Cvoice24.com

করোনার প্রভাব: কক্সবাজারের পর্যটনে ভাটা

কক্সবাজার প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ১৫:১৬, ২৩ জানুয়ারি ২০২২
করোনার প্রভাব: কক্সবাজারের পর্যটনে ভাটা

কক্সবাজার সমুদ্রসৈকত

করোনার প্রভাবে সংকুচিত হয়ে যাচ্ছে কক্সবাজারের পর্যটন শিল্প। কমে গেছে সৈকত নগরে পর্যটকের আনাগোনা। সাপ্তাহিক ছুটির দিন শুক্র ও শনিবারে সচক্ষে সে চিত্র দেখা গেছে।  ইতোমধ্যে হোটেল-মোটেলে বুকিং কমে এসেছে। বাতিল হচ্ছে অগ্রিম বুকিংও । 

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, করোনার তৃতীয় ঢেউয়ের কারণে সর্বত্র আতংক সৃষ্টি হয়েছে। বেড়াতে এসে করোনা সংক্রমণের ভয়ে পর্যটকেরা আগ্রহ হারাচ্ছেন। এছাড়াও  যেকোন মুহূর্তে লকডাউনের ঘোষণা আসতে পারে- এমন আতংকেও পর্যটকরা বেড়ানোর পরিকল্পনা বাতিল করছে। অনেক পর্যটক অগ্রিম রুম বুকিং দেয়ার পর করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। ফলে বুকিং বাতিল করছে তারা। 

হোটেল দ্য গ্র্যান্ড স্যান্ডির চেয়ারম্যান আবদুর রহমান জানিয়েছেন, সাপ্তাহিক ছুটির দিন উপলক্ষে ২০০ জনের একটি গ্রুপের দু'দিনের বুকিং ছিলো। গ্রুপের কয়েকজন করোনা আক্রান্ত হওয়ায় তারা বুকিং বাতিল করেছেন। এরকম আরো বেশ কয়েকটি হোটেল থেকে বুকিং বাতিল করা হয়েছে। 

হোটেল-মোটেল গেস্টহাউস মালিক সমিতি সূত্রে জানা গেছে, পর্যটন মৌসুমে স্বাভাবিকভাবে সাপ্তাহিক ছুটির দিনে সর্বনিম্ন ৬০ থেকে ৭০ শতাংশ রুম বুকিং থাকে। কিন্তু প্রতিদিন নতুন করে করোনা সংক্রমণের সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় এই হার ২০ শতাংশে নেমে এসেছে। 

অন্যদিকে পর্যটক কমে আসায় খাবার রেস্তোঁরাগুলোতেও বিরূপ প্রভাব পড়েছে। পর্যটক কমে যাওয়া ও লকডাউন আতঙ্ক নিয়ে সময় পার করছে রেস্তোরাঁ ব্যবসায়ীরা। 

এ বিষয়ে হোটেল-মোটেল মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আবুল কাশেম সিকদার বলেন, সম্প্রতি কিছু নেতিবাচক প্রচারণায় প্রভাব পড়েছে কক্সবাজারের পর্যটন শিল্পে। এর মধ্যে করোনা সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় পর্যটকের উপস্থিতি আশঙ্কাজনক হারে কমে গেছে। 

তিনি আরো জানান, মানুষের মধ্যে আতংক কাজ করছে। বিশেষ করে যারা আগে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর সাথে লড়েছেন তারা ভয়ে আসতে চায় না।

এদিকে করোনার সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ার পরও সাধারণ মানুষের মধ্যে মাস্ক পরিধান ও সামাজিক দূরত্ব বজায়ে তেমন আগ্রহ দেখা না দেওয়ায় সরকারি বিধি-নিষেধ বাস্তবায়ন করা অনেকটা কঠিন হয়ে পড়েছে। তবে  প্রশাসনের পক্ষ থেকে বেশ তোড়জোড় চলছে। 

অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আবু সুফিয়ান বলেন, স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত করতে ভ্রাম্যমাণ আদালতের কয়েকটি দল সমুদ্র সৈকত, হোটেল মোটেল জোনসহ শহরের বিভিন্ন স্থানে অভিযান পরিচালনা করছে। নিয়মিত অভিযানে সরকার ঘোষিত স্বাস্থ্যবিধি সঠিকভাবে পালন করা হচ্ছে কিনা তা নিয়ে অভিযান অব্যাহত রয়েছে। বিশেষ করে পর্যটকদের মাস্ক ছাড়া সমুদ্র সৈকতে ঘোরাফেরা করতে নিরুৎসাহিত করা হচ্ছে। পাশাপাশি সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে মাস্ক বিতরণ করা হচ্ছে। মাস্ক পড়া নিশ্চিত করতে নিয়মিত মাইকিং করা হচ্ছে ।

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়