চকরিয়ায় বিয়ের ৮ মাসের মাথায় স্ত্রীকে ছুরিকাঘাতে খুন
প্রতিনিধি, সিভয়েস২৪

কক্সবাজারের চকরিয়ায় বাবার বাড়িতে স্বামীর ছুরিকাঘাতে খুনের শিকার হয়েছেন উম্মে হাফসা তুহি (১৮) নামে এক তরুণী। এ সময় ছুরিকাঘাতে গুরুতর আহত হয়েছেন মেয়েকে বাঁচাতে এগিয়ে আসা তার মা পারভীন আক্তারও (৩৮)।শুক্রবার (১৭ জানুয়ারি) দুপুর দেড়টার দিকে জুমার নামাজ চলাকালে চকরিয়া পৌরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ড মজিদিয়া মাদ্রাসাপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহত উম্মে হাফসা তুহি (১৮) ওই এলাকার সাংবাদিক আবদুল হামিদের মেয়ে এবং আহত পারভীন আক্তার (৩৮) তার স্ত্রী। আর ঘাতক শওকত হাসান মেহেদী (২৪) তার মেয়ে তুহির স্বামী। তিনি উপজেলার ফাঁশিয়াখালী ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ড আজম উল্লাহ পাড়ার আবুল হাশেমের ছেলে। পেশায় ইলেকট্রিক মিস্ত্রি। আট মাস আগে তাদের বিয়ে হয়।
তুহির বাবা সাংবাদিক আবদুল হামিদ বলেন, ‘৮ মাস আগে আমার মেয়েকে অপহরণ করে নিয়ে যায় মেহেদী। এ নিয়ে থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়। এর জেরে আমার মেয়েকে স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির লোকজন নির্যাতন করত। গত ডিসেম্বর মাসের ৫ তারিখ মেয়ে তুহি নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে আমাকে খবর দিলে তাকে বাড়িতে নিয়ে আসি। গত বৃহস্পতিবার স্বামী মেহেদী আমার বাড়িতে আসে। গতকাল (বৃহস্পতিবার) সকালে তুহিকে স্বামীর বাড়িতে নিয়ে যেতে চাইলে স্ত্রীসহ আমি বাধা দিই। আত্মীয়স্বজন নিয়ে এলে যেতে দেব বলার পর মেহেদী চলে যায়।’
‘পরে জুমার নামাজ চলাকালীন দুপুর দেড়টার দিকে মেহেদী অতর্কিত এসে তুহি ও তার মাকে উপর্যুপরি ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যায়। পরে জুমার নামাজ শেষে এসে তাদের আহত অবস্থায় দেখে দ্রুত হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তুহিকে মৃত ঘোষণা করেন। পরে গুরুতর আহত আমার স্ত্রী পারভীন আক্তারকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করেছেন চিকিৎসক।’
বিষয়টি নিশ্চিত করে চকরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মনজুর কাদের ভূঁইয়া বলেন, ‘ছুরিকাঘাতে হত্যার ঘটনায় মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। আহত পারভীন আক্তারকে চমেক হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। ঘাতককে গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।’
কক্সবাজার সব খবর