Cvoice24.com

দ্বিতীয় দিনে হাটহাজারী সীতাকুণ্ডে ৬ অবৈধ ইটভাটা উচ্ছেদ

সিভয়েস ডেস্ক

প্রকাশিত: ২০:১০, ১০ ফেব্রুয়ারি ২০২১
দ্বিতীয় দিনে হাটহাজারী সীতাকুণ্ডে ৬ অবৈধ ইটভাটা উচ্ছেদ

হাটহাজারী ও সীতাকুণ্ডে অভিযান চালিয়ে গুঁড়িয়ে দেয়া হয়েছে ৬টি ইটভাটা।

আদালতের নির্দেশনা পেয়ে অভিযানের দ্বিতীয় দিনে হাটহাজরী ও সীতাকুণ্ড উপজেলার অবৈধ ৬টি ইটভাটা গুঁড়িয়ে দিয়েছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। একইসঙ্গে ধ্বংস করে দেয়া হয়েছে কাঁচা ইট ও ইট তৈরির সরঞ্জাম। 

বুধবার (১০ ফেব্রুয়ারি) দিনব্যাপী অভিযান চালিয়ে এসব অবৈধ ইটভাটা গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়। হাটহাজারীতে জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মারজান হোসাইন ও সীতাকুণ্ড উপজেলায় নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আশরাফুল আলম নেতৃত্ব দেন।

ইটভাটাগুলো হলো, হাটহাজারী এলাকার সেঞ্চুরি ব্রিকস, মির্জাপুর ব্রিকস, শাহেন শাহ ব্রিকস, গাউছিয়া ব্রিকস, চট্টলা ব্রিকস ও সীতাকুণ্ড এলাকার নুরজাহান ব্রিকস।

আরও পড়ুন: দ্বিতীয় দফায় গুঁড়িয়ে দেওয়া হল তিন ইটভাটা, বাকি ১০১ (ভিডিও)

এর আগে গতকাল মঙ্গলবার সাতকানিয়া উপজেলার ঢেমশা এলাকায় অভিযান চালিয়ে তিনটি ইটভাটা গুঁড়িয়ে দেয়া হয়।

গত ৭ ফেব্রুয়ারি এসব অবৈধ ইটভাটার বিরুদ্ধে অভিযান বন্ধ রাখতে দেশের সর্বোচ্চ আদালতের শরাণাপন্ন হলেও সেখানে পাত্তা পায়নি ২৩ ইটভাটার ১৮ মালিক। অবৈধ ইটভাটা বন্ধে হাইকোর্টের আদেশ বহাল রেখেছিলেন আপিল বিভাগের চেম্বার আদালত। এরপরই জরুরি বৈঠকে পরিবেশ অধিদপ্তর ও জেলা প্রশাসন জরুরি বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেয় ৯ ফেব্রুয়ারি থেকে চট্টগ্রামে সব অবৈধ ইটভাটা বন্ধে সাঁড়াশি অভিযান পরিচালনা করার। 

এর আগে এসব অবৈধ ইটভাটা ভেঙে আগামী ১৮ ফেব্রুয়ারির মধ্যে আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করতে জেলা প্রশাসক ও পরিবেশ অধিদফতরের পরিচালককে (চট্টগ্রাম) নির্দেশ দিয়েছিলেন হাইকোর্ট। আপিলের শুনানিতে ইটভাটার মালিকদের আবেদনের বিপক্ষে আদেশ আসায় অবৈধ ইটভাটা ভাঙতে আর কোনও বাধা রইলো না। তবে এ আপিলের বিষয়ে আগামী ২৯ আগস্ট আপিল শুনানির জন্য দিন ঠিক করেছেন আদালত। যথাসময়ে আদালতকে প্রতিবেদন জমা দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন পরিবেশ অধিদপ্তর চট্টগ্রাম জেলার উপ পরিচালক জমির উদ্দীন।

আরও পড়ুন: আপিলেও পাত্তা পেলনা মালিকরা, ভাঙতেই হবে চট্টগ্রামের অবৈধ ইটভাটা

চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন আদালতের নির্দেশ অনুসারে ইটভাটা বন্ধের কর্যক্রম শুরু করলেও লোহাগড়া ও চন্দনাইশ উপজেলাসহ কিছু কিছু জায়গায় ইটভাটা বন্ধ না করে শুধু জরিমানা করে। আদালতের নির্দেশনা অনুসারে পদক্ষেপ না নেওয়ার প্রেক্ষিতে দুজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জিল্লুর রহমান ও এসএম আলমগীর হোসেনের বিরুদ্ধে বাদীপক্ষে হাইকোর্টে আদালত অবমাননার অভিযোগ দায়ের করা হয়।

আবেদনে বলা হয়, জরিমানা করার পরেও ওই ইটভাটাগুলো আবারও চলছে এবং পরিবেশ দূষণ করছে। ওইদিন আদালতে শুনানি শেষে চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক ও চট্টগ্রাম পরিবেশ অধিদফতরের পরিচালককে জেলার যে ৭১টি ইটভাটাকে মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে জরিমানা করা হয়েছে, তাসহ লাইসেন্স ছাড়া পরিচালিত সব অবৈধ ইটভাটা আগামী ১৮ ফেব্রুয়ারির মধ্যে বন্ধ করে আদালতে হলফনামা দাখিলের জন্য নির্দেশ দেন। আদালত পরবর্তী আদেশের জন্য ২২ ফেব্রুয়ারি দিন রেখেছিলেন।
 

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়