Cvoice24.com

 ভাসানচর যেতে উখিয়া থেকে চট্টগ্রামের পথে ১ হাজার রোহিঙ্গা 

কক্সবাজার প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ১৪:৫১, ২ মার্চ ২০২১
 ভাসানচর যেতে উখিয়া থেকে চট্টগ্রামের পথে ১ হাজার রোহিঙ্গা 

২০ টি বাস করে প্রায় এক হাজার রোহিঙ্গা নিয়ে উখিয়া থেকে চট্টগ্রামের উদ্দ্যশে রওনা হয়েছে।

কক্সবাজারের উখিয়া ও টেকনাফের ৩৪ টি রোহিঙ্গা শিবির রয়েছে। এখানে বসবাস সাড়ে ১১ লাখের অধিক রোহিঙ্গা। এসব রোহিঙ্গা ক্যাম্প থেকে পঞ্চম ধাপে প্রায় চার হাজার রোহিঙ্গা নারী-পুরুষ ও শিশু স্বেচ্ছায় নোয়াখালীর ভাসানচরে যাচ্ছে। মঙ্গলবার দুপুর একটার দিকে পঞ্চম দফার প্রথম অংশে ২০ টি বাস করে প্রায় এক হাজার রোহিঙ্গা নিয়ে উখিয়া থেকে চট্টগ্রামের উদ্দ্যশে রওনা হয়েছে। রোহিঙ্গাদের বহনকারী বাস নিয়ন্ত্রণ করার জন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর একটি বাসও সাথে রয়েছে। 

মঙ্গলবার সকাল থেকে উখিয়া ও টেকনাফের বিভিন্ন রোহিঙ্গা ক্যাম্প থেকে মিনিবাসে করে রোহিঙ্গাদের আনা হয়। উখিয়া কলেজ মাঠে অস্থায়ী ক্যাম্প ও ঘুমধুম ট্রানজিট ক্যাম্প থেকে রোহিঙ্গাদের এনে সকাল ও দুপুরের খাবার দেওয়া হয়। বাসে উঠার আগে স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয়।  

সোমবার বিকেলে ও মঙ্গলবার দুপুর পর্যন্ত নিবন্ধনের পর তাদের অস্থায়ী ট্রানজিট ক্যাম্প উখিয়া কলেজ মাঠে আনা হয়েছে। সেখান থেকে বাসযোগে প্রথমে চট্টগ্রাম এবং পরে নৌবাহিনীর জাহাজে করে ভাসানচরে নেওয়া হবে। শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনের অতিরিক্ত কমিশনার শামসুদ্দৌজা নয়ন বলেন, ‘কয়েক ধাপে এখন পর্যন্ত ১০ হাজার রোহিঙ্গা ভাসানচরে গেছেন। তারা সেখানে এই শিবিরগুলোর চেয়ে অনেক ভাল পরিবেশে রয়েছে। এটি সরকারের একটি চলমান প্রক্রিয়া। পর্যায়েক্রমে এক লাখ রোহিঙ্গাকে নেওয়া হবে ভাসানচরে।’

রোহিঙ্গা মাঝিরা বলেন, ‘স্বেচ্ছায় রাজি হয়ে রোহিঙ্গারা ভাসানচর গিয়ে সেখানকার পরিবেশ, থাকা খাওয়ার সুবিধা উখিয়া ও টেকনাফের ক্যাম্পে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গাদের জানালে যারা যেতে রাজি হয়েছে, তাদের নিবন্ধনের মাধ্যমে হস্তান্তর করা হয়।’ 

রোহিঙ্গাদের সংগঠন আরাকান রোহিঙ্গা সোসাইটি ফর পিস অ্যান্ড হিউম্যান রাইটসের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ উল্লাহ বলেন, ‘বর্তমান জীবন-যাপনের চেয়ে অনেকটা উন্নত ভাসানচর। আমরা সাধারণ রোহিঙ্গা ভাইদের বুঝাচ্ছি যাতে তারা নিজ ইচ্ছায় ভাসানচর যায়। সেখানে তারা ভাল থাকবেন। যারা ভাসানচরে গেছে তারা অনেক ভাল আছে বলে শুনছি।’

উল্লেখ্য, মিয়ানমার সেনাবাহিনী ও সরকারের দমন-পীড়নে নিপীড়িত ও বাস্তুচ্যুত হয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া সাড়ে ১১ লাখের বেশি রোহিঙ্গা বর্তমানে টেকনাফ ও উখিয়ার ক্যাম্পগুলোতে বসবাস করছে। তাদের নিজ দেশে সসম্মানে ফিরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা চালাচ্ছে সরকার। তবে এখানকার ঘিঞ্জি পরিবেশ থেকে আপাতত নিরাপদ জীবনযাপনের জন্য অন্তত এক লাখ রোহিঙ্গাকে ভাসানচরে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। এরই মধ্যে সেখানে প্রায় ১০ হাজার রোহিঙ্গা চলে গেছে।  

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়