Cvoice24.com

গাজী ওয়্যারসের বিরুদ্ধে প্রকল্পের টাকা নয়-ছয়ের অভিযোগ

সিভয়েস প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ১৮:১১, ২৯ জানুয়ারি ২০২৩
গাজী ওয়্যারসের বিরুদ্ধে প্রকল্পের টাকা নয়-ছয়ের অভিযোগ

বাংলাদেশ ইস্পাত ও প্রকৌশল করপোরেশনের (বিএসইসি) অঙ্গ প্রতিষ্ঠান গাজী ওয়্যারস লিমিটেড। প্রতিষ্ঠানটির অধীনে বাস্তবায়িত ‘গাজী ওয়্যারস লিমিটেড শক্তিশালী ও আধুনিকীকরণ’ শীর্ষক প্রকল্পের বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগ তুলেছেন গাজী ওয়্যারস এমপ্লয়িজ ইউনিয়ন (সিবিএ)। 

সিবিএ নেতারা বলছেন, ওই প্রকল্পে সম্পূর্ণ জাপানের তৈরি মেশিন দেওয়ার প্রস্তাব থাকলেও তাইওয়ানের মেশিনকে জাপানের বলে সংযোজন করা হয়েছে। পাশাপাশি ৬৫ কোটি টাকার প্রকল্পে প্রায় ২৫ কোটি টাকা হরিলুট করা হয়েছে। বছর না পেরুতেই মেশিনগুলো অকেজো হয়ে পড়েছে বলে দাবি সিবিএ নেতাদের।

রবিবার (২৯ জানুয়ারি) চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে গাজী ওয়্যারসের বিরুদ্ধে এসব অভিযোগ আনা হয়।

সিবিএর সাধারণ সম্পাদক মো. গোলাম মোস্তফা বলেন, গাজী ওয়্যারস লিমিটেড শক্তিশালী ও আধুনিকীকরণ প্রকল্পের শুরু থেকেই অনিয়ম হয়েছে। এরই মধ্যে শিল্প মন্ত্রণালয় এবং বিএসইসির তদন্ত দল দফায় দফায় তদন্ত করে অভিযুক্ত প্রকল্প পরিচালক আক্তার হোসেন, উপ-প্রকল্প পরিচালক তাজুল ইসলাম এবং সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক ডা. গোলাম কবিরের দুর্নীতির প্রমাণ পেয়েছে। ৬৫ কোটি টাকার প্রকল্পে ২৫ কোটি টাকা হরিলুট করে অখ্যাত ওয়ার্কশপ থেকে বানানো মেশিন সরবরাহের তথ্য উঠে আসে। এর ফলে বছর পার না হতেই ওইসব মেশিন অকেজো হয়ে পড়েছে। মূলত শুরু থেকে অসৎ উদ্দেশ্য নিয়ে কাজ শুরু করা প্রকল্পটির লোকাল এজেন্ট, ম্যানুফ্যাকচারার, প্রিন্সিপাল, কনসালটেন্ট, সিভিল ঠিকাদার- সবই অনিয়মের মাধ্যমে নিজেদের লোকদের নিয়োগ দেওয়া হয়।

তিনি বলেন, গাজী ওয়্যারসের বড় গ্রাহক ছিল পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড। অথচ মেশিনগুলো সংযোজনের পর কারখানার উৎপাদন কমানোর জন্য পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের সঙ্গে সম্পর্ক নষ্ট করা হয়। যাতে মেশিনগুলো এক বছরের ওয়ারেন্টিকালে পুরোদমে চালাতে না হয়। বর্তমানে এক বছর না যেতেই মেশিনগুলো প্রায় অকেজো হওয়ার পথে। এরই মধ্যে পুরো বিষয়টি অনুসন্ধান করে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) চেয়ারম্যানকে বিএসইসির পক্ষ থেকে চিঠি দেওয়া হয়েছে। দুদক তাদের কার্যক্রম শুরুর আগেই প্রকল্পের মেশিনগুলো হস্তান্তরের পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। বিএসইসির প্রশাসনিক কর্মকর্তা আবু সাইম এবং গাজী ওয়্যারসের উৎপাদন বিভাগীয় প্রধান মো. জমির উদ্দিন ও রক্ষণাবেক্ষণ বিভাগীয় প্রধান মো. মাঈন উদ্দীন চৌধুরীসহ আরো অনেক কর্মকর্তারা এসব অনিয়মে জড়িত। 

গাজী ওয়্যারস লিমিটেডকে শক্তিশালী ও আধুনিকীকরণ শীর্ষক প্রকল্পটি হাতে নেয়া হয় ২০১৭ সালে। ২০১৮ সালের ৩০ অক্টোবর ৬৫ কোটি টাকার প্রকল্পটি একনেক সভায় অনুমোদন পায়। ২০১৮ সালে কাজ শুরু হয়ে ২০২১ সালের জুনের মধ্যে প্রকল্পের কাজ শেষ হয়। এরপর ওই বছরের ১৯ জুলাই প্রকল্পটির ট্রায়াল রানের মাধ্যমে উৎপাদনে যায় গাজী ওয়্যারস। সবশেষ ২৩ নভেম্বর বাণিজ্যিক উৎপাদনে যায় প্রতিষ্ঠানটি।

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়