Cvoice24.com

জাপানি গাড়িসহ ৭৫ লট পণ্যের নিলাম বুধবার

সিভয়েস প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ২০:৪৩, ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২১
জাপানি গাড়িসহ ৭৫ লট পণ্যের নিলাম বুধবার

চট্টগ্রাম বন্দরে পড়ে থাকা বিভিন্ন মডেলের তিনটি জাপানি গাড়ি, সাড়ে ১৫ হাজার কেজি ড্রাগন ফলসহ ৭৫ লট পণ্য নিলামে তুলছে চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউস। আগামী ২৯ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিত হবে এসব পণ্যের নিলাম। এর আগে গত ১৬ সেপ্টেম্বর ৯৩ লট পণ্য নিলামে তোলা হয়েছিল।

এবারের নিলামে ২৩ লাখ ৭৮ হাজার ৭৬২ টাকা ৭১ পয়সা মূল্যের টয়োটা মাইক্রোবাস, ২১ লাখ ৩৩ হাজার ৮৫৬ টাকা ৫৩ পয়সা মূল্যের নিশান মাইক্রোবাস, ১৭ লাখ ৮৬ হাজার কোটি ৭৭৬ কোটি ৯৪ পয়সা মূল্যের টয়োটা কেআর-৪২ মডেলের জাপানি গাড়ি নিলামে তোলা হচ্ছে।

এছাড়াও সালফিউরিক এসিড, টেক্সটাইল কেমিক্যাল, ড্রাগণ ফল, ফেব্রিক্স পণ্য, প্লাস্টিক হ্যাঙ্গার, থান কাপড়, জিংক অক্সাইড, আউটডোর ওয়াল টাইলস, রপ্তানিমুখী গার্মেন্টস পণ্য, জেন্টস আন্ডারওয়্যার, পেপার ট্যাগ, প্লাস্টিক ফিতা, ওয়েস্ট বেল্ট, পেইন্টিং পণ্য ফ্লাড লাইট, ল্যাবরেটরি সাপলাইস, হ্যান্ড গ্লোভস, ফ্লোর ম্যাট, এলুমিনিয়াম পাউডার, কটন ড্রকর্ড, এমপিইটি ফিল্ম, ইলেকট্রিক এয়ার পাম্প, ব্র্যান্ড ফেজার লিফট, পুস্তক মোটরসাইকেল টায়ার কসমেটিক্স পণ্য, ডিপ লাইনার, আই লাইনার, ক্যাপিটাল মেশিনারি, মেশিনারি পণ্য, পিভিসি মেশিন, ডায়নামিক ব্যালেন্সিং মেশিন, খালি ড্রাম, ওয়্যার রোপ, চেইন ক্যাবল, ইলেকট্রিক স্ট্যান্ড ফ্যান, বয়লার পণ্য, শার্ট ফেব্রিক্স, উল ফেব্রিক্স, আমব্রেলা ফেব্রিক্স, ওয়াল ফ্যান, ব্লক ও ব্লেড পণ্য, কম্বল, জিংক শিট নিলামে তোলা হচ্ছে।

চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউসের তথ্যমতে, এবারের নিলামে ১৫২ কেজি সালফিউরিক এসিড, ১ ব্যাগ টেক্সটাইল কেমিক্যাল, ১৫ হাজার ৫শ কেজি ড্রাগণ ফল, ১ হাজার ৩১৩ রোল ফেব্রিক্স পণ্য, ৬২ কার্টন প্লাস্টিক হ্যাঙ্গার, ২৪ লাখ ৬০৯ টাকা মূল্যের থান কাপড়, ২০ ব্যাগ জিংক অক্সাইড, ২ হাজার ৫৩০ কার্টন আউটডোর ওয়াল টাইলস, ৩১ হাজার ২০৫ টাকা মূল্যের রপ্তানিমুখী গার্মেন্টস পণ্য, ১৯৫ কার্টন জেন্টস আন্ডারওয়্যার, ৭ কার্টন পেপার ট্যাগ, ১৩৩ কেজি প্লাস্টিক ফিতা, ২১ কার্টন ওয়েস্ট বেল্ট, ৫০ কেজি পেইন্টিং পণ্য, ৫৯ কার্টন ফ্লাড লাইট, ২২ পিস ল্যাবরেটরি সাপলাইস, ৭৪ কার্টন হ্যান্ড গ্লোভস, ৫৭০ রোল ফ্লোর ম্যাট, ৭৬২ ব্যাগ এলুমিনিয়াম পাউডার, ৩ কার্টন কটন ড্রকর্ড, ৫৩ হাজার কেজি ওজনের এমপিইটি ফিল্ম, ৫১ কার্টন ইলেকট্রিক এয়ার পাম্প, ১৫ হাজার ৭শ কেজি ওজনের ব্র্যান্ড ফেজার লিফট, ১৫০ কেজি ওজনের পুস্তক নিলামে তোলা হচ্ছে।

তাছাড়া ২ হাজার ৬৭০ পিস মোটরসাইকেল টায়ার, ৯৫ হাজার ৮৭৯ টাকা মূল্যের কসমেটিক্স পণ্য, ৫ হাজার ৩৬৭ টাকার ডিপ লাইনার, ২ হাজার ২৪১ টাকার আই লাইনার, ১৩ লাখ ১২ হাজার ৩৪১ টাকার ক্যাপিটাল মেশিনারি, ৯৮ হাজার ৪২৫ টাকার মেশিনারি পণ্য, ১ লাখ ৯ হাজার ৩৬১ টাকার পিভিসি মেশিন, ১ ইউনিট ডায়নামিক ব্যালেন্সিং মেশিন, ৯১ পিস খালি ড্রাম, ২৭ হাজার ১৫০ কেজি ওয়্যার রোপ, ৩ লাখ ৪৫ হাজার ৫৯৬ কেজি ওজনের চেইন ক্যাবল, ৩০ পিস ইলেকট্রিক স্ট্যান্ড ফ্যান, ৬ কোটি ১২ লাখ ৪২ হাজার টাকার বয়লার পণ্য, ৪ হাজার ৭৭৪ কেজি ওজনের শার্ট ফেব্রিক্স, ৬২ লাখ ৫৮ হাজার ৮৮৭ কেজি ওজনের উল ফেব্রিক্স, ১ হাজার ৪৩০ কেজি ওজনের আমব্রেলা ফেব্রিক্স, ১৮ পিস ওয়াল ফ্যান, ৫ লাখ ৭৭ হাজার ২০৯ টাকার ব্লক ও ব্লেড পণ্য, ৪৬ রোল কম্বল, ১৩ লাখ ৮৯ হাজার ২৯২ টাকার জিংক শিট পণ্য উঠছে নিলামে। 

সরকারি নিলাম পরিচালনাকারী প্রতিষ্ঠান মেসার্স’কে এম করপোরেশন বরাবরের মতো এই নিলাম পরিচালনা করছে। প্রতিষ্ঠানটির ম্যানেজার মোহাম্মদ মোরশেদ সিভয়েসকে বলেন, বুধবার (২২ সেপ্টেম্বর) থেকে নিলামের জন্য দরপত্র আহ্বান করা হয়েছে। নিলামে অংশ নিতে হলে ২২ সেপ্টেম্বর থেকে আগামী ২৮ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত অফিস চলাকালীন সময়ে ২শ টাকা দরে ক্যাটালগ ও ১শ টাকা দরে দরপত্র সংগ্রহ করা যাবে। আগামী ২৮ সেপ্টেম্বর ও ২৯ সেপ্টেম্বর সকাল ৯টা থেকে দুপুর ২টার মধ্যে চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসের রাজস্ব কর্মকর্তা (প্রশাসন) ও চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে টেন্ডার বক্সে দরপত্র জমা দিতে হবে। পাশাপাশি আগামী ২৬ ও ২৭ সেপ্টেম্বর সকাল ৯টা থেকে বিকাল ৩টা পর্যন্ত বিক্রয়যোগ্য পণ্য পরিদর্শন করতে পারবেন বিডাররা।

চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসের উপ-কমিশনার (নিলাম শাখা) আলী রেজা হায়দার সিভয়েসকে বলেন, বন্দরে আমদানিকৃত পণ্য যথাসময়ে খালাস না করলে তা নির্দিষ্ট সময় পর নিলামে তোলা হয়। কারণ খালাস না করা পণ্যগুলো বন্দরের ইয়ার্ডগুলো দখল করে রাখে। এতে কনটেইনার জটের সম্ভাবনা থাকে। তাই আমরা বন্দর কর্তৃপক্ষের সাথে সমন্বয় করে প্রতি মাসে দুই থেকে তিনটি নিলাম ডাকার চেষ্টা করি। আগামী ২৯ সেপ্টেম্বর বেলা আড়াইটায় ৭৫ লট পণ্য নিলামে তোলা হবে। এর আগে গত ১৬ সেপ্টেম্বর ৯৩ লট পণ্য নিলামে তোলা হয়েছিল।  

প্রসঙ্গত, বিদেশ থেকে আনা বিভিন্ন পণ্য খালাস করেন না আমদানিকারকরা। পাশাপাশি শুল্ক ফাঁকি দিয়ে আনতে গিয়ে কায়িক পরীক্ষায় আটক করা হয়। নিয়মনুযায়ী তাদের ৩০ দিনের মধ্যে এসব পণ্য খালাসের নির্দেশ দিয়ে নোটিশ দেওয়া হয়। নোটিশ দেওয়ার ১৫ দিনের মধ্যে পণ্য খালাস না নিলে এসব পণ্য নিলামে তোলে কাস্টমস হাউস কর্তৃপক্ষ।

-সিভয়েস/টিএম/এএ

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়