Cvoice24.com

চবিতে শিক্ষক নিয়োগে অডিও ফাঁস: বৃহস্পতিবার সিন্ডিকেটে উঠছে তদন্ত প্রতিবেদন!

চবি প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ২০:৫৪, ৬ জুলাই ২০২২
চবিতে শিক্ষক নিয়োগে অডিও ফাঁস:  বৃহস্পতিবার সিন্ডিকেটে উঠছে তদন্ত প্রতিবেদন!

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়। ছবি: সংগৃহীত।

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) ফারসি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগে শিক্ষক নিয়োগে আর্থিক লেনদেনের অডিও ফাঁসের ঘটনা তদন্তে গঠিত কমিটি প্রতিবেদন জমা দিয়েছে। আগামীকাল বৃহস্পতিবার (৭ জুলাই) বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫৩৮ তম এক্সট্রা অর্ডিনারি সিন্ডিকেট সভায় এই প্রতিবেদন উপস্থাপনের কথা রয়েছে। এতে গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত আসতে পারে বলে গোপন সূত্রে জানা গেছে।

বুধবার (৬ জুলাই) দুপুরে দীর্ঘ চার মাস পর বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রারের কাছে প্রতিবেদন জমা দেওয়া হয়।

বিষয়টি নিশ্চিত করে তদন্ত কমিটির প্রধান অধ্যাপক এ কে এম মাইনুল হক মিয়াজী সিভয়েসকে বলেন, আমরা তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিয়েছি। সবকিছু পূঙ্খানুপুঙ্খভাবে তদন্ত করেছে আমাদের কমিটি। তবে সিন্ডিকেটের আগে এ বিষয়ে কিছু বলা যাচ্ছে না।

তদন্ত কমিটির সদস্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ নাসিম হাসান সিভয়েসকে বলেন, ইতিমধ্যে সিন্ডিকেটের এজেন্ডা হয়ে গেছে। মূলত এজেন্ডার পরই আমরা প্রতিবেদন জমা দিয়েছি। এজন্য প্রতিবেদনটি এজেন্ডাভুক্ত হয়নি। কাল সিন্ডিকেটে সিনেট অধিবেশনের সার্বিক বিষয় নিয়ে আলোচনা হবে। তবুও ভিসি ম্যাম যদি চায় বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হতে পারে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) অধ্যাপক এস এম মনিরুল হাসান বলেন, ‘আমরা তদন্ত প্রতিবেদন পেয়েছি।   এজেন্ডা হওয়ার পর প্রতিবেদন জমা দেওয়ায় বিষয়টি এজেন্ডাভুক্ত হয়নি। তবে বিষয়টি যেহেতু গুরুত্বপূর্ণ তাই আগামীকাল (বৃহস্পতিবার) সিন্ডিকেট সভায় এটা উপস্থাপন করা হতে পারে।’ 

প্রসঙ্গত, গত ৩ মার্চ ফার্সি বিভাগের শিক্ষক নিয়োগ সংক্রান্ত তিনটি অডিও ফাঁস হয়। এতে বিশ্ববিদ্যালয়ের তৃতীয় শ্রেণি পদে ১২ লাখ, চতুর্থ শ্রেণি পদে ৮ লাখ, অফিসার পদে ১৫ লাখ ও শিক্ষক নিয়োগে ১৬ লাখ টাকার উপরে লেনদেন হয় বলে অডিও ক্লিপগুলোতে ওঠে আসে।

একটি কল রেকর্ডে প্রভাষক পদের এক প্রার্থীর সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের পিএসকে অর্থ লেনদেনের বিষয়ে ইঙ্গিতপূর্ণ কথা বলতে শোনা যায়। ফাঁস হওয়া সেই ফোনালাপে একজন আবেদনকারীকে উপাচার্যের একান্ত সহকারী খালেদ মিছবাহুল মোকর রবীনকে বলতে শোনা গেছে। বাকি দুইটিতে উপাচার্যের ভাতিজা ও এক বিভাগীয় সভাপতিসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের হিসাব নিয়ামক শাখার এক কর্মচারীরও আর্থিক লেনদেনের নানা বিষয়ে কথোপকথন শোনা যায়। এ ঘটনায় রবীনকে উপাচার্যের একান্ত সহকারী পদ থেকে সরিয়ে আগের কর্মস্থল পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক দপ্তরে বদলি করা হয়। একইসাথে ফার্সি বিভাগের শিক্ষক নিয়োগ বাতিল করা হয়। এছাড়া একটি তদন্ত কমিটিও গঠন করেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়