তরুণীর দেহ ঝুলে ছিল হোটেল সী গাজীপুরের কক্ষে

হোটেল সী গাজীপুরের ২০২ নম্বর কক্ষে ঝুলে ছিল তরুণীর প্রাণহীন শরীর। নিহত তরুণীর নাম জেসমিন আক্তার (২৫)। মঙ্গলবার (১২ সেপ্টেম্বর) রাত সাড়ে ১০টার দিকে কলাতলীর আবাসিক হোটেল সী গাজীপুরের ২০২ নম্বর কক্ষ থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করে কক্সবাজার থানা পুলিশ।

নিহত জেসমিন কক্সবাজার জেলার রামু উপজেলার জোয়ারিয়ানালা এলাকার জামাল রাজীব চৌধুরীর মেয়ে।

কক্সবাজার সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. মিজানুর রহমান জানান, হোটেল রুমের ফ্যানের সঙ্গে ওড়না প্যাঁচানো অবস্থায় মরদেহটি পাওয়া যায়। হোটেলের নিবন্ধন খাতায় নিহত তরুণীর নাম ও ঠিকানা উল্লেখ থাকলেও স্বাক্ষর নেই। তাই নাম ও ঠিকানা তা সঠিক কিনা পুলিশ নিশ্চিত নয়। ঘটনার পর থেকে হোটেলের ম্যানেজার আজিজুর রহমান এবং নিরাপত্তা প্রহরী ফোরকান আহমদ ওরফে ডিপজল পলাতক।

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জানান, প্রাথমিকভাবে ঘটনাটি আত্মহত্যা বলে পুলিশের ধারণা করা হচ্ছে। তারপরও এটি হত্যাকাণ্ড কিনা পুলিশ খতিয়ে দেখছে। মরদেহ উদ্ধার করে কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে।

হোটেল সী গাজীপুরের ভাড়াটে মালিক আব্দুল জব্বার বলেন, ‘সোমবার (১১ সেপ্টেম্বর) বিকেলে স্থানীয় এক মসজিদে আছরের নামাজ আদায় করতে যাই। এ সময় নিরাপত্তা কর্মী ফোরকান আহমদের সঙ্গে জেসমিন আক্তার হোটেল আসেন। পরে হোটেলটির ২০২ নম্বর রুমে ওই তরুণী একা উঠেন। মঙ্গলবার (১২ সেপ্টেম্বর) রাত ৯টার দিকে নিরাপত্তা কর্মী ফোরকান আহমদ ফোন করে আমাকে জানায় সে অসুস্থবোধ করছেন। রাতে দায়িত্ব পালন করা তার (ফোরকান) পক্ষে সম্ভব নয়। এর কিছুক্ষণ পর নিরাপত্তা কর্মী আবারও আমাকে কল করে জানান, হোটেল কক্ষে অবস্থান করা তরুণী গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেছে। পরে বিষয়টি আমি পুলিশ ও হোটেল মালিক নেতাদের অবহিত করি।’