Cvoice24.com

‘জীববৈচিত্র্যের সোনাদিয়া দ্বীপটি মহেশখালীর নয় বরং বাংলাদেশের সম্পদ’

মহেশখালী প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ২১:১৯, ৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৩
‘জীববৈচিত্র্যের সোনাদিয়া দ্বীপটি মহেশখালীর নয় বরং বাংলাদেশের সম্পদ’

বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সভাপতি র.আ.ম. উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী বলেছেন, সোনাদিয়া অপার সম্ভাবনার একটি দ্বীপ। জীববৈচিত্র্যের এই দ্বীপটি মহেশখালীর নয় বরং বাংলাদেশের সম্পদ। এই দ্বীপের পরিবেশ ঠিক রেখে এখানে পর্যটন কেন্দ্র গড়ে তুললে দেশের পর্যটন শিল্পে ইতিবাচক প্রভাব পড়বে। ইতোমধ্যে সোনাদিয়া দ্বীপে ইকো ট্যুরিজম পার্ক স্থাপনের জন্য বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষ (বেজা) ৯,৪৬৭.৩১ একর জমি নিয়ে কাজ শুরু করেছে। বেজার পাশাপাশি স্থানীয়দের যুক্ত করে সোনাদিয়ায় পরিবেশবান্ধব পর্যটন গড়ার উদ্যোগ নেওয়া হবে।

শুক্রবার (৩ ফেব্রুয়ারি) বেলা ১২টায় কক্সবাজারের মহেশখালী উপজেলার সোনাদিয়া দ্বীপ ভ্রমণে গিয়ে তিনি এসব কথা বলেন। 

সোনাদিয়া দ্বীপের বাসিন্দাদের প্রশ্নত্তোরে তিনি আরও বলেন, ‘এই দ্বীপে বসবাসরত মানুষদের সঠিকভাবে পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করতে হবে। যতদিন তাদের স্থানান্তর করা হবে না ততদিন নাগরিক সুবিধা থেকে তাদের বঞ্চিত করা যাবে না। এছাড়াও উন্নত বিশ্বের বিভিন্ন দেশে স্থানীয়দের অন্যত্র না সরিয়ে ইকো ট্যুরিজম করা হয়েছে। চাইলে সোনাদিয়ার মানুষদের পেশা বিবেচনা করে তাদের রেখে বেজা পরিকল্পনা নবায়ন করতে পারে। সেই বিষয়ে কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করা হবে।’

এই ভ্রমণে আরও ছিলেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন, কক্সবাজার-২ (মহেশখালী-কুতুবদিয়া) আসনের সংসদ সদস্য আশেক উল্লাহ রফিক, সংরক্ষিত মহিলা আসনের সংসদ সদস্য বেগম কানিজ ফাতেমা আহমেদ, বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মোকাম্মেল হোসেন, বাংলাদেশ পর্যটন কর্পোরেশনের চেয়ারম্যান মো. আলি কদর, বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব এ এইচ এম গোলাম কিবরিয়া, অতিরিক্ত সচিব মনোজ কুমার রায়, উপ-সচিব ও কাউন্সিল অফিসার যতন মার্মা, বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের উপ-সচিব এ এস এম হুমায়ুন কবির, বাংলাদেশ জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের উপ-পরিচালক (রিপোর্টিং) মো. সেলিম মৃধা, কমিটি অফিসার মোছাৎ খুরশিদা খাতুন, নওশিন শর্মিলি প্রমি।

সাংবাদিকদের প্রশ্নের বিপরীতে আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন বলেন, ‘সোনাদিয়া এসে যা দেখলাম এই দ্বীপটি অসাধারণ একটি জায়গা। পরিকল্পনা করে কাজ করলে এখানে হাজারো সম্ভাবনা রয়েছে। মালদ্বীপ, ইন্দোনেশিয়া, শ্রীলংকায় এ রকম দ্বীপগুলোতে পরিবেশবান্ধব পর্যটন গড়ে তোলা হয়েছে। একইভাবে সোনাদিয়া দ্বীপটিও পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্য ঠিক রেখে পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তুলতে সরকারের পক্ষ থেকে কাজ করা হবে। এবং সেক্ষেত্রে স্থানীয়দের অবকাঠামোগত ও জীবনমান উন্নয়নের বিষয়ে আলাদা পরিকল্পনা হাতে নেওয়া হবে।’

আরেক প্রশ্নের জবাবে কক্সবাজার-২ আসনের সংসদ সদস্য আশেক উল্লাহ রফিক বলেন, ‘স্থানীয়দের পুর্নবাসনের যে পরিকল্পনা রয়েছে সেখানে ঘর, খেলার মাঠ, স্কুল থেকে শুরু করে পর্যটন বান্ধব যে শিল্পগুলো হবে সেখানে কর্মসংস্থানের জন্য তাদের প্রশিক্ষণ দিয়ে দক্ষ করে তোলা হবে। এক কথায় মানুষের জীবন ধারণের জন্য যা কিছু প্রয়োজন সবকিছুই এখানে স্থাপন করার পরিকল্পনা রয়েছে। তাই পুর্নবাসনের কাজকেই বেশি গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। তারপর উন্নয়ন কাজ শুরু করা হবে।’

এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার ড. মো. আমিনুর রহমান, কক্সবাজার জেলা প্রশাসক শাহীন ইমরান, মহেশখালী উপজেলা চেয়ারম্যান শরীফ বাদশা, মহেশখালী উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ ইয়াসিন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও কালারমারছড়া ইউপি চেয়ারম্যান তারেক বিন ওসমান শরীফ, কুতুবজোম ইউপি চেয়ারম্যান এড. শেখ কামাল, সাবেক চেয়ারম্যান মোশাররফ হোসেন খোকনসহ আওয়ামী লীগ ও তার অঙ্গসংগঠনের নেতৃবৃন্দরা।

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়