ষষ্ঠ মেধাতালিকার পরও শিক্ষার্থী পায়নি চবি, ফাঁকা তিন শতাধিক আসন
চবি প্রতিনিধি

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষের ভর্তি পরীক্ষার ষষ্ঠ মেধাতালিকা প্রকাশ করেও সব আসন পূর্ণ করতে পারেনি প্রশাসন। ৪ হাজার ৯২৬টি আসনের বিপরীতে এখনো তিন শতাধিক আসন খালি রয়েছে। এছাড়া শূন্য আসন পূরণ করতে ৭ম মেধাতালিকাও প্রকাশ করেনি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। হয়নি। এ নিয়ে ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীদের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে। অনেকে হতাশা ও ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের আইসিটি সেলের পরিচালক অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ খাইরুল ইসলাম বলেন, আমাদের ষষ্ঠ পর্যায়ের প্রাথমিক ভর্তি কার্যক্রম শেষ হয়েছে। বিভিন্ন ডিন অফিস থেকে পাঠানো তথ্য অনুযায়ী এখন পর্যন্ত কিছু আসন খালি রয়েছে। ভর্তি কমিটি মিটিং করে সপ্তম পর্যায়ের ভর্তি কার্যক্রমের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিবে।
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, বিজ্ঞান, জীববিজ্ঞান, ইঞ্জিনিয়ারিং ও মেরিন সায়েন্সেস অ্যান্ড ফিশারিজ অনুষদভুক্ত এ ইউনিটে খালি রয়েছে ১০৫ আসন। এছাড়া কলা ও মানববিদ্যা অনুষদের বি ও বি১ ইউনিটে ৮৩, ব্যবসায় প্রশাসন অনুষদের সি, সি১ ও সি২ ইউনিটে ৬৫, সমাজবিজ্ঞান ও আইন অনুষদের ডি ইউনিটে ৫২ আসন খালি। সে হিসাবে মোট খালি আসনের সংখ্যা ৩০৫টি।
এ ইউনিটের মেধাতালিকায় অপেক্ষমান পাবনার আদনান শরিফ অনিক বলেন, আমরা আগ্রহ নিয়ে অপেক্ষা করছি ৭ম তালিকার জন্য। পরবর্তীতে আসন আরও খালি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। কারণ পরিচিত অনেকে কৃষিগুচ্ছে ভর্তির জন্য চবি থেকে ভর্তি বাতিল করেছেন।
নূর ই জান্নাত নূপুর বলেন, আগে মেরিট লিস্টের শেষের দিকে অপেক্ষমানদের আগ্রহের ভিত্তিতে খালি আসন পূরণ করা হতো। কর্তৃপক্ষ চাইলে এই পদ্ধতি অনুসরণ করতে পারেন।
বিভাগগুলোতে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, প্রাণিবিদ্যা বিভাগের ১০০ আসনের মধ্যে ভর্তি হয়েছেন ৭১ জন। নৃবিজ্ঞান বিভাগের মোট ১০৫ আসনের মধ্যে ভর্তি হয়েছেন ৫৯ জন। একই চিত্র উদ্ভিদবিজ্ঞান, মৃত্তিকাবিজ্ঞান, মনোবিজ্ঞানসহ অনেক বিভাগে।
এদিকে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তিতে অনীহার অন্যতম কারণ হিসেবে সেশনজট, রাজনৈতিক সংঘাত, শহর থেকে অবস্থানগত দূরত্বকে দায়ী করেছেন অভিভাবক ও শিক্ষার্থীরা। বিভিন্ন বিভাগে ভর্তি হয়েও ভর্তি বাতিল করা একাধিক শিক্ষার্থী জানান, টিভির পর্দায় ও সংবাদপত্রে প্রায়শই ক্যাম্পাসে সংঘাত-সংঘর্ষের খবর পাওয়া যায়। এতে অভিভাবকেরা ভবিষ্যৎ নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করে এখানে পড়তে দিচ্ছেন না। এ ছাড়া বেশ কয়েকটি বিভাগে দীর্ঘমেয়াদি সেশনজট রয়েছে। তাই অন্য বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হচ্ছেন তারা।
ভর্তি কমিটির সভাপতি ও চবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. শিরীণ আখতার বলেন, যেহেতু ক্লাস শুরু হয়ে গেছে। সম্ভবত এখন আর ৭ম তালিকা দিবে না। ভর্তি পরীক্ষা কমিটিও আর চায় না। ইউজিসি থেকেও নির্দেশনা আছে কম শিক্ষার্থী নেওয়ার জন্য। তবে, ৭ম তালিকা দিলে যদি শিক্ষার্থীরা উপকৃত হয়, আমরা দেখি। সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে আলাপ করে বলা যাবে।