Cvoice24.com

আগের দামে ফিরছে খাতুনগঞ্জের আদা রসুন, ঝাঁজ নেই পেঁয়াজে

সিভয়েস প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ২১:০৯, ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২১
আগের দামে ফিরছে খাতুনগঞ্জের আদা রসুন, ঝাঁজ নেই পেঁয়াজে

ফাইল ছবি।

লকডাউনে ক্রেতা সংকট ও পণ্য পচে যাওয়ার আতঙ্কে কেনা দামের অর্ধেকে আদা রসুন বিক্রি করেছিলেন খাতুনগঞ্জের ব্যবসায়ীরা। ব্যবসার অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখতে ভ্যানওয়ালার কাছেও জলের দামে পণ্য বিক্রি করেছেন তারা। এরপরও শতকোটি টাকার আদার ঠাঁই হয় ময়লার ভাগাড়ে। লকডাউন শিথিলের পর দুমাসে স্বাভাবিক বেচাকেনায় ফিরতে না পারলেও সপ্তাহখানেক ধরে আদা-রসুনের ভালো বাজার পাচ্ছেন তারা। অন্যদিকে পেঁয়াজে খাতুনগঞ্জের বাজার ভরে যাওয়ায় ঝাঁজ নেই দামে। 

লকডাউনে পচে যাওয়ার আতঙ্কে ১২০ টাকার চায়না আদা ৫০ থেকে ৭০ টাকায় এবং মিয়ানমারের আদা ২০-৩৫ টাকায় বেচাকেনা হয়েছে। আর এখন চায়না আদা ১শ টাকায় এবং মিয়ানমারের আদা ৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। অন্যদিকে চায়না রসুন ৯০ টাকার রসুন ১শ টাকা ও ৩৫ টাকার দেশি রসুন বিক্রি হচ্ছে বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকায়। মানভেদে রসুনের কেজিতে তাদের গচ্চা গেছে ১০ থেকে ১৫ টাকা।

ব্যবসায়ীরা বলছেন, ক্রেতা সংকট থাকায় কেনার অর্ধেক দামে পণ্য বিক্রি করতে হয়েছিল।   ধীরে ধীরে চাহিদা বাড়ায় বেচাবিক্রি বাড়ছে। তাই সপ্তাহখানেক ধরে আদা রসুনের কিছুটা দাম পাওয়া যাচ্ছে। কিন্তু তা অন্যান্য সময়ের মতো স্বাভাবিক দাম না। দীর্ঘদিন আতঙ্কে তারা বিনিয়োগ না করলেও এখন বাজার ধরতে বাধ্য হয়ে বিনিয়োগও করতে হচ্ছে তাদের। তবে সেটা স্বাভাবিক বিনিয়োগের তুলনায় অনেক কম। 

খাতুনগঞ্জের কাঁচাপণ্যের আড়ত হামিদুল্লাহ মার্কেট ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ ইদ্রিস সিভয়েসকে বলেন, দীর্ঘদিন ধরে লকডাউনের কারণে আদা রসুনের দাম পায়নি ব্যবসায়ীরা। অর্ধেক কেনা দামে পণ্য বিক্রি করতে হয়েছিল। ক্রেতা বাড়ায় এখন আদা রসুনের দামটা বেড়েছে। তবে সরবরাহ বেশি হওয়ায় পেঁয়াজের দাম নেই। কেনাদামেই বিক্রি করতে হচ্ছে আমাদের। দেশি পেঁয়াজের মজুদের পাশাপাশি প্রতিদিন খাতুনগঞ্জে ১০ থেকে ১১ ট্রাক ভারতীয় পেঁয়াজ ঢুকছে। প্রতিকেজি পেঁয়াজে পরিবহণ, শ্রমিকের মজুরিসহ বিভিন্ন খরচ যোগ করলে ৩ টাকা বেশি খরচ পড়ে। তবুও বাজার ধরতে হিলি থেকে ৩৫ টাকায় পেঁয়াজ কিনলে, খাতুনগঞ্জেও ওই দামে বিক্রি করতে হচ্ছে। 


 

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়