Cvoice24.com

বর্ণাঢ্য আয়োজনে চবির মার্কেটিং বিভাগের পোস্ট গ্র্যাজুয়েশন অনুষ্ঠান

চবি প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ১৮:২৪, ১০ নভেম্বর ২০২২
বর্ণাঢ্য আয়োজনে চবির মার্কেটিং বিভাগের পোস্ট গ্র্যাজুয়েশন অনুষ্ঠান

জমকালো আয়োজনে অনুষ্ঠিত হয়েছে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) মার্কেটিং বিভাগের ২৩তম ব্যাচের ‘পোস্ট গ্র্যাজুয়েশন সেরেমনি’। অনুষ্ঠানে বিভাগটির প্রায় পাঁচ শতাধিক শিক্ষক-শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করে।

বৃহস্পতিবার(১০ নভেম্বর) সকালে এক বর্ণাঢ্য র‌্যালির মাধ্যমে শুরু হয় এই আয়োজন। পরে কেক কেটে অনুষ্ঠানের শুভ উদ্বোধন করেন বিভাগটির শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। এসময় শিক্ষকরা দিক নির্দেশনামূলক বক্তব্য রাখেন। এছাড়া বিকেলে অনুষ্ঠিত হয় এক মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।

অনুষ্ঠান ঘিরে চবির মার্কেটিং বিভাগে মুখরিত হয়ে ওঠে শিক্ষার্থীদের আনাগোনায়। চারদিকে রঙ বেরঙের সাজসজ্জা রঙিন করে তুলে পুরো বিভাগ। শিক্ষার্থীরা সেজেছেন নানানরূপে। আবার দিনটিকে স্মরণীয় করে রাখছে ফটো ফ্রেমে আবদ্ধ হতে দেখা যায় অনেককে। এছাড়া দীর্ঘ সময় বিভাগটিতে পার করে শেষ মুহূর্তে এসে আবেগে ভেঙে পড়েন ২৩তম ব্যাচের শিক্ষার্থীরা।

এদিকে বিকেলে সাংস্কৃতিক পর্বে ছিলো বিভাগটির শিক্ষার্থীদের পরিবেশনায় গান-নাচ। যেখানে সকলে এক সুরে গেয়েছেন পুরোনো দিনের গান। আর গানে গানে হারিয়ে গেছেন বিশ্ববিদ্যালয় জীবনের প্রথমদিকের দিনগুলোতে। এছাড়া সিনিয়রদের সাথে শেষ সময়ে একসাথে উপভোগ করেছেন জুনিয়র শিক্ষার্থীরাও। 

‘পোস্ট গ্র‍্যাজুয়েশন সেরেমনি’ অনুষ্ঠানের আয়োজকদের একজন বিভাগটির শিক্ষার্থী মো. আরফাত উদ্দিন মামুন। তিনি বলেন, ‘এই ধরণের আয়োজন আমাদের মার্কেটিং ডিপার্টমেন্টের অনেক পুরাতন ঐতিহ্য। এ বছর আমরা ২৩তম ব্যাচ চেষ্টা করছি এই আয়োজনে কিছু নতুনত্ব নিয়ে আসতে। এক্ষেত্রে আমরা আমাদের ডিপার্টমেন্টের সকলের সর্বাত্মক সাহায্য পেয়ে আসলেই অনেক আনন্দিত। আমরা চেষ্টা করেছি আমাদের এই আয়োজনের মাধ্যমে সবাইকে বেশ আনন্দঘন কিছু মুহূর্ত উপহার দিতে ।’

বিভাগের ২৪ তম ব্যাচের শিক্ষার্থী আমজাদ হোসেন বলেন, ‘গত ৭ বছরে বন্ধুর মতো ডিপার্টমেন্টের যেসব সিনিয়রের ভালোবাসা পেয়েছি আজ তাদের প্রিয় এই আঙিনা থেকে বিদায় দিয়েছি। আমরা আশা করছি সুন্দর এক আয়োজনের মধ্য দিয়েই এটা করতে পেরেছি। আমরা তাদের সুন্দর ভবিষ্যৎ কামনা করছি। সেইসাথে অতীতের ন্যায় সামনেও তাদের পাশে চাই।’

বিভাগের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. তুনাজ্জিনা সুলতানা বলেন, ‘সেশনজটের কারণে সব ব্যাচ সময়মতো বের হতে পারে না। তবুও এই উৎসবে তারা নেতিবাচক সব স্মৃতি ভুলে বিভাগের সবার সঙ্গে একাত্ম হয়ে যায়। শিক্ষাজীবন শেষে তাদের এখন কর্মজীবনে প্রবেশের সময়। সুন্দর আগামীর জন্য তাই শুভ কামনা।’

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়