কক্সবাজারে মসজিদ কমিটির সভাপতি কর্তৃক ইয়াবা ছিনতাই
ছবি: প্রতিনিধি
কক্সবাজার শহরের মসজিদ কমিটির সভাপতি কর্তৃক ইয়াবা ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে।
ঘটনাটি ঘটেছে শহরের বাসটার্মিনাল সংলগ্ন ঝিলংজা দক্ষিণ ডিককুল এলাকায়।
জানা গেছে, সদর উপজেলার ঝিলংজা ইউনিয়নের দক্ষিণ ডিককুল এলাকায় গত শনিবার (৫ এপ্রিল) বিকেলে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে ৫০ হাজার ইয়াবা ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনার প্রধান অভিযুক্ত আব্দুস সালাম স্থানীয় দক্ষিণ ডিককুল বায়তুল মোকারম জামে মসজিদের সভাপতি।
স্থানীয়রা জানান, গত শনিবার বিকেল চারটার দিকে সিএনজি নিয়ে একজন ইয়াবা ব্যবসায়ী দক্ষিণ ডিককুল এলাকায় ঢুকে। পরে ওই ব্যবসায়ী দক্ষিণ ডিককুলের নফর ওরফে বার্মাইয়া নফরের বাড়ির সামনে পৌছলে আব্দুস সালামের নেতৃত্বে চারজন যুবক ওই ইয়াবা ব্যবসায়ীকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে। পরে ওই ইয়াবা ব্যবসায়ীর সাথে থাকা ৫০ হাজার ইয়াবা ছিনিয়ে নেয়। ওই ইয়াবার মালিকের বাড়ি উখিয়া উপজেলার থাইংখালী গ্রামে।
স্থানীয়রা আরও জানান, আব্দুস সালামের নেতৃত্বে ইয়াবা ছিনতাইয়ে অংশ নেয় তাঁর সিন্ডিকেটের অন্যতম সদস্য মুফিজ প্রকাশ ইয়াবা মুফিজ, বাপ্পি ও ডাকাত মতিন। তারাও এলাকায় ইয়াবা পাচারকারি ও ছিনতাইকারী হিসেবে পরিচিত।
অনুসন্ধানে জানা গেছে, দক্ষিণ ডিককুল এলাকার আব্দুস সালাম একজন চিহ্নিত ইয়াবা ব্যবসায়ী। কয়েক বছর আগে তিনি ইয়াবাসহ ধরা পড়ে কারাভোগ করেন। পরে কারাগার থেকে বের হয়ে সিএনজি চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করতেন। এরই মধ্যে জড়িয়ে পড়েন ইয়াবা ব্যবসায়। ইয়াবার বদৌলতে হঠাৎ আর্থিক অবস্থার পরিবর্তন হয় আব্দুস সালামের। বর্তমানে মাইক্রো ও কারগাড়ি ছাড়াও কয়েকটি পরিবহণের মালিক তিনি।
টাকার প্রভাব বিস্তার করে স্থানীয় দানু মিয়া নামে এক নিরীহ ব্যক্তির বসতভিটা কেড়ে নেয় আব্দুস সালাম। বসতভিটা কেড়ে নেওয়ার ঘটনায় তার বিরুদ্ধে থানায় মামলাও হয়।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় এক ব্যক্তি বলেন, ইয়াবার টাকার প্রভাব বিস্তার করে আব্দুস সালাম দক্ষিণ ডিককুল বায়তুল মোকারম জামে মসজিদের সভাপতির পদ ভাগিয়ে নিয়ে বনে যান সমাজসেবক। প্রশাসন এবং সাধারণ মানুষের চোখে ধুলো দিতে মসজিদ কমিটির সভাপতি হন তিনি। তার অত্যাচারে সাধারণ মানুষ চরম অসহায় হয়ে পড়েছে।
স্থানীয় ছালামত উল্লাহ জানান, ইয়াবা ব্যবসায়ী সালাম কিছুদিন আগে তার বসতভিটা দখল করতে চেয়েছিল। বাঁধা দেওয়ায় তাকে হত্যার হুমকি দেয়।
এবিষয়ে বক্তব্য নেওয়ার জন্য আব্দুস সালামের মুঠোফোনে কয়েকবার যোগাযোগ করা হয়। কিন্তু ফোন রিসিভ না করায় তার বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।
কক্সবাজার সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফরিদ উদ্দীন খন্দকার বলেন, বিষয়টি তিনিও শুনেছেন। আব্দুস সালাম নামে এক ব্যক্তির জড়িত থাকার অভিযোগ উঠেছে। জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
সিভয়েস/এএন/এমআইএম
61