Cvoice24.com

মুহিবুল্লাহ হত্যা পূর্ব পরিকল্পিত, ২ মিনিটেই ‘কিলিং মিশন’

কক্সবাজার প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ১৫:৫০, ২৩ অক্টোবর ২০২১
মুহিবুল্লাহ হত্যা পূর্ব পরিকল্পিত, ২ মিনিটেই ‘কিলিং মিশন’

কক্সবাজারের উখিয়ায় রোহিঙ্গাদের শীর্ষ নেতা ও আরাকান রোহিঙ্গা সোসাইটি ফর পিস অ্যান্ড হিউম্যান রাইটসের (এআরএসপিএইচ) চেয়ারম্যান মুহিবুল্লাহ হত্যাকাণ্ড পূর্ব পরিকল্পিত ছিল। মাত্র ২ মিনিটেই মুহিবুল্লাহর হত্যার মিশন শেষ করে পালিয়ে যান। তাদের মধ্যে ৫ জন অস্ত্রধারী ছিল। এ হত্যাকাণ্ডে সর্বমোট ১৯ জন কাজ করেছে।

শনিবার (২৩ অক্টোবর) দুপুরে উখিয়ায় প্রেস ব্রিফিংয়ে ১৪ আমর্ড পুলিশ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক এসপি নাঈমুল হক এসব তথ্য জানান।

‘মুহিবুল্লার হত্যার দুই দিন আগে মরগজ পাহাড়ে কিলিং মিশনের জন্য বৈঠক করে দুর্বৃত্তরা। সেখান থেকে ৫ জনকে অস্ত্রসহ মোট ১৯ জনকে নির্দেশ দেওয়া হয় মিশন শেষ করার জন্য।’— জিজ্ঞাসাবাদে আজিজুল হক স্বীকারোক্তির এসব কথা বলেন বলে জানান ১৪ আমর্ড পুলিশ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক এসপি নাঈমুল হক।

আজিজুল হক ছাড়াও কুতুপালং ক্যাম্প-১ এর বি ব্লকের ফজল হকের ছেলে মোহাম্মদ আনাছ  একই ক্যাম্পের নুর ইসলামের ছেলে নুর মোহাম্মদও ডি ৮ ব্লকের আব্দুল মাবুদের ছেলে মোহাম্মদ রশিদ প্রকাশ মুরশিদ আমিনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

এসপি নাঈমুল হক বলেন, ‘মুহিবুল্লাহ রোহিঙ্গাদের নেতা হিসেবে পরিচিত লাভ করায় তাকে থামানো জন্য পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে। গত ২৯ সেপ্টেম্বর মুহিবুল্লাহকে বাসা থেকে অফিসে প্রত্যাবাসন বিষয়ে কথা আছে বলে ডেকে আনে গ্রেপ্তার মুরশিদ। তারপর বাকিদের সংকেত দেওয়ার পরে প্রথমে একটি, তার পরেরজন দুইটিসহ চারটি গুলি করা হত্যা করে মুহিবুল্লাহকে। পরে মুহিবুল্লার বাড়ির পেছন দিয়ে পালিয়ে যায় স্কোয়াডের ৫ জন। আজিজুল হক স্বীকারোক্তির এসব কথা বলেন।’

তিনি বলেন, ‘গত ২৯ সেপ্টেম্বর রাত সাড়ে ৮টার দিকে উখিয়ার কুতুপালং ক্যাম্প-১ ইস্ট-ওয়েস্ট (ডি ব্লকে) নিজ অফিসে অবস্থান করছিলেন মুহিবুল্লাহ। এ সময় বন্দুকধারীরা গুলি করে তাকে হত‌্যা করেন। এখন পর্যন্ত এ হত্যা মামলায় ৯ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তার মধ্যে মোহাম্মদ ইলিয়াছ নামে একজন ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।’

এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার (৩০ সেপ্টেম্বর) রাতে উখিয়া থানায় ৩০২/৩৪ ধারায় একটি মামলা করেন তার ছোট ভাই হাবিব উল্লাহ।

উল্লেখ্য, মুহিবুল্লার মূল উত্থান হয় ২০১৯ সালের ২৫ আগস্ট। তার নেতৃত্বাধীন আরাকান রোহিঙ্গা সোসাইটি ফর পিস অ্যান্ড হিউম্যান রাইটস ২০১৯ সালে কয়েক ঘণ্টার ব্যবধানে বিশাল সমাবেশ আয়োজন করে আলোচিত হয়। সেদিন তার নেতৃত্বে ছিলো ৩ থেকে ৫ লাখ রোহিঙ্গার মহাসমাবেশ। এরপর তিনি যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্র গিয়ে সাক্ষাৎ করেন।

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়