Cvoice24.com

কালারমারছড়ায় পাহাড় ধসের ঝুঁকিতে ৩ হাজার মানুষ

মহেশখালী প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ২১:২৬, ২০ জুন ২০২২
কালারমারছড়ায় পাহাড় ধসের ঝুঁকিতে ৩ হাজার মানুষ

মহেশখালীর কালারমারছড়া বাজারের পূর্ব পাশে পাহাড়ের উপরে গড়ে উঠা বসতঘর।

মহেশখালীতে চলতি বর্ষা মৌসুমে ভারী বর্ষণের কারণে ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে পাহাড়ের পাদদেশ। ফলে যেকোনো মুহূর্তে পাহাড় ধসে ঘটতে পারে প্রাণহানির ঘটনা। এছাড়াও পাহাড়ের পাদদেশে মাটির তৈরি ঘর ধসে যেকোন সময় ঘটতে পারে বড় ধরনের দুর্ঘটনা। এ অবস্থায় আতঙ্কে দিন পার করছে উপজেলার কালারমারছড়া বাজারের পাশে পাহাড়ের পাদদেশে বসবাসকারী প্রায় ৩ হাজার মানুষ। 

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, কালারমারছড়া বাজারের পূর্ব পাশে পাহাড়ের উপরেই গড়ে উঠেছে অফিস পাড়া ও ফকিরাঘোনা নামক দুটি গ্রাম। গ্রামে প্রায় ৪ শতাধিক ঘর ও ৩ হাজার মানুষের বসবাস রয়েছে। এছাড়া পাহাড়ের উপরেই ঝুঁকিপূর্ণ জায়গায় রয়েছে একাধিক মাটির তৈরি ঘর। এসব ঘর যেকোন মুহুর্তে ধসে পড়তে পারে। এমনকি কয়েকটি ঘরের দেয়ালে ফাটল দেখা গেছে। 

আশেক, আবদুল মাবুদ, ছৈয়দ মিয়াসহ কয়েকজন এলাকাবাসী জানান, টানা বৃষ্টির কারণে পাহাড়ের অংশ ভেঙে পড়ছে। বেশ কয়েকটি ঘরবাড়ির দেয়াল ধসে পড়ার অবস্থা হয়েছে। 

কালারমারছড়া ইউপি চেয়ারম্যান তারেক বিন ওসমান শরীফ জানান, বৃষ্টি শুরুর আগে থেকেই পুরো এলাকায় মাইকিং করা হয়েছে। দুর্ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন এবং ঝুঁকিপূর্ণ পরিবারগুলো সরানোর চেষ্টা করছেন। 

এই বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ ইয়াছিন বলেন, প্রকৃতি প্রতিশোধ নেয়। তাই পাহাড় ধস থেকে রক্ষা পেতে পাহাড় কাটার বিরুদ্ধে সবাইকে সোচ্চার হতে হবে। প্রশাসনের পক্ষ থেকে তৃণমূল পর্যায়ে গণসচেতনতা বাড়ানোর উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। এসময় তিনি স্থানীয়দের সহযোগিতা চান। 

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি আরও বলেন, পাহাড় কাটা বন্ধে কঠোর আইন প্রয়োগ করা হচ্ছে। যেখানেই পাহাড় কাটা চলছে প্রশাসনকে জানালে তিনি দ্রুত ব্যবস্থা নিবেন বলে আশ্বস্ত করেন। 

এদিকে গতকাল রোববার (১৯ জুন) সন্ধ্যায় কালারমারছড়া অফিসপাড়ায় পাহাড় ধসে রবিন (৫) নামের এক শিশুর মৃত্যু হয়। সে ঐ এলাকার নজির হোসেনের ছেলে। 

নিহতের মামা সাহাব উদ্দীন জানান, সন্ধ্যায় রবিনসহ তিন শিশু পাহাড়ের পাশে খেলছিল। তাদের নিষেধ করলে বাড়ি চলে যায়। সন্ধ্যার পর রবিনকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না। তখন পাহাড়ের অংশ ধসে পড়ার বিষয়টি নজরে আসে। সেখানে চাপা পড়েছে কিনা সেটা দেখতে গিয়ে মাটি সরাতেই রবিনকে মাটিচাপা অবস্থায় মৃত পাওয়া যায়। 

অন্যদিকে আজ সোমবার (২০ জুন) বিকেল ৪টায় দুর্ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন মহেশখালী উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ ইয়াছিন। এসময় তিনি ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারকে খাদ্য ও আর্থিক সহায়তা প্রদান করেন এবং পরিবারের খোঁজ খবর নেন। 

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়