কক্সবাজার সমুদ্রসৈকতে পর্যটকের ভিড়
সিভয়েস২৪ ডেস্ক
প্রবল ঘূর্ণিঝড় রেমালের প্রভাবে পটুয়াখালীর নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হতে শুরু করেছে। পানির উচ্চতা বাড়তে শুরু করেছে সাগরকন্যা কক্সবাজারেও। বড় বড় ঢেউ আছড়ে পড়ছে সৈকতজুড়ে। সঙ্গে বাতাসের তীব্রতায় স্বর বাড়ছে গর্জনের। এর প্রভাবে পানির উচ্চতা বেড়েছে উপকূলে। তবে এত কিছুর মাঝেও ঘূর্ণিঝড়ের রেমালের তীব্রতা দেখতে সৈকতে ভিড় জমিয়েছেন কক্সবাজারে অবস্থান করা পর্যটক ও দর্শণার্থীরা। লাবণী, সী-গাল, সুগন্ধা, ওশান বিচ ও কলাতলী পয়েন্টে পর্যটটকের উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মত।
এদের মধ্যে আবার অনেকে জেলা প্রশাসনের বিচকর্মী ও সৈকতে কাজ করা লাইফগার্ড কর্মীদের বাধা উপেক্ষা করে নামছেন গোসলে। তাগাদা দিয়েও থামানো যাচ্ছে না এসব পর্যটককে।
শনিবার (২৫ মে) বিকেলে আবহাওয়া অফিস সতর্কতা জারি করে, রবিবার (২৬ মে) রেমাল ঘূর্ণিঝড় হতে প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিতে পারে। রবিবার দুপুর ১২টার পর থেকেই আচরণ পরিবর্তন করে প্রকৃতি। বিপদ বোঝাতে সমুদ্র সৈকতজুড়ে লাল পতাকা টাঙানো হয়েছে। তারপরও নির্দেশনা না মেনে সৈকতে গোসলে নামেন অনেক পর্যটক।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের সর্বশেষ বুলেটিনে মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরে ১০ নম্বর এবং চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার সমুদ্রবন্দরে ৯ নম্বর মহাবিপদ সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।
এদিকে কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) বিভীষণ কান্তি দাশ জানান, জেলায় ৬৩৮টি সাইক্লোন সেল্টার খুলে দেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে ঘূর্ণিঝড় পরবর্তী জরুরি মোকাবিলায় জিআর নগদ দুলাখ ৭৫ হাজার টাকা, দুর্যোগ মোকাবিলায় ব্যবস্থাপনা তহবিলের ১৮ লাখ ২৩ হাজার ৪৪৮ টাকা, ৪৮৬ মেট্রিক টন চাল মজুদ রাখা হয়েছে। খোলা হয়েছে একটি নিয়ন্ত্রণ কক্ষ। উপকূলীয় এলাকার মানুষদের নিরাপদ স্থানে ফেরাতে মাঠে কাজ করছে ৮ হাজার ৬০০ জন সিপিপি এবং ২২০০ জন রেডক্রিসেন্ট সদস্য। মাঠে রয়েছে সিপিপি স্বেচ্ছাসেবক টীম, রেডক্রিসেন্ট, স্কাউট, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীসহ সংশ্লিষ্ট সকলকে।