Cvoice24.com

বন্দর থেকে আমদানি পণ্যের কনটেইনার খালাসে ব্যবসায়ীদের চিঠি

সিভয়েস প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ১৬:২৬, ২৫ জুলাই ২০২১
বন্দর থেকে আমদানি পণ্যের কনটেইনার খালাসে ব্যবসায়ীদের চিঠি

রপ্তানি পণ্যভর্তি কনটেইনার ও খালি কনটেইনার নিয়ে গত এক মাসেরও বেশি সময় ধরে হিমশিম খাচ্ছিল চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ। চট্টগ্রাম-কলম্বো রুটে জাহাজ সংখ্যা বাড়িয়ে এই সমস্যা কাটতে না কাটতেই এবার আমদানিকৃত পণ্যভর্তি কনটেইনার নিয়ে বিপাকে পড়েছে বন্দর। চলতি লকডাউনে পোশাক কারখানা বন্ধ রেখেছে সরকার। তাই আমদানি করা পণ্য খালাসে গড়িমসি শুরু করেছে আমদানিকারকরা। বারবার নোটিশ পাঠানোর পরও কর্ণপাত করছেন না তারা। ফলে বন্দরে আমদানিকৃত পণ্যের কনটেইনারের স্তূপ বাড়ছেই। 

বন্দর থেকে দ্রুত আমদানিকৃত কনটেইনার সরাতে গতকাল শনিবার বাংলাদেশ শিপিং এজেন্টস অ্যাসোসিয়েশনের চেয়ারম্যান, বিজিএমই’র প্রথম সহ-সভাপতি এবং বিকেএমইএ’র সহ-সভাপতির কাছে চিঠি পাঠিয়েছে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ। সময়সীমার মধ্যে কনটেইনার না সরালে কনটেইনারের উপর দণ্ডভাড়া আরোপের কঠোর হুঁশিয়ারিও দেয়া হয়েছে ওই চিঠিতে।

চিঠিতে বলা হয়েছে, চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ জরুরি উদ্যোগ নিয়ে ঈদুল আজহার ছুটিতে সপ্তাহের সাত দিন ২৪ ঘণ্টা চট্টগ্রাম বন্দর চালু রেখেছে। কিন্তু বন্দর চালু রাখা হলেও কনটেইনার বা পণ্য খালাসে উল্লেখিত সংস্থাগুলোর কোনো উদ্যোগ পরিলক্ষিত হচ্ছে না, যা অত্যন্ত দুঃখজনক। এমতাবস্থায় বন্দর অভ্যন্তর হতে দ্রুত পণ্য খালাস নিতে অনুরোধ জানিয়ে বন্দর কর্তৃপক্ষ চিঠিতে উল্লেখ করা হয়— অন্যথায় জমে থাকা কনটেইনারের ওপর দণ্ডভাড়া আরোপের বিষয়টি বিবেচনা করা হতে পারে।

চট্টগ্রাম বন্দর সূত্রে জানা যায়, চট্টগ্রাম বন্দরের ৪৯ হাজার টিইইউএস কনটেইনার ধারণক্ষমতা রয়েছে। স্বাভাবিক সময়ে বন্দরে ৩৫ হাজার কনটেইনার থাকে। তবে বর্তমানে কনটেইনার সংখ্যা প্রায় ৪২ হাজার ৫৬৯টি। পাশাপাশি বন্দরের বহির্নোঙরে আরো ২১টি জাহাজ খালাসের অপেক্ষায় আছে। জাহাজগুলোতে প্রায় ১৫ হাজারের বেশি আমদানিকৃত পণ্যভর্তি কনটেইনার রয়েছে। লকডাউন শেষ না হওয়া পর্যন্ত পণ্য খালাসে গতি আসবে না বলে মনে করছেন বন্দর সংশ্লিষ্টরা। 

চট্টগ্রাম বন্দরের সচিব মোহাম্মদ উমর ফারুক সিভয়েসকে বলেন, বন্দরে রপ্তানি কন্টেইনার নিয়ে যে সমস্যা তৈরি হয়েছিল তা অনেকটাই সমাধান হয়েছে। বর্তমানে যত বিপত্তি আমদানিকৃত পণ্যভর্তি কনটেইনার নিয়ে। দিন দিন আমদানিকৃত কনটেইনারের স্তূপ বাড়ছেই। বিশেষ করে লকডাউনে পোশাক কারখানা বন্ধ থাকায় আমদানিকারকরা পণ্য খালাস করছেন না। তাই করোনা আর লকডাউন পরিস্থিতিতে বন্দর শতভাগ সচল থাকলেও পণ্য খালাস কিছুটা কমেছে। 

তিনি আরও বলেন, আমরা বন্দর থেকে পণ্য খালাস করতে আমদানিকারকদের চিঠি পাঠিয়েছি। আশা করছি, তারা আমাদের সার্বিক সহযোহিতা করবেন। যদি তারা নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে পণ্য খালাস না করেন তাহলে বন্দরের আইন অনুযায়ী জমে থাকা কনটেইনারের ওপর দণ্ডভাড়া আরোপের বিষয়টি বিবেচনা করা হবে।

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়