Cvoice24.com

পাঁনগাও আইসিটির কন্টেইনার আনলে চট্টগ্রাম বন্দরে অগ্রাধিকার বার্থিং পাবে জাহাজ

সিভয়েস প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ২০:১৬, ৭ জুন ২০২১
পাঁনগাও আইসিটির কন্টেইনার আনলে চট্টগ্রাম বন্দরে অগ্রাধিকার বার্থিং পাবে জাহাজ

পানগাঁও আইসিটিমুখী কন্টেইনার আনলে সে জাহাজকে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে জেটিতে ভিড়ার অনুমতি দিবে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ। তবে সেক্ষেত্রে অবশ্যই অন্তত ১০০ টিইইউস কন্টেইনার থাকতে হবে ওই জাহাজে। পহেলা জুন থেকে এমন সিদ্ধান্ত কার্যকর করতে যাচ্ছে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ। 

বন্দর সচিব ওমর ফারুক বলেন, ‘এখন থেকে কোন জাহাজ পানগাঁও আইসিটিমুখী ১০০ টিইইউস কন্টেইনার পরিবহন করলে আমরা তাকে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে জেটিতে ভিড়তে দিবো। পানগাঁও আইসিটিতে হ্যান্ডলিং কার্যক্রম বাড়াতে এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। গেলো মার্চ মাসে এ নিয়ে গঠিত কমিটি একটি সভা করে। সভায় এ ধরণের সিদ্ধান্ত নিতে কমিটি বন্দর কর্তৃপক্ষকে পরার্মশ দেয় । পরবর্তীতে সবকিছূ বিবেচনায় পহেলা জুন থেকে এটি কার্যকর করা হয়েছে।’

তিনি আরও জানান, এক্ষেত্রে ১০০ টি কন্টেইনার নিয়ে দুটি জাহাজ বর্হিনোঙ্গরে অবস্থান করলে যে জাহাজে বেশী কন্টেইনার থাকবে সেটিকে অগ্রাধিকার দেয়া হবে। এছাড়া আগের জাহাজটি জেটি ত্যাগ করলেই এ কোটায় পরবর্তী জাহাজ জেটিতে ভেড়ার অনুমতি পাবে। 

এ প্রসঙ্গে চট্টগ্রাম শিপিং এজেন্টস এসোসিয়েশনের পরিচালক খায়রুল আলম সুজন বলেন, ‘পানগাঁও টার্মিনালের হ্যান্ডলিং বাড়াতে একটি সময়োপযোগী সিদ্ধান্ত নিয়েছে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ। জাহাজ জেটিতে আগে ভিড়ার অনুমতি পাওয়ায় পাঁনগাও আইসিটিমুখী কন্টেইনার নিয়ে আসতে উৎসাহী হবে ব্যবসায়ীরা। এতে সময় কম লাগায় খরচও কমবে।’

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, চট্টগ্রাম বন্দর ও ঢাকা চট্টগ্রাম মহাসড়কের ওপর যে চাপ পড়ছে তাতে নৌ রুটটি সচল করা অত্যন্ত জরুরি। সে লক্ষ্যে পানগাঁও আইসিটি করা হয়েছে, এ রুটে বন্দর থেকে পানগাঁও তিনটি জাহাজও কেনা হয়েছে, কিন্তু সেভাবে সফলতা পায়নি। এর পেছনে কারণগুলো বের করে বন্দরকে সমাধান করা উচিত। ব্যবসায়ী ও বন্দর ব্যবহারকারীদের বসে আলাপ আলোচনা করে এ বন্দরটি সচল করার উদ্যোগ নেযা প্রয়োজন। শুধু তাই নয় রেলপথের কন্টেইনার পরিবহনও সন্তোষজনক নয়। শুধুমাত্র সড়কের ওপরই ব্যবসায়ীরা আস্থা রাখছে। তাই রেল ও নৌপথ নিয়ে সরকারকে ভেবে চিন্তে উপায় বের করতে হবে।

বাংলাদেশের প্রধান সমুদ্রবন্দর হিসেবে দেশের আমদানি রফতানির ৯২ শতাংশ চট্টগ্রাম বন্দরের মাধ্যমে পরিচালিত হয়। তার মধ্যে ৭০ শতাংশ পণ্য ঢাকাগামী। যা ঢাকা নারায়ণগঞ্জের আশপাশের এলাকায় যায়। এই পণ্যের অধিকাংশই সড়ক ও রেল পথে আনা নেয়া হয়। এর মধ্যে মাত্র ১০ ভাগ কন্টেইনার আসে রেলপথের মাধ্যমে। বাকি কন্টেইনারগুলো সড়কপথে পরিবহন করতে হয়। 

সড়ক ও রেলপথের ওপর চাপ কামতে ১৯৯৩ সালে ঢাকার পানগাঁওয়ে এ নদী বন্দর নির্মাণ করা হয়। বুড়িগঙ্গা নদীর তীরে বিআইডব্লিউটিএ’র প্রায় ৬৪ একর জমিতে পানগাঁও আইসিটি নির্মিত হয়। ১৫৪ কোটি ৮ লাখ টাকা ব্যয়ে ২০১২ সালের জুন মাসে এর নির্মাণকাজ সম্পন্ন হয়। ২০১৩ সালের ৭ নভেম্বর নারায়ণগঞ্জের কেরানীগঞ্জ এলাকায় নির্মিত এ নৌ-বন্দর উদ্বোধন করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। কিন্তু আট বছরেও খুব একটা সফলতা পায়নি এ নৌবন্দর। এখন বছরে মাত্র ১ হাজার টিইইউস পণ্য হ্যান্ডলিং করছে এ বন্দর। যেখানে চট্টগ্রাম বন্দর হ্যান্ডলিং করছে প্রায় ২৭ লাখ টিইইউস কন্টেইনার।

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়