Cvoice24.com

মাতারবাড়িতে বেড়িবাঁধ ঘেঁষে বালি উত্তোলন, ঝুঁকিতে দু’শতাধিক পরিবার

এস এম রুবেল, মহেশখালী

প্রকাশিত: ১৯:৫৫, ১ আগস্ট ২০২১
মাতারবাড়িতে বেড়িবাঁধ ঘেঁষে বালি উত্তোলন, ঝুঁকিতে দু’শতাধিক পরিবার

কক্সবাজার জেলার মহেশখালীর শিল্পাঞ্চল খ্যাত মাতারবাড়ি ধলঘাটার মানুষ এই বর্ষা মৌসুমে চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে। বেড়িবাঁধ ও জিও ব্যাগ ঘেষে জহির এন্টারপ্রাইজ নামে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের বালি উত্তোলণের কারণে এ বর্ষায় যে কোন মুহূর্তে জিও ব্যাগগুলো সরে গিয়ে বাড়ি-ঘর তলিয়ে যেতে পারে— এই শঙ্কায় দিন কাটছে দু’শতাধিক পরিবার।

জানা যায়, চলতি বর্ষা মৌসুম শুরুর দিকে মাতারবাড়ির পশ্চিমের নষ্ট বেড়িবাঁধে জিও ব্যাগ বসানোর কাজ শুরু করা হয়। এছাড়াও ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের তাণ্ডবে ভাঙা বেড়িবাঁধের বিভিন্ন অংশেও জিও ব্যাগ বসানো হয়েছিল। বিগত ক’দিনের ভারি বর্ষণে সাগরে জোয়ারের পানি বৃদ্ধি পেয়ে আবারো জিও ব্যাগগুলো নষ্ট হয়ে লোকালয়ে পানি প্রবেশ করে প্রায় শতাধিক বাড়ি-ঘর ডুবে যায়। স্থানীয়রা জানিয়েছেন, টেকসই বেড়িবাঁধ নির্মাণ না হলে প্রতিবছর জিও ব্যাগ স্থাপন করে তাদের বাড়িঘর রক্ষা করা যাবে না।

রবিবার (১ আগস্ট) বিকেলে সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, বেড়িবাঁধ ও জিও ব্যাগ বসানোর স্থান থেকে মাত্র ৭-৮ মিটার জায়গা থেকে বালি উত্তোলন করে বিশাল আকৃতির গর্ত করা হয়েছে। এসব বালি উত্তোলণের কারণে যে কোন মুহূর্তে জিও ব্যাগগুলো সরে যেতে পারে। এতে করে লোকালয় আবারো প্লাবিত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

বেড়িবাঁধ ঘেষে বালি বালি উত্তোলনকে দায়িত্বকাণ্ডহীন কাজ উল্লেখ করে তৌহিদুল ইসলাম নামে এক যুবক বলেন, ‘জিও ব্যাগের পাশ থেকে বালি উত্তোলন বন্ধের অনুরোধ করা হলেও কর্মরতরা জানিয়েছেন— গর্তগুলো জোয়ারের পানিতে ভরাট হয়ে যাবে। যেটি সম্পূর্ণ অযৌক্তিক ও ভিত্তিহীন।’

স্থানীয়দের জানায়, বেড়িবাঁধের ভাঙা অংশে কাজ না করে আগের স্থাপিত জিও ব্যাগের পাশেই কাজ করছে তারা। ইতোমধ্যে তাদের ঘরবাড়ি পানিতে তলিয়ে গেছে। তাই ভাঙা অংশে জিও ব্যাগ বা বেড়িবাঁধ দেয়ার দাবি তাদের। 

এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. মাহফুজুর রহমান জানান, বিষয়টি জানার পরপরই কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হয়েছে। দ্রুত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলনের (বাপা) সাধারণ সম্পাদক কলিম উদ্দিন কলিম জানান, বেড়িবাঁধের পাশ থেকে বালি বা মাটি উত্তোলনের কোন নিয়ম নেই। অথচ নিয়ম না মেনেই ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান বালি উত্তোলন করে বেড়িবাঁধ হুমকির মুখে ঠেলে দিচ্ছে।

এই কাজে নিয়োজিত জহির এন্টারপ্রাইজের ঠিকাদার নজরুল ইসলাম বলেন, ‘নিয়োজিত শ্রমিকরা অনিয়ম করছে কি না জানা নেই। অভিযোগের বিষয়ে খোঁজ নিচ্ছি।’

এদিকে বিষয়টি সম্পর্কে বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী প্রবীর কুমার গোস্বামীর সাথে বারবার ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করেও বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়