Cvoice24.com

বঙ্গবন্ধু শিল্পনগরে অস্টেলিয়ান বিনিয়োগ প্রত্যাশা চেম্বার সভাপতির

সিভয়েস প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ১৯:০৮, ১১ অক্টোবর ২০২১
বঙ্গবন্ধু শিল্পনগরে অস্টেলিয়ান বিনিয়োগ প্রত্যাশা চেম্বার সভাপতির

বাংলাদেশ-অস্ট্রেলিয়ার মধ্যে প্রচুর সম্ভাবনা থাকা সত্বেও বাণিজ্য ও বিনিয়োগ কাঙ্খিত পর্যায়ে পৌঁছেনি। তাই বঙ্গবন্ধু শিল্প নগরে অস্ট্রেলিয়ান ইকোনমিক জোন স্থাপন এবং বিনিয়োগ প্রত্যাশা করেন চট্টগ্রাম চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাষ্ট্রি’র সভাপতি মাহবুবুল আলম।

রোববার (১০ অক্টোবর) সন্ধ্যায় নগরের একটি হোটেলে বাংলাদেশে নিযুক্ত অস্ট্রেলিয়ান হাইকমিশনার জেরেমি ব্রুয়ারের সাথে এক মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

দু’দেশের সম্পর্কোন্নয়ন ও ব্যবসায়িক সম্ভাবনার উপর গুরুত্বারোপ করে চট্টগ্রাম চেম্বার সভাপতি মাহবুবুল আলম বলেন, বাংলাদেশ-অস্ট্রেলিয়ার বাণিজ্য ও বিনিয়োগ কাঙ্খিত পর্যায়ে পৌঁছেনি। চট্টগ্রামে সরকারের মেগা প্রকল্পগুলো বিশেষ করে বে-টার্মিনাল নির্মাণ শেষে বাংলাদেশের অর্থনীতিতে বৈপ্লবিক পরিবর্তন এবং ব্যবসায়ীদের কস্ট অব ডুয়িং বিজনেস হ্রাস পাবে। তাই অস্ট্রেলিয়ান সরকার বঙ্গবন্ধু শিল্প নগরে অস্ট্রেলিয়ান ইকোনমিক জোন স্থাপন এবং বিনিয়োগ করবে বলে আশা করছি। পাশাপাশি অস্ট্রেলিয়ান স্ট্যান্ডার্ড কারিগরি ট্রেনিং সেন্টার এবং যৌথ রিসার্চ কার্যক্রম গ্রহণের অনুরোধ জানান তিনি। 

উদ্যোক্তাদের এক সাথে কাজ করার আহ্বান জানিয়ে চিটাগাং চেম্বার সিনিয়র সহ-সভাপতি তরফদার মোঃ রুহুল আমিন বলেন, বাংলাদেশ ও অস্ট্রেলিয়ার মধ্যে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বৃদ্ধিতে উভয়দেশের বেসরকারি উদ্যোক্তাদের আরো বেশী এক সাথে কাজ করা প্রয়োজন। পাশাপাশি মাতারবাড়ি গভীর সমুদ্র বন্দর, চট্টগ্রাম বন্দরের উন্নয়নে অস্ট্রেলিয়ান বিনিয়োগ দরকার। দেশের অবকাঠামো, টেলিযোগাযোগ, জ্বালানী, ব্লু-ইকোনমিতে অস্ট্রেলিয়ার সার্বিক সহযোগিতা কামনা করেন তিনি। 

করোনা মহামারীর কারণে উভয়দেশের মধ্যে বাণিজ্যে ছন্দপতন ঘটেছে বলে মন্তব্য করে অস্ট্রেলিয়ার হাইকমিশনার জেরেমি ব্রুয়ার বলেন, স্বাধীনতা পরবর্তী থেকে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে অস্ট্রেলিয়া সার্বিক সহযোগিতা প্রদান করে আসছে। আগামী দিনগুলোতে বাংলাদেশ-অস্ট্রেলিয়ার অধিকতর বাণিজ্য বৃদ্ধি ও সম্পর্কোন্নয়নে কাজ করা হবে। আগামী বছর দু’দেশের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনের ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে হাই কমিশনের পক্ষ থেকে বিভিন্ন কর্মসূচী গ্রহণ করা হবে বলে জানান তিনি।

সম্প্রতি অস্ট্রেলিয়া-বাংলাদেশের মধ্যে ট্রেড এন্ড ইনভেস্টমেন্ট ফ্রেইমওয়ার্ক এগ্রিমেন্ট (টিফা) চুক্তির প্রসংগ উল্লেখ করে তিনি বলেন, এই প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে দু’দেশের মধ্যে ব্যবসা ও বিনিয়োগ বৃদ্ধি, যাবতীয় সমস্যাগুলো দূর করতে কার্যকর ভূমিকা রাখা সম্ভব হবে। বাংলাদেশের সমৃদ্ধি ও উন্নয়নে অস্ট্রেলিয়ান সরকারের সার্বিক সহযোগিতার আশ্বাস প্রদান করেন তিনি।

এসময় চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাষ্ট্রির ১ম সহ-সভাপতি শওকত আলী চৌধুরী, বিএসএম গ্রুপের চেয়ারম্যান আবুল বশর চৌধুরী, আবুল খায়ের গ্রুপের পরিচালক শাহ শফিকুল ইসলাম, সান শাইন গ্রামার স্কুল এন্ড কলেজের প্রিন্সিপাল সাফিয়া রহমান, হাই কমিশনের সেকেন্ড সেক্রেটারী ডানকান ম্যাককালা ও কমিশনের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়