Cvoice24.com

অপহরণের ৩ মাস পর উদ্ধার হলো মহেশখালীর মোজাহিদ

কক্সবাজার প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ১৯:৪৭, ৩ মার্চ ২০২১
অপহরণের ৩ মাস পর উদ্ধার হলো মহেশখালীর মোজাহিদ

অপহরণের ৩ মাস পর উদ্ধার হলো মহেশখালীর মোজাহিদ।

মহেশখালীর কিশোর মোজাহিদকে অপহরণ করে ছেড়ে দিতে ৪ লাখ টাকা মুক্তিপণের দাবি করে অপহরণকারীরা। মুক্তিপণের জন্য অপহারণকারীরা ফোন করে অপহৃত কিশোর মোজাহিদের বাবাকে। মুক্তিপণের টাকা নিতে এলে এক নারী অপহরণকারীকে আটক করা হয়। এ নারী অপহরণকারীকে গ্রেপ্তারের ১৩ দিন পরে কিশোর মোজাহিদকে উদ্ধার করা হয়।

বুধবার (৩ মার্চ) বিকেল ৫টায় মহেশখালী (সার্কেল) সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান। 

ভিকটিম মোজাহিদ মহেশখালী পৌরসভার সিকদার পাড়া এলাকার বাসিন্দা আব্দুল গফুরের ছেলে। আটককৃত নারী অপহরণকারী রোজিনা আক্তার টেকনাফ শামলাপুর এলাকার জহির আলমের মেয়ে।

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, ৩ মাস আগে অপহৃত কিশোর মো. মোজাহিদকে ছেড়ে দিতে ৪ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে ছেলের বাবাকে ফোন করে অপহরণকারীরা। ফোনের সূত্র ধরে মুক্তিপণের টাকা নিতে টেকনাফের রোজিনা আক্তার নামে এক নারী অপহরণকারী গত ১৭ ফেব্রুয়ারি মহেশখালী আসলে পুলিশ তাকে স্থানীয়দের সহায়তায় আটক করা হয়। এরপর রোজিনাকে নিয়ে পুলিশ একাধিকবার কক্সবাজার ও চট্টগ্রামের বিভিন্ন জায়গায় অভিযান চালিয়ে ব্যর্থ হলেও অবশেষে অপহরণকারীদের অবস্থান নিশ্চিত হয়ে গতকাল মঙ্গলবার বিকেল থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত তার নির্দেশে মহেশখালী থানার অফিসার ইনচার্জ মাে. আব্দুল হাই এর নেতৃত্বে পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মো. আশিক ইকবাল অপহৃত মো. মোজাহিদকে (১৬) রোহিঙ্গা ক্যাম্প থেকে উদ্ধার করা হয়।

মহেশখালী থানার অফিসার ইনচার্জ মো. আব্দুল হাই বলেন, ‘অপহরণের ঘটনায় অপহৃত মোজাহিদের পিতা আব্দুল গফুর বাদি হয়ে মহেশখালী থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০ (সংশােধীত ২০০৩) এর ৭/৮/৩০ ধারায় মামলা দায়ের করে। উক্ত মামলায় রোজিনা আক্তারকে (২৭) আসামি করে অজ্ঞাতদের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। বাকি আসামিদের গেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে। মামলাটি এস আই মো. মফিজুল ইসলাম তদন্ত করছে।’

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়