Cvoice24.com

চবিতে ছাত্রলীগের দু’গ্রুপের ভয়াবহ সংঘর্ষ, আহত ১৫

চবি প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ২২:৪০, ২ ডিসেম্বর ২০২২
চবিতে ছাত্রলীগের দু’গ্রুপের ভয়াবহ সংঘর্ষ, আহত ১৫

চিকা মারাকে কেন্দ্র করে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) ছাত্রলীগের দুই উপ-পক্ষের সংঘর্ষে অন্তত ১৫ ছাত্রলীগকর্মী আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। ভাঙচুর করা হয়েছে আবাসিক হলের প্রায় ১০টি কক্ষ। শুক্রবার (২ ডিসেম্বর) রাত ১০টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের এ এফ রহমান হলে এই সংঘর্ষের সূত্রপাত হয়। সংঘর্ষে জড়ানো পক্ষ দুটি হলো- শাখা ছাত্রলীগের বগি ভিত্তিক উপগ্রুপ বিজয় ও ভার্সিটি এক্সপ্রেস (ভিএক্স)। বিজয় শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান নওফেল ও ভিএক্স নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছির উদ্দীনের অনুসারী হিসেবে ক্যাম্পাসে পরিচিত।

রাত ১২টায় এই রিপোর্ট লিখা পর্যন্ত থেমে থেমে দুই পক্ষের ইট পাটকেল নিক্ষেপ চলছে। পুলিশ ক্যাম্পাসে অবস্থান নিলেও শান্ত হয়নি পরিবেশ।

জানা গেছে, চবির এ এফ রহমান হলের দেয়ালজুড়ে বিজয় গ্রুপের চিকা মারা হয়েছে বছরখানেক আগে। হলটিতে বিজয় গ্রুপ একক আধিপত্য বিস্তার করলেও ভিএক্সের অনুসারীরা বৃহস্পতিবার ও শুক্রবার দিনভর চিকা মেরে নিজেদের অবস্থান জানান দেয়। বিষয়টিকে কেন্দ্র করে দিনভর দুই পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা দেখা যায়। পরে শুক্রবার রাত ১০টার দিকে এ এফ রহমান হলে সংঘর্ষে জড়ায় পক্ষ দুইটি। এতে আহত হয় প্রায় ১৫ জন কর্মী। তবে তাৎক্ষণিক আহতদের নাম পরিচয় পাওয়া যায়নি। এদিকে সংঘর্ষের এক পর্যায়ে ভিএক্সের কর্মীরা ইট পাটকেল নিক্ষেপ ও লাঠিসোঁটা নিয়ে বিজয় গ্রুপের কর্মীদের হল থেকে বের করে দেয়। পরে বিজয় গ্রুপ আলাওল হলের মাঠে অবস্থান নিয়ে পাল্টা ইট পাটকেল নিক্ষেপ করতে থাকে।

অন্যদিকে দুই পক্ষের নেতাকর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হলে বেশ কয়েকটি ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায় বিবাদে জড়ায় উভয়পক্ষ। 

বিজয় গ্রুপের একাংশের নেতা আল আমিন বলেন, 'ভিএক্সের কর্মীরা বহিরাগতদের নিয়ে ফায়ার করেছে। এরপর মুখ ঢাকা অবস্থায় হলে প্রবেশ করে বিজয়ের ছাত্রদের রুম ভাংচুর করছে। অনেকেই হলের রুমে আটকা পড়ছে। আমরা এর বিচার চাই।'

ভিএক্স গ্রুপের নেতা ও ছাত্রলীগের সহ সভাপতি প্রদীপ চক্রবর্তীকে জানান, 'গতকাল ভোররাতে বিজয়ের ছেলেরা আমাদের চিকা মুছে দেয়। ভিএক্সের কর্মীরা এটার প্রতিবাদ করলে সংঘর্ষ বাঁধে। এখন ভিএক্সের কর্মীরা এ এফ রহমান হলে অবস্থান করছে আর বিজয়ের কর্মীরা হলের বাইরে আছে।'

প্রক্টর ড. রবিউল হাসান ভূঁইয়া বলেন, `আমরা ঘটনাস্থলে আছি। পরিস্থিতি শান্ত করার চেষ্টা করছি।'

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়