Cvoice24.com

কক্সবাজার বেড়াতে এসে ধর্ষণের শিকার গৃহবধূ

কক্সবাজার প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ১১:৫৮, ২৩ ডিসেম্বর ২০২১
কক্সবাজার বেড়াতে এসে ধর্ষণের শিকার গৃহবধূ

ধর্ষণের শিকার গৃহবধূ। -প্রতীকী ছবি

কক্সবাজারে বেড়াতে এসে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হয়েছেন এক গৃহবধূ। স্বামী-সন্তানকে জিম্মি ও হত্যার ভয় দেখিয়ে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হওয়া ওই গৃহবধূকে উদ্ধার করেছে র‍্যাব।

বুধবার দিবাগত রাত দেড়টার দিকে কক্সবাজারের জিয়া গেস্ট ইন নামের একটি হোটেল থেকে তাকে উদ্ধার করা হয়। একইসঙ্গে তার স্বামী ও সন্তানকে পর্যটন গলফ মাঠের সামনে থেকে উদ্ধার করা হয় বলে জানিয়েছেন কক্সবাজার র‌্যাব-১৫ এর সিপিসি কমান্ডার মেজর মেহেদী হাসান।

র‌্যাব জানায়, সিসিটিভি ফুটেজ দেখে তিন ধর্ষককে শনাক্ত করতে সক্ষম হয়েছে। একই সঙ্গে ধর্ষণে সহযোগিতাকারী ব্যক্তিকেও শনাক্ত করা হয়েছে। এদের চারজনের মধ্যে দু’জনের ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রকাশ পেয়েছে। তারা দুজন হলেন— আশিকুল ইসলাম ও আব্দুল জব্বার জয়া। আশিক চার মাস আগে জেল থেকে ছাড়া পেয়েছেন। তিনি ছিনতাই, মাদকসহ একাধিক মামলার আসামি বলে জানা গেছে।

ধর্ষণের শিকার হওয়া ওই নারী জানান, ঢাকার যাত্রাবাড়ী থেকে গতকাল বুধবার (২২ ডিসেম্বর) সকালে স্বামী-সন্তানসহ কক্সবাজার বেড়াতে এসে উঠেন শহরের হলিডে মোড়ের একটি হোটেলে। পরে বিকেলে ঘুরতে বের হন সৈকতের লাবণী পয়েন্টে। সেখানে তার স্বামীর সঙ্গে অপরিচিত এক যুবকের ধাক্কা লাগে। এ নিয়ে তাদের মধ্যে কথা-কাটাকাটি হয়। এর জেরে সন্ধ্যার পর ভুক্তভোগী নারীর ৮ মাসের সন্তান ও স্বামীকে পর্যটন গলফ মাঠের সামনে থেকে অটোরিকশা করে কয়েকজন তুলে নিয়ে যায়। আরেকটি অটোরিকশায় ভুক্তভোগী ওই নারীকেও তুলে নেয় ৩ যুবক। পরে পর্যটন গলফ মাঠে সংলগ্ন একটি চায়ের দোকানের পেছনে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হন ওই নারী।

তিনি আরও জানান, জিম্মি করা সন্তান ও স্বামীকে হত্যা করা হবে বলে ভয় দেখিয়ে তাকে ‘জিয়া গেস্ট ইন’ নামে একটি হোটেলে নিয়ে আরেক দফা ধর্ষণ করে। ঘটনা কাউকে না জানানোর হুমকি দেয় এবং বাইরে থেকে রুমের দরজা বন্ধ করে ঘটনাস্থল ত্যাগ করে ধর্ষকরা। পরে ভুক্তভোগী জাতীয় জরুরি সেবা নম্বর ৯৯৯-এ কল করলে পুলিশ তাকে থানায় সাধারণ ডায়েরি করার পরামর্শ দেয়। পরে র‍্যাব এসে তাকে উদ্ধার করে।

কক্সবাজার র‌্যাব-১৫ এর সিপিসি কমান্ডার মেজর মেহেদী হাসান বলেন, ‘খবর পেয়ে স্বামী, সন্তান ও গৃহবধূকে উদ্ধার করা হয়। তবে এখন পর্যন্ত তিনজনের মধ্যে দুইজনকে শনাক্ত করতে পেরেছি। এ ঘটনার সঙ্গে যারাই জড়িত থাকুক, তাদের কঠোর শাস্তি পেতে হবে। বিষয়টি নিয়ে অধিকতর তদন্ত চলছে। মামলার বিষয়টিও প্রক্রিয়াধীন। তাদের ধরতে অভিযান চলছে।’

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়