Cvoice24.com

চবি শিক্ষক সমিতিতে অন্তঃকোন্দল: একাই সভা ডাকলেন সভাপতি 

চবি প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ১৪:০৬, ৫ জানুয়ারি ২০২৩
চবি শিক্ষক সমিতিতে অন্তঃকোন্দল: একাই সভা ডাকলেন সভাপতি 

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) শিক্ষক সমিতিতে অন্তঃকোন্দলের অভিযোগ ওঠেছে। এবার সভাপতি (ভারপ্রাপ্ত) অধ্যাপক আব্দুল হক একাই সংগঠনটির কার্যনির্বাহি পরিষদের সাধারণ সভা ডেকেছেন। সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক সজিব কুমার ঘোষকে অনুরোধ করেও সাড়া না পাওয়ায় তিনি নিজেই আগামী রোববার (৮ জানুয়ারি) আহবান করেছেন।

বুধবার (৪ জানুয়ারি) এ নিয়ে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্যাডে সভাপতি (ভারপ্রাপ্ত) অধ্যাপক আব্দুল হক স্বাক্ষরিত একটি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়।

এতে বলা হয়, নিম্নস্বাক্ষরকারী কর্তৃক সমিতির সম্মানিত সাধারণ সম্পাদককে উপর্যুপরি অনুরোধ করা সত্ত্বেও তিনি সভা আহবান না করায় কার্যনির্বাহী পরিষদের অধিকাংশ সদস্যের অনুরোধক্রমে সমিতির সভাপতি (ভারপ্রাপ্ত) হিসেবে আমি নিজেই আগামী ০৮/০১/২০২৩ তারিখ রবিবার দুপুর ১২.০০ টার সময় চবি শিক্ষক সমিতি কার্যালয়ে সমিতির কার্যনির্বাহী পরিষদের একটি সাধারণ সভা আহ্বান করছি।

তবে বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখিত অভিযোগটি অস্বীকার করেছেন শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক সজিব কুমার ঘোষ।

তিনি বলেন, ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ৪ জানুয়ারি সভা দিতে চেয়েছিলেন। কিন্তু ওইদিন সমস্যা থাকাতে আমি উনাকে অনুরোধ করেছিলাম সভাটা ৮ জানুয়ারি দেয়ার জন্য। তিনি ৮ তারিখেই মিটিংটি দিয়েছেন। এজন্য আমি উনাকে টেলিফোনে ধন্যবাদ জানিয়েছি৷ কিন্তু আমি সাড়া না দেয়ার যে অভিযোগটি তিনি দেখিয়েছেন এটা সম্পূর্ণ ভুল।

তিনি আরও বলেন, আমি নিজেই নিয়মানুযায়ী অন্তত ৪৮ ঘণ্টা সময় হাতে রেখে সভা আহবানের বিজ্ঞপ্তি দিতাম। কিন্তু তার আগেই তিনি নিজে সভা আহবান করে ফেলেছেন।

অপরদিকে সভাপতি (ভারপ্রাপ্ত) অধ্যাপক আব্দুল হক বলছেন ভিন্ন কথা। তিনি বলেন, নিয়মানুযায়ী সভা আহবানের কথা সাধারণ সম্পাদকের। আমি সাধারণ সম্পাদককে ১ জানুয়ারি মেইল করেছিলাম ৪ জানুয়ারি সভা আহবানের কথা জানিয়ে। আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপেও তা জানিয়েছিলাম। ২ তারিখ আবার রিমাইন্ডারও দিয়েছিলাম। কিন্তু তিনি সাড়া দেননি। 

৩ তারিখে এসে উনার সাথে আমার ফোনে কথা হয়। এক্ষেত্রে নিয়ম হচ্ছে অন্তত ৪৮ ঘণ্টা আগে সভার ঘোষণা দিতে হয়। তাই ৪ তারিখে দিতে গেলে ৪৮ ঘণ্টা সময় আমরা পাচ্ছি না। সে কারণে আমি উনাকে পরামর্শ দিলাম ৫ জানুয়ারি সভা ডাকার জন্য। কিন্তু উনি জানালেন তিনি ৫ তারিখ থাকতে পারবেন না। যার ফলে আমি বললাম তাহলে ৪ তারিখেই জরুরি ভিত্তিতে সভা ডাকেন। কিন্তু ৪ তারিখ পেরিয়ে ৪ তারিখ দুপুর হয়ে গেছে তবুও তিনি সভা আহবানের কোনো উদ্যোগ গ্রহণ করেননি। অপরদিকে কার্যনির্বাহী সদস্যরা আমাকে বারবার অনুরোধ করছে সভা আহবানের জন্য। এদিকে ৫ তারিখ সভা ডাকলে সাধারণ সম্পাদক থাকতে পারবেন না, আবার ৪৮ ঘণ্টার শর্তও পূর্ণ হবে না। 
আবার ৬ আর ৭ তারিখ দুদিন ছুটির দিন পড়ে গেছে। তাই ৮ জানুয়ারি সভা আহবান করতে হয়েছে।'

প্রসঙ্গত,  গত ৩০ ও ৩১ ডিসেম্বর চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেটে শিক্ষক প্রতিনিধি না থাকার বিষয়ে দুটি পাল্টাপাল্টি সংবাদ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি (ভারপ্রাপ্ত) অধ্যাপক আব্দুল হক ও সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক সজিব কুমার ঘোষ।

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়