Cvoice24.com

১০ জাপানি গাড়িসহ ৯৩ লট পণ্যের নিলাম বৃহস্পতিবার 

সিভয়েস প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ১৯:৫৫, ১২ সেপ্টেম্বর ২০২১
১০ জাপানি গাড়িসহ ৯৩ লট পণ্যের নিলাম বৃহস্পতিবার 

চট্টগ্রাম বন্দরে পড়ে থাকা বিভিন্ন মডেলের দশটি জাপানি গাড়িসহ ৯৩ লট পণ্য নিলামে তুলছে চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউস। আগামী ১৬ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিত হবে এসব পণ্যের নিলাম। এর আগে গত ২৬ আগস্ট ৮৭ লট পণ্য নিলামে তোলা হয়েছিল। 

এবারের নিলামে ১৮ লাখ ৬৪ হাজার ৮২৯ টাকা ৪৩ পয়সা মূল্যের টয়োটা ব্র্যান্ডের প্রভোক্স জাপানি গাড়ি, ৩৫ লাখ ৯৪ হাজার ৬৮০ টাকা ৭৩ পয়সা মূল্যের নিশান এইচএনটি-৩২ মডেলের জাপানি গাড়ি, ১১ লাখ ২৬ হাজার ১১৫ টাকা ৭০ পয়সা মূল্যের টয়োটা কেএম-৭০ মডেলের জাপানি গাড়ি, ২০ লাখ ৩০ হাজার ৬৯ টাকা ১০ পয়সা দামের টয়োটা এনজেডই-১৪১ মডেলের জাপানি গাড়ি, ২৬ লাখ ৮৯ হাজার ৩৯৯ টাকা মূল্যের টয়োটা জেডভিডব্লিউ-৪১ মডেলের জাপানি গাড়ি, ২৩ লাখ ৭৮ হাজার ৭৬২ টাকা ৭১ পয়সা মূল্যের জাপানি টয়োটা মাইক্রোবাস, ৩৫ লাখ ৩৩ হাজার ৫২৩ টাকা ৬২ পয়সা মূল্যের টয়োটা নোহা, ১৫ লাখ ৮৫ হাজার ৩৩ টাকা মূল্যের টয়োটা পিকআপ, ২১ লাখ ৩৩ হাজার ৮৫৬ টাকা ৫৩ পয়সা দামের নিশান মাইক্রোবাস, ১৭ লাখ ৮৬ হাজার ৭৭৬ টাকা ৯৪ পয়সা মূল্যের টয়োটা কেআর-৪২ মডেলের জাপানি গাড়ি নিলামে তোলা হচ্ছে।

এছাড়াও রয়েছে সালফিউরিক এসিড, টেক্সটাইল কেমিক্যাল, এমপিইটি ফিল্ম, ড্রাগন ফল, ফেব্রিক্স পণ্য, জুতা, প্লাস্টিক হ্যাঙ্গার, থান কাপড়, জিংক অক্সাইড, আউটডোর ওয়াল টাইলস, গার্মেন্টস পণ্য, সুইচ সকেট, স্টিল ট্যাংক ফ্রেম, জেন্টস আন্ডারওয়্যার, ফিলামেন্ট কোড, স’ ব্লেড, প্লাস্টিক ফিতা, চামড়াজাত পণ্য, পেইন্টিং পণ্য, চাল কলের যন্ত্রপাতি, রিবন ম্যাশ কোর্ট, এমসিপিপি ফিল্ম, প্লাফ পল্প গ্রোড, হ্যান্ড গ্লোভ, মিনারেল ওয়াটার, ফ্লাড লাইট, মেশিনারিজ পণ্য, ল্যাবরেটারি পণ্য, খেঁজুর, পাইপ, বেবি ডায়াপার, মাদুর, গাড়ি ও প্রিন্টারের যন্ত্রাংশ, মিনথার্ন পাউডার, ক্যালসিয়াম সিলিসাইড, ওয়াটস (যব), বাদাম, অ্যালুমিনিয়াম পাউডার, তুলা, গ্রীণ সোডা, মাল্টিসোপ কেমিক্যাল, ময়লা তৈল, এলইডি টিইউব লাইট, ক্লিয়ার শিট গ্লাস, হুইল চেয়ার ও মেডিক্যাল পণ্য, রাবার প্রোটেক্টর, সিকিউরিটি ট্যাগ, প্লাস্টিক বোতল ও স্টিকার পণ্য। 

চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউসের তথ্যমতে, এবারের নিলামে ১৫২ কেজি সালফিউরিক এসিড, ২ হাজার ১০ কেজি টেক্সটাইল কেমিক্যাল, ১ লাখ ৬ হাজার কেজি  ওজনের এমপিইটি ফিল্ম, ১৫ হাজার ৫শ কেজি ওজনের ড্রাগন ফল, ২ হাজার ৬৭৮ রোল ফেব্রিক্স পণ্য, ১১ হাজার ৩৩৮ জোড়া জোতা, ৬৮৬ কার্টন প্লাস্টিক হ্যাঙ্গার, ৫০ কেজি ওজনের থান কাপড়, ২০ ব্যাগ জিংক অক্সাইড, ৫০ লাখ ৭৯ হাজার ৪৪২ টাকা মূল্যমানের ২ হাজার ৫৩০ কার্টন আউটডোর ওয়াল টাইলস, ৫২ কেজি ওজনের গার্মেন্টস পণ্য, ১শ কার্টন সুইচ সকেট, ১ ইউনিট স্টিল ট্যাংক ফ্রেম, ১৯৫ কার্টনে ৩৯ হাজার পিস জেন্টস আন্ডারওয়্যার, ৭ কার্টন ফিলামেন্ট কোড, ২৯ কেজি স’ ব্লেড, ১৩৩ কেজি ওজনের প্লাস্টিক ফিতা, ২১ কার্টন চামড়াজাত পণ্য, ৫০ কেজি ওজনের পেইন্টিং পণ্য, ১৬৪ কেজি ওজনের চাল কলের যন্ত্রপাতি, ১১৬ কেজি ওজনের রিবন ম্যাশ কোর্ট, ৪২ প্যাকেট এমসিপিপি ফিল্ম, ১ ক্রেট প্লাফ পল্প গ্রোড, ১০২ কার্টন হ্যান্ড গ্লোভ নিলামে তোলা হচ্ছে। 

তাছাড়া ১৬ হাজার ১২৮ পিস মিনারেল ওয়াটার, ৫৯ কার্টন ফ্লাড লাইট, ৩০ হাজার ৪২০ কেজি ওজনের মেশিনারিজ পণ্য, ১ কার্টন ল্যাবরেটারি পণ্য, ১৫ লাখ ৮৯ হাজার ৩৮ টাকা মূল্যের ৩ হাজার ৩৩৪ কার্টন খেঁজুর, ৪৬ লাখ ১০ হাজার ৯৭৪ টাকা মূল্যমানের পাইপ, ২৮ লাখ ২১ হাজার ৯১১ টাকা মূল্যের বেবি ডায়াপার, ১ কোটি ৮৯ লাখ ৮১ হাজার টাকার ৫২৪ রোল মাদুর, ১ কোটি ২৫ লাখ ৪১ হাজার ৮০১ টাকার গাড়ি ও প্রিন্টারের যন্ত্রাংশ, ২৪০ ব্যাগ মিনথার্ন পাউডার, ২৪ ড্রাম ক্যালসিয়াম সিলিসাইড, ৫২০ ব্যাগ ওয়াটস (যব), ১৭ হাজার ৫৩৪ কেজি বাদাম, ৭৬২ ব্যাগ অ্যালুমিনিয়াম পাউডার, ৩ কার্টন তুলা, ২০ হাজার ১০৫ কেজি গ্রীণ সোডা, ১১ হাজার ৯৭০ কেজি ওজনের মাল্টিসোপ কেমিক্যাল, ১০ ড্রাম ময়লা তৈল, ৩শ কার্টন এলইডি টিইউব লাইট, ২৮ ক্রেট ক্লিয়ার শিট গ্লাস, ৯০ লাখ ১৫ হাজার ৯৫ টাকা মূল্যের হুইল চেয়ার ও মেডিক্যাল পণ্য, ২ হাজার ১০৬ পিস রাবার প্রোটেক্টর, ৪৯ কেজি সিকিউরিটি ট্যাগ, ১২ কার্টন প্লাস্টিক বোতল, ২৩১ বক্স স্টিকার পণ্য উঠছে নিলামে। 

সরকারি নিলাম পরিচালনাকারী প্রতিষ্ঠান মেসার্স’কে এম করপোরেশন বরাবরের মতো এই নিলাম পরিচালনা করছে। প্রতিষ্ঠানটির ম্যানেজার মোহাম্মদ মোরশেদ সিভয়েসকে বলেন, বৃহস্পতিবার (৯ সেপ্টেম্বর) থেকে নিলামের জন্য দরপত্র আহ্বান করা হয়েছে। নিলামে অংশ নিতে হলে ৯ সেপ্টেম্বর থেকে আগামী ১৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত অফিস চলাকালীন সময়ে ২শ’ টাকা দরে ক্যাটালগ ও ১শ’ টাকা দরে দরপত্র সংগ্রহ করা যাবে। আগামী ১৫ সেপ্টেম্বর ও ১৬ সেপ্টেম্বর সকাল ৯টা থেকে দুপুর ২টার মধ্যে চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসের রাজস্ব কর্মকর্তা (প্রশাসন) ও চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে টেন্ডার বক্সে দরপত্র জমা দিতে হবে। পাশাপাশি আগামী ১২, ১৩ ও ১৪ সেপ্টেম্বর সকাল ৯টা থেকে বিকাল ৩টা পর্যন্ত বিক্রয়যোগ্য পণ্য পরিদর্শন করতে পারবেন বিডাররা।  

চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসের উপ-কমিশনার (নিলাম শাখা) মো. আল আমিন সিভয়েসকে বলেন, কাস্টমস কমিশনার মোহাম্মদ ফখরুল আলমের নির্দেশনায় নিলামের গতি বাড়ানো হয়েছে। প্রতি মাসে দুই থেকে তিনটি নিলাম ডাকার চেষ্টা করা হয়। আগামী ১৬ সেপ্টেম্বর বেলা আড়াইটায় ৯৩ লট পণ্য নিলামে তোলা হবে। বন্দরে আমদানিকৃত পণ্য যথাসময়ে খালাস না করলে তা নির্দিষ্ট সময় পর নিলামে তোলা হয়। কারণ খালাস না করা পণ্যগুলো বন্দরের ইয়ার্ডগুলো দখল করে রাখে। এতে কনটেইনার জটের সম্ভাবনা থাকে। তাই আমরা বন্দর কর্তৃপক্ষের সাথে সমন্বয় করে নিলামের পরিমাণ বাড়াচ্ছি। এর আগে গত ২৬ আগস্ট ৮৭ লট পণ্য নিলামে তোলা হয়েছিল। 

প্রসঙ্গত, বিদেশ থেকে আনা বিভিন্ন পণ্য খালাস করেন না আমদানিকারকরা। পাশাপাশি শুল্ক ফাঁকি দিয়ে আনতে গিয়ে কায়িক পরীক্ষায় আটক করা হয়। নিয়মনুযায়ী তাদের ৩০ দিনের মধ্যে এসব পণ্য খালাসের নির্দেশ দিয়ে নোটিশ দেওয়া হয়। নোটিশ দেওয়ার ১৫ দিনের মধ্যে পণ্য খালাস না নিলে এসব পণ্য নিলামে তোলে কাস্টমস হাউস কর্তৃপক্ষ।

-সিভয়েস/টিএম/এএ

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়