Cvoice24.com

চলন্ত বাসে রোহিঙ্গা তরুণীকে ধর্ষণচেষ্টা: চালক ও সুপারভাইজার আটক

কক্সবাজার প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ১৭:২৭, ২৪ জুন ২০২২
চলন্ত বাসে রোহিঙ্গা তরুণীকে ধর্ষণচেষ্টা: চালক ও সুপারভাইজার আটক

কক্সবাজারের চকরিয়ায় গত ১১ ফেব্রুয়ারি চলন্ত বাসে এক রোহিঙ্গা তরুণীকে দলবদ্ধ ধর্ষণচেষ্টার  অভিযোগ উঠেছে। এই  ঘটনায় ভুক্তভোগী রোহিঙ্গা তরুণী বাদী হয়ে চকরিয়া থানায় মামলা করেন। 

চার মাস পর সেই শুক্রবার (২৪ জুন) ভোররাতে চকরিয়া ডুলাহাজারা ও বাটাখালী এলাকা থেকে মামলার এজাহার ও চার্জশিটভুক্ত প্রধান দুই আসামি বাসের চালক ও সুপারভাইজারকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব-৭। 

আটকতৃতরা হলেন, চকরিয়া ডুলাহাজারার রিংভং এলাকার আমির উদ্দীনের পুত্র মো. মাহবুব (৩২) ও  চট্টগ্রামের লোহাগাড়ার রাজঘাট এলাকার জান শরীফের পুত্র শাহ এমরান (৩৫)।

এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে  র‌্যাব-৭ এর সিনিয়র সহকারী পরিচালক নূরুল আবছার (মিডিয়া) এই তথ্য জানিয়েছেন।

তিনি জানিয়েছেন, গত ১১ ফেব্রুয়ারি উখিয়ার কুতুপালং রোহিঙ্গা ক্যাম্পের এক তরুণী চট্টগ্রাম থেকে বাসে করে উখিয়ার ফিরছিলেন। পথিমধ্যে সে চকরিয়া বাসস্ট্যান্ডে নেমে উখিয়ার বাসের জন্য অপেক্ষা করছিলো। তাকে দেখে চালকের সহকারী ফারুক নামের একজন ওই তরুণীকে উখিয়ার পৌঁছে দেয়ার কথা বলে বাসে উঠতে বলেন। পরে ওই বাসে করে তরুণীকে চকরিয়া পৌরসভার বাটাখালী ব্রিজ এলাকায় নিয়ে চালক-সুপারভাইজার ও হেলপার মিলে বাসের ভিতর দলবদ্ধ ধর্ষণের চেষ্টা চালায়। এ সময় ওই তরুণী চিৎকার করলে স্থানীয় লোকজন ছুটে এলে তখন বাসের চালক ও সুপারভাইজার পালিয়ে যায়। কিন্তুবাসের হেলপারকে স্থানীয় লোকজন আটক করে চকরিয়া থানা পুলিশের কাছে সোপর্দ করে।

মামলার পর থেকেই পলাতক ছিল বাসে চালক মো. মাহবুব ও সুপারভাইজার শাহ এমরান। অবশেষে চার মাস পর ২৪ জুন ভোর রাতে তাদের গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয় র‌্যাব। 

গ্রেপ্তার দুই আসামিকে চকরিয়ার থানায় সোপর্দ করা হয়েছে বলেছে জানিয়েছেন র‌্যাবের কর্মকর্তা নূরুল আবছার।

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়