ইব্রাহীম সাজ্জাত বলেন, বিগত ২৫ বছরের ন্যায় আগামীতেও সকলের সহযোগিতায় শিক্ষা, সংস্কৃতি ও সামাজিক কার্যক্রমে সীতাকুণ্ডকে এগিয়ে নিতে কাজ করে যাবে 'সীতাকুণ্ড ছাত্র সমিতি- চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়'।

সভাপতি মো. ফয়সাল বলেন, ‘অনেকদিন পর এ আয়োজন করতে পেরে আমরা খুবই আনন্দিত। এমন আয়োজন আমরা পরবর্তী দিনগুলোতেও অব্যাহত থাকবে বলে আমরা আশাবাদী।’

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়