Cvoice24.com

নিষেধাজ্ঞা না মানায় সৈকতে বাড়ছে দুর্ঘটনা

কক্সবাজার প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ২২:০০, ১৬ আগস্ট ২০২২
নিষেধাজ্ঞা না মানায় সৈকতে বাড়ছে দুর্ঘটনা

প্রায় ১০ দিন ধরে আবহাওয়ার বৈরিতার কারণে উত্তাল সাগর। সাগরের উত্তালে বিলীন হয়ে লণ্ডভণ্ড হয়ে গেছে সৈকতের লাবণী পয়েন্ট। সাগরের এমন ভয়ংকতার মধ্যেও পর্যটকদের দমিয়ে রাখতে পারছে না লাইফ গার্ডের সদস্যরা।

শুধু বৈরি আবহাওয়া নয়, স্বাভাবিক সময়ে ভাটাসহ আরও কয়েকটি কারণে নির্দিষ্ট সময় সাগরে নামা বিপজ্জনক। একইভাবে নির্দিষ্ট পয়েন্ট ছাড়া অন্যান্য পয়েন্টে সাগরেও নামাও বিপজ্জনক! কিন্তু কোনোভাবেই পর্যটকদের বাধা দিয়ে রাখতে পারছেন না লাইফ গার্ডের সদস্যরা।

এভাবে লাইফ গার্ডের সদস্যদের নিষেধ না মেনে সোমবার দুপুরে ভেসে গিয়ে এখনো নিখোঁজ রয়েছে মারুফ নামে এক কলেজছাত্র। তার বাড়ি গাজীপুরের কাপাসিয়ায়। তিন বন্ধুকে সঙ্গে নিয়ে কলাতলীর ডিভাইন পয়েন্ট দিয়ে গোসল করতে নেমেছিলেন তিনি। এখনো তার খোঁজে কাজ করছে লাইফ গার্ডের সদস্যরা।

লাইফ গার্ডের সদস্যরা বলছেন, নিজেদের অসাবধানতা ও বিধি নিষেধ না মানার কারণে মৃত্যুর ফাঁদে পড়ছে পর্যটকেরা।

সী সেইফ লাইফ গার্ডের ইনচার্জ ওসমান গণি বলেন, লাবণী, সুগন্ধা ও কলাতলী ছাড়া অন্য কোনো পয়েন্টে সাগরে পর্যটক নামতে নিষেধ রয়েছে। এছাড়া নিষেধ না থাকা স্থানগুলোতেও ভাটা ও বৈরি আবহাওয়ার সময় পানিতে নামতে নিষেধ রয়েছে। নিষেধাজ্ঞা বাস্তবায়নে সকাল থেকে রাত পর্যন্ত নিয়োজিত থাকে লাইফ গার্ডের সদস্যরা। কিন্তু তাদের পাত্তাই দেয় না পর্যটকেরা।

শুধু লাইফ গার্ড নয়, বীচকর্মীসহ আরও নানাভাবে নিষেধাজ্ঞা বাস্তবায়নে তৎপরতা জোরদার রাখা হয়। তারাও জানালেন, নিষেধ না মানার একই অভিযোগ।

বীচ ম্যানেজমেন্ট কর্তৃপক্ষ বলছে, ভাটা, বৈরি আবহাওয়া এবং নিষিদ্ধ পয়েন্ট নেমে গোসল করার ফলে দুর্ঘটনা ঘটছে।

তারা বলছেন, বিধি-নিষেধ না মেনে সাগরে গোসল করতে নেমে মৃত্যুর ঘটনা বেড়ে চলছে। এটা সার্বিকভাবে কক্সবাজারের পর্যটন শিল্পের উপর নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে। তাই  যে কোনোভাবেই বিধি-নিষেধ আরোপ করে মৃত্যুসহ দুর্ঘটনা রোধ করতে হবে।

কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আবু সুফিয়ান বলেন, ঝুঁকিপূর্ণ সময় ও ঝুঁকিপূর্ণ পয়েন্টে পর্যটক যাতে সাগরে নামতে না পারে সে জন্য কঠোরতা আরোপ করা আছে। তার প্রেক্ষিতে লাইফগার্ড ও বীচকর্মীরা চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। কিন্তু পর্যটকেরা বিধি-নিষেধ না মানার কারণে অঘটন রোধ করা যাচ্ছে না। বিধি-নিষেধ আরও কঠোর করার জন্য কি ব্যবস্থা নেয়া যায় সেটি দেখা হচ্ছে।

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়