Cvoice24.com

অডিও ফাঁস, রাষ্ট্রীয় তদন্ত কমিটি চায় চবি শিক্ষক সমিতি

চবি প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ১৬:৪৬, ৬ মার্চ ২০২২
অডিও ফাঁস, রাষ্ট্রীয় তদন্ত কমিটি চায় চবি শিক্ষক সমিতি

ফাইল ছবি

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) ফারসি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগে শিক্ষক নিয়োগে আর্থিক লেনদেনের অডিও ফাঁসের ঘটনায় রাষ্ট্রীয় উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন তদন্ত কমিটি চায় শিক্ষক সমিতি। 

রোববার (৬ মার্চ) শিক্ষক সমিতির সভাপতি প্রফেসর ড. সেলিনা আখতার ও সাধারণ সম্পাদক প্রফেসর ড. সজীব কুমার ঘোষ স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে এই দাবি জানায় তাঁরা।

বিবৃতিতে বলা হয়, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ফারসি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগে শিক্ষক নিয়োগে আর্থিক লেনদেনের অডিও ফাঁস হয়েছে এই মর্মে অডিও ক্লিপসহ কিছু সংবাদ বাংলাদেশের বিভিন্ন ইলেক্ট্রনিক মিডিয়া, প্রিন্ট ও অনলাইন পোর্টালে প্রকাশিত হওয়ার প্রেক্ষিতে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি গভীরভাবে মর্মাহত ও উদ্বিগ্ন। বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকসহ অন্যান্য নিয়োগে আর্থিক লেনদেনের অভিযোগ শিক্ষক সমাজ ও অত্র বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাবমূর্তিকে মারাত্মকভাবে ক্ষুণ্ন করেছে। 

এমতাবস্থায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাবমূর্তি অক্ষুণ্ন রাখার স্বার্থে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন কর্তৃক যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণের পাশাপাশি প্রয়োজনে রাষ্ট্রীয় উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন তদন্ত কমিটি গঠনের মাধ্যমে প্রকৃত সত্য উদ্ঘাটন করে দায়ী ব্যক্তিদের দ্রুত আইনের আওতায় আনার জন্য চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি জোর দাবি জানাচ্ছে।

প্রসঙ্গত, গত ৩ মার্চ ফার্সি বিভাগের শিক্ষক নিয়োগ সংক্রান্ত তিনটি অডিও ফাঁস হয়। এতে বিশ্ববিদ্যালয়ের তৃতীয় শ্রেণি পদে ১২ লাখ, চতুর্থ শ্রেণি পদে ৮ লাখ, অফিসার পদে ১৫ লাখ ও শিক্ষক নিয়োগে ১৬ লাখ টাকার উপরে লেনদেন হয় বলে অডিও ক্লিপগুলোতে ওঠে আসে।

এরমধ্যে একটি কল রেকর্ডে প্রভাষক পদের এক প্রার্থীর সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের পিএসকে অর্থ লেনদেনের বিষয়ে ইঙ্গিতপূর্ণ কথা বলতে শোনা যায়। ফাঁস হওয়া সেই ফোনালাপে একজন আবেদনকারীকে উপাচার্যের একান্ত সহকারী খালেদ মিছবাহুল মোকর রবীনকে বলতে শোনা গেছে। বাকি দুইটিতে উপাচার্যের ভাতিজা ও এক বিভাগীয় সভাপতিসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের হিসাব নিয়ামক শাখার এক কর্মচারীরও আর্থিক লেনদেনের নানা বিষয়ে কথোপকথন শোনা যায়। এ ঘটনায় গত বৃহস্পতিবার রবীনকে উপাচার্যের একান্ত সহকারী পদ থেকে সরিয়ে আগের কর্মস্থল পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক দপ্তরে বদলি করা হয়। একইসাথে ফার্সি বিভাগের শিক্ষক নিয়োগ বাতিল করা হয়।

এছাড়া ফার্সি বিভাগের শিক্ষক নিয়োগে সিলেকশন বোর্ডে বিভাগসংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞ শিক্ষক না রাখা, আবেদনের সময়স্বল্পতা, আবেদন করেও মৌখিক পরীক্ষায় যোগ্য প্রার্থীরা ডাক না পাওয়া, উচ্চ আদালতের রুল নিষ্পত্তি না করেই নিয়োগপ্রক্রিয়া অব্যাহত রাখাসহ নানা অভিযোগ ওঠে। যদিও অভিযোগগুলো গতকাল সংবাদ সম্মেলনে অস্বীকার করে প্রশাসন।

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়