Cvoice24.com

অর্ডার নেওয়া বন্ধ করলো ইভ্যালি

সিভয়েস ডেস্ক

প্রকাশিত: ১১:৫৬, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২১
অর্ডার নেওয়া বন্ধ করলো ইভ্যালি

অর্থ আত্মসাৎ ও প্রতারণার দায়ে গ্রেপ্তার ইভ্যালির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মো. রাসেল ও তার স্ত্রী চেয়ারম্যান শামীমা নাসরিনকে গ্রেপ্তারের পরের দিন থেকে অর্ডার নেওয়া বন্ধ রেখেছে প্রতিষ্ঠানটি। যদিও গ্রেপ্তারের পরও বিভিন্ন পণ্যের অর্ডার নেওয়া চালু রাখে ইভ্যালি। সর্বশেষ শুক্রবার রাতে নতুন করে পণ্যের অর্ডার নেওয়া বন্ধ করার নোটিশ দেয় ইভ্যালি।

শনিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) রাত ১ টা ১৮ মিনিটে প্রতিষ্ঠানটির ফেসবুকে পেজে প্রকাশিত একটি নোটিশের মাধ্যমে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে।

নোটিশে বলা হয়েছে- ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২১-এর টি-টেন-এ আপনাদের রেসপন্সে আমরা অভিভূত। আমাদের পাশে থাকার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ। আমাদের প্রধান দুজন সিগনেটরি- সিইও এবং চেয়ারম্যানের অনুপস্থিতিতে, আমাদের সেলারদের রেগুলার বিল দিতে পারছি না। এজন্য আমাদের স্বাভাবিক ডেলিভারি কার্যক্রম বিলম্বিত হচ্ছে। তাই আপনাদের করা ১৭ সেপ্টেম্বরের টি-টেন-এর সব অর্ডার আপাতত রিকোয়েস্ট হিসেবে জমা থাকবে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়া মাত্রই আপনাদের টি-টেন-এর সব অর্ডার কনফার্ম করা হবে। অর্ডার কনফার্ম হলেই আপনারা পেমেন্ট সম্পন্ন করতে পারবেন।

এই নোটিশের পর আবারও এক নোটিশ জারি করে প্রতিষ্ঠানটি। নতুন নোটিশে অফিস সংক্রান্ত নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

এতে বলা হয়েছে- আপনাদের জন্যই আমাদের সকল আয়োজন। আর তাই বর্তমান পরিস্থিতি বিবেচনায়, আপনাদের সর্বোচ্চ সেবা দেয়ার লক্ষ্যে, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২১ রোজ শনিবার থেকে পরবর্তী নির্দেশনা না দেয়া পর্যন্ত ইভ্যালি এমপ্লয়িগণ নিজ নিজ বাসা থেকে অফিস কার্যক্রম পরিচালনা করবেন। 'হোম অফিস' পদ্ধতিতে ইভ্যালির সকল কার্যক্রম স্বাভাবিক নিয়মে চলমান থাকবে। আপনাদের আন্তরিক সহযোগিতা আমাদের একান্তভাবে কাম্য।

বৃহস্পতিবার (১৬ সেপ্টেম্বর) রাসেল ও তার স্ত্রী শামীমা নাসরিনের বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে গুলশান থানায় আরিফ বাকের নামে ইভ্যালির এক গ্রাহক একটি মামলাটি দায়ের করেন। মামলা দায়েরের পর বিকেলে মোহাম্মদপুরে রাসেলের বাসায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে তাদের র‍্যাব সদরদপ্তরে নিয়ে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।

এরপর সংবাদ সম্মেলনে র‍্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন বলেন, রাসেল প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানিয়েছেন, ইভ্যালির গ্রাহক সংখ্যা ৪৪ লাখেরও বেশি। শিশুদের নানা পণ্যের ব্যবসা ছেড়ে সামান্য পুঁজি নিয়ে রাসেল ই-কমার্স ব্যবসা শুরু করেন। ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ইভ্যালির দায় ছিল ৪০৩ কোটি টাকা, যেখানে তাদের সম্পদ ছিল ৬৫ কোটি টাকা। বিভিন্ন সংস্থার এসব প্রতিবেদনের বিষয়ে গ্রেপ্তার রাসেল র‍্যাবকে কোনো সদুত্তর দিতে পারেননি।

শুক্রবার (১৭ সেপ্টেম্বর) বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে ঢাকা মহানগর হাকিম আতিকুল ইসলাম ইভ্যালির সিইও ও প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যানকে তিন দিনের রিমান্ডে নেওয়ার অনুমতি দেন।

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়