Cvoice24.com

চবি আইন বিভাগের ঈর্ষণীয় সাফল্য, সহকারী জজ হলেন ২৬ শিক্ষার্থী

চবি প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ১৫:০৩, ২৬ এপ্রিল ২০২২
চবি আইন বিভাগের ঈর্ষণীয় সাফল্য, সহকারী জজ হলেন ২৬ শিক্ষার্থী

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়

সহকারী জজ পদে ঈর্ষণীয় সাফল্য বয়ে এনেছেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) আইন বিভাগের ২৬ শিক্ষার্থী। ১৪তম বাংলাদেশ জুডিশিয়াল সার্ভিস কমিশনের (বিজেএসসি) নিয়োগ পরীক্ষার মাধ্যমে সুপারিশপ্রাপ্ত হয়েছেন তারা।

কমিশন সচিবালয়ের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক শরীফ এ এম রেজা জাকের স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানা গেছে। তাদের সাফল্যে খুশি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরাও।

এদিকে বিজেএস পরীক্ষায় ঢাবির পরই সর্বোচ্চ সংখ্যাটা ধরে রেখেছে চবির আইন বিভাগের শিক্ষার্থীরা। সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী ১০২ জনের এই মেধাতালিকায় শুধু চবি থেকেই সুপারিশপ্রাপ্ত হয়েছেন অন্তত ২৬ জন। তবে  এখন পর্যন্ত ২২ জনের নাম ও শিক্ষাবর্ষ নিশ্চিত হওয়া গেছে।

২২ শিক্ষার্থী হলেন— ২০১০-১১ শিক্ষাবর্ষের (১৯তম ব্যাচ) দিদারুল ইসলাম, ২০১১-১২ শিক্ষাবর্ষের (২০তম ব্যাচ) মোতাসিম বিল্লাহ, ২০১২-১৩ শিক্ষাবর্ষের (২১তম ব্যাচ) গিয়াস উদ্দিন, আমানত উল্লাহ শাহীন ও ওয়াহিদা নাসরিন, ২০১৩-১৪ শিক্ষাবর্ষের (২২তম ব্যাচ) বেলাল মুহাম্মাদ, সাঈদ তাওসিফ মাহদি, ইমরান হোসাইন, আয়েশা আয়মন, আরিফ হোসাইন, সাইমা শরিফ নিশাত ও সানজিদা আমিন।

এছাড়া ২০১৪-১৫ শিক্ষাবর্ষের (২৩তম ব্যাচ) লুৎফুন নাহার, ইমরান হোসাইন ইমন, হুমায়ুন কবির, রকিবুল হাসান শান্ত, কাদের হোসাইন, শাবণী ইতি, ইকু ও ফাহাদ, ২০১৫-১৬ শিক্ষাবর্ষের (২৪তম ব্যাচ) শহিদুল ইসলাম ও তাসমিনা রিতা।

মেধাতালিকায় ১৪তম স্থান অধিকার করা মোহাম্মদ বেলাল উদ্দিন সিভয়েসকে বলেন, আল্লাহর অশেষ রহমতে সুপারিশপ্রাপ্ত হয়েছি। স্বপ্ন ছোঁয়ার এই অনুভূতি সত্যিই অতুলনীয়। সুদীর্ঘ এই পথচলায় পরম শ্রদ্ধেয় পিতা-মাতা,শিক্ষকগণ,বন্ধু-বান্ধব,অগ্রজ-অনুজ যে যেভাবে পাশে থেকে উৎসাহ, অনুপ্রেরণা ও সাপোর্ট দিয়ে স্বপ্ন কেনার ভরসা জুগিয়েছেন তাদের কাছে আজীবন কৃতজ্ঞ। ভবিষ্যতে দায়িত্ব পেলে সততা ও নিষ্ঠাকে পুঁজি করে মানুষের জন্য বিচারক হতে চাই। পরিশেষে কেবল সফল মানুষ নয়, একজন ভালো মানুষ হতে চাই।'

মেধাতালিকায় ৮ম স্থান অধিকার করা চবির ২২তম ব্যাচের শিক্ষার্থী ইমরান হোসেন বলেন, এই সফলতার পেছনে মা-বাবাসহ বিভাগের শিক্ষকদের অনেক অবদান রয়েছে। কারণ তাদের সহযোগিতাপূর্ণ মনোভাব আমাকে সর্বদা অনুপ্রাণিত করেছে। তাদের সঠিক দিকনির্দেশনার ফলেই আজ এ পর্যন্ত আসতে পেরেছি। আমাকে এ পর্যায়ে আসতে যারা সহযোগিতা করেছে, তাদের সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করছি।

২০তম ব্যাচের শিক্ষার্থী মোতাসিম বিল্লাহ বলেন, সুপারিশপ্রাপ্ত হওয়ায় ভালো লাগছে, ‘আলহামদুলিল্লাহ। মা-বাবাসহ সংশ্লিষ্ট সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা। ভালো রেজাল্টধারী শিক্ষার্থীরা এখন জুডিসিয়াল সার্ভিসের দিকে মনোযোগী হচ্ছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের প্রতি আমার অনুরোধ থাকবে, তারা যখন পরীক্ষার রুটিনগুলো করেন তখন শিক্ষার্থীদের ক্যারিয়ার সংশ্লিষ্ট পরীক্ষাগুলোর দিকে যদি নজর রাখেন তাহলে শিক্ষার্থীরা আরও ভালো করতে পারবে এবং বিভাগের জন্য আরও বেশি সম্মান বয়ে আনতে পারবে।’

আইন বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক ড. সাজেদা আক্তার বলেন, ‘এটি আমাদের আইন বিভাগের জন্য নিঃসন্দেহে আনন্দ ও সুসংবাদ। ১৪তম বিজেএস পরীক্ষায় (সহকারী জজ) আমাদের বিভাগ থেকে ১০২ জনের মধ্যে প্রায় ২২ জনের মতো সুপারিশপ্রাপ্ত হয়েছেন। সংখ্যাটা এরচেয়ে বেশিও হতে পারে।’ 

তিনি আরও বলেন, ‘প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই চবির আইন বিভাগ উজ্জ্বল ভূমিকা রেখে চলেছে। আমি মনে করি এটি তারই ধারাবাহিকতার ফসল। অদম্য শিক্ষার্থীরা আবারও প্রমাণ করে দিল চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগই সেরা। তাদের প্রত্যেকের জন্য অনেক অনেক শুভেচ্ছা, অভিনন্দন ও ভালবাসা।’

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়