Cvoice24.com

উখিয়ায় চুরির অপবাদে দুই কিশোরকে গাছে ঝুলিয়ে নির্যাতন, ভিডিও ভাইরাল!

কক্সবাজার প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ২০:৫২, ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২২
উখিয়ায় চুরির অপবাদে দুই কিশোরকে গাছে ঝুলিয়ে নির্যাতন, ভিডিও ভাইরাল!

কক্সবাজারের উখিয়ায় ছাগল চুরির অপবাদে দুই কিশোরকে গাছে ঝুলিয়ে অমানুষিক নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে। 

শুক্রবার (২৩ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যা ৬টার দিকে উখিয়া উপজেলার রত্নাপালং তেলীপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হলে  শনিবার বিষয়টি সর্বমহলের নজরে আসে।

নির্যাতনের শিকার কিশোররা হলেন, উখিয়া রত্নাপালং তেলীপাড়া গ্রামের মৃত আবদুল হামিদের ছেলে মোহাম্মদ ইমন (১৫) ও একই এলাকার মৃত জাফর আলমের ছেলে মোস্তাক মিয়া।

নির্যাতনের শিকার ইমন বলেন, ৯ মাস আগে একটি ছাগল হারিয়ে যায়। ওই ছাগল চুরির সন্দেহে শুক্রবার সন্ধ্যা ৬টার দিকে আমাদের রত্নাপালং তেলীপাড়া গ্রামের শাকিব (১৯) ও আনোয়ারের (২৫) নেতৃত্বে ৪-৫ জন কৌশলে আমাদের ডেকে নিয়ে যায় তাদের ঘরে। কিছু বুঝে ওঠার আগেই গাছের সঙ্গে বেঁধে ঝুলিয়ে লাঠি দিয়ে বেধড়ক পেটায় তারা। ঘণ্টার পর ঘণ্টা দফায় দফায় শারীরিক নির্যাতন চালায়।

ইমনের পরিবারের অভিযোগ, শুক্রবার সন্ধ্যা থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত দফায় দফায় ইমনের ওপর এ অমানবিক নির্যাতন চালানো হয়। সেখান থেকে উদ্ধার করে ইমনকে উখিয়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হলে পরে চিকিৎসক রেফার্ড করে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে পাঠাই।

ভিডিওতে দেখা যায়, কিশোর ইমন ও আনোয়ারকে রশি দিয়ে বেঁধে গাছের সঙ্গে ঝুলিয়ে শাকিব, আনোয়ারসহ কয়েকজন বেধড়ক মারধর করছে আর আশপাশে দাঁড়িয়ে তা দেখছেন ওই বাড়ির লোকজন।  এ সময় অনেককে ভিডিও করতেও দেখা গেছে। মারধরে ইমন ও আনোয়ারের শরীরে রক্তাক্ত জখম হতেও দেখা গেছে। 

নির্যাতিত ইমনের বড় ভাই মামুন বলেন, শাকিবদের ছাগলটি ৯ মাস আগে হারিয়ে গেছে। হঠাৎ আমার ভাইকে কাল ডেকে নিয়ে আমার সামনে গাছের সঙ্গে ঝুলিয়ে বেধড়ক মারধর করেছে। আর আমি চিৎকার দিচ্ছিলাম। চিৎকার দেওয়া ছাড়া আমার কিছু করার ছিল না। কারণ তারা ওই এলাকার প্রভাবশালী। এই মুহূর্তে ইমনের আবস্থা আশঙ্কাজনক । 

উখিয়া থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শেখ মোহাম্মদ আলী বলেন, এখনো পর্যন্ত আমরা কোনো অভিযোগ পাইনি। তবে যে ভিডিওটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়েছে সেটি আমাদের নজরে এসেছে। ছাগল চুরির জন্য এভাবে কাউকে নির্যাতন করা যায় না। অভিযুক্তদের আমরা আইনের আওতায় আনব।

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়