চবিতে সংঘর্ষ-ভাঙচুরে জড়িত ১৫ ছাত্রলীগ কর্মী
সিভয়েস প্রতিবেদক

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) ছাত্রলীগের দুই উপ-গ্রুপের সংঘর্ষ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থাপনা ভাঙচুরের ঘটনায় জড়িতদের শনাক্ত করতে মাঠে নেমেছে প্রশাসন। ইতোমধ্যে সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করে ১৫ জন ছাত্রলীগ কর্মীকে শনাক্ত করা হয়েছে। আগামীকাল (সোমবার) গঠন করা হবে তদন্ত কমিটিও।
রোববার সন্ধ্যায় সহকারী প্রক্টর ড. শহিদুল ইসলাম সিভয়েসকে বলেন, ‘গত শুক্রবার রাতে সংঘর্ষের ঘটনায় অনেকে আহত হয়েছে। ভাঙচুর করা হয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থাপনায়। এ ঘটনায় জড়িতদের কাউকে ছাড় দিবে না প্রশাসন।’
তিনি আরও বলেন, ‘ঘটনাস্থল থেকে সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করেছি। আমাদের এক সহকর্মী ও সাংবাদিকদের ওপরও চড়াও কিছু উশৃংখল ছাত্র। ইতোমধ্যে ঘটনায় জড়িত সন্দেহে ১৫ জনকে শনাক্ত করা হয়েছে। তাদের নাম ও বিভাগ যাচাই-বাছাই করা হচ্ছে। আগামীকাল তদন্ত কমিটি গঠন করা হবে। কমিটির রিপোর্ট অনুযায়ী প্রশাসন দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিবে। ক্যাম্পাস ও আবাসিক হলে শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ বজায় রাখতে প্রশাসন জিরো টলারেন্স নীতি অবলম্বন করবে।’
এর আগে গত শুক্রবার গ্রুপের নামে চিকা মারাকে কেন্দ্র করে এ এফ রহমান হলে রাতভর সংঘর্ষে জড়ায় ছাত্রলীগের উপ-গ্রুপ ভিএক্স ও বিজয়ের একাংশ। সংঘর্ষে পাল্টাপাল্টি আক্রমণে উভয়ের গ্রুপের ৩০ ছাত্রলীগ নেতাকর্মী আহত হয়। গুরুতর আহত পাঁচজনকে ভর্তি করা হয় চট্টগ্রাম মেডিকেল ও ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। এসময় ভাংচুর ও লুটপাট চালানো হয় এ এফ রহমান হলের ৩৫টি কক্ষে। সংঘর্ষ চলাকালে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন সহকারী প্রক্টর ও কর্মরত সাংবাদিকদের ওপর চড়াও হয় ছাত্রলীগের এক পক্ষের নেতা-কর্মীরা।