Cvoice24.com

যেমন ক্যাম্পাস চান চবি শিক্ষার্থীরা

চবি প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ১৯:৪০, ২৯ আগস্ট ২০২৪
যেমন ক্যাম্পাস চান চবি শিক্ষার্থীরা

ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে শেখ হাসিনা সরকার পতনের পর শিক্ষার্থীদের তোপের মুখে পদত্যাগ করেছেন বেশিরভাগ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক শীর্ষ পদে থাকা শিক্ষকরা। 

রাষ্ট্র সংস্কারের সাথে সাথে শিক্ষার্থীরা চান বিশ্ববিদ্যালয়ের সামগ্রিক পরিবেশের পরিবর্তন। অ্যাকাডেমিক এবং প্রশাসনিক কার্যক্রমের গতিশীলতার পাশাপাশি তারা চান গবেষণায় আরো বেশি সুযোগ। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) প্রশাসনিক শীর্ষ পদগুলোতে থাকা শিক্ষকদের পদত্যাগের পর থেকে কেমন বিশ্ববিদ্যালয় চান চবিয়ানরা-তা নিয়ে জোরালো আলোচনা শিক্ষার্থীদের মুখে মুখে। 

উপাচার্য, উপ-উপাচার্য, প্রক্টর, আবাসিক হলের প্রভোস্টসহ প্রশাসনিক পদগুলোতে যোগ্যদের পদায়নের পাশাপাশি নিজেদের চাওয়া-পাওয়ার কথাগুলো বিভিন্ন মাধ্যমে তুলে ধরছেন শিক্ষার্থীরা। 

‘কেমন হওয়া উচিত চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়’ জানতে চাইলে অর্থনীতি বিভাগের ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী মুনতাহা তাজরীন বলেন, ‘চবিতে সর্বপ্রথম সব ধরনের ছাত্র এবং শিক্ষক রাজনীতি বন্ধ করা উচিত। সিএনজি অটোরিকশার ভাড়া কমানোর ব্যবস্থা করা উচিত, না হয় বিকল্প ব্যবস্থা করা। শাটলের বগি বৃদ্ধি এবং শিডিউল মেনে নিয়ম করে চলার ব্যবস্থা নিতে হবে। চবির ভেতরকার বাজার এবং দোকান গুলোতে দ্রব্যমূল্য বেশি নেয়ার বিষয়টি তদারকির ব্যবস্থা করতে হবে। রাতের ক্যাম্পাসে নিরাপত্তা আরো জোরদারের পাশাপাশি যেকোনো ধরনের মাদক এবং নেশাজাতীয় দ্রব্য কোন শিক্ষার্থীর কাছে পাওয়া গেলে তাকে বহিষ্কার করা এবং তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা জরুরি।’ 

চবির আইন বিভাগের ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী মুহাম্মদ জোহা বলেন, ‘হলের খাবারের মান বাড়াতে হবে। খাবার হোটেলগুলোতে নিয়মিত তদারকির মাধ্যমে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে আনতে হবে। চক্রাকার বাস সার্ভিস চালু করতে হবে। বিভিন্ন ডিপার্টমেন্টের সেশনজট সমস্যার সমাধানের পাশাপাশি শিক্ষা ও গবেষণার সুস্থ পরিবেশ তৈরি করা জরুরি। শিক্ষকগণ যেন নিয়মিত ক্লাস নেয় সে জবাবদিহিতাও নিশ্চিত করতে হবে।’ 

মনোবিজ্ঞান বিভাগের ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী নাইম ইসলাম বলেন, ‘আমরা একটি বৈষম্যহীন রাষ্ট্র বিনির্মাণের জন্য রাজপথে নেমেছি। আমরা চাই শহীদদের রক্তে অর্জিত এই স্বাধীনতা যেন ম্লান হয়ে না যায়। এই ক্যাম্পাসে সকল ধরনের ছাত্ররাজনীতির নামে শিক্ষার্থী নির্যাতন চিরদিনের জন্য বন্ধ হোক। হলগুলোতে মেধা এবং দূরত্বের ভিত্তিতে সিট বরাদ্দ দেওয়া হোক। খাবারের মান বৃদ্ধি করার পাশাপাশি শিক্ষার স্বাভাবিক পরিবেশ নিশ্চিত করা প্রয়োজন।’ 

আরবি বিভাগের ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী মিফতাহুল আবেদীন আশিক বলেন, ‘অতিদ্রুত উপাচার্য ও অন্যান্য প্রশাসনিক পদগুলোতে নিয়োগ দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় খুলে দেওয়া দরকার। এরপর শিক্ষার্থীদের সিট বরাদ্দ দিয়ে শিক্ষার পরিবেশ ফিরিয়ে আনতে হবে। একটি নিরাপদ ক্যাম্পাস আমাদের সকলের চাওয়া।’ 

উল্লেখ্য, ১৯৬৬ সালে প্রতিষ্ঠিত চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় আয়তনে দেশের সর্ববৃহৎ বিদ্যাপীঠ। এটি চট্টগ্রাম শহর থেকে ২২ কিলোমিটার দূরে হাটহাজারী উপজেলার ফতেপুরে অবস্থিত।

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়

: