Cvoice24.com

কারখানা স্থাপন করে কোরিয়ায় বাংলাদেশি পণ্যের বাজার সম্প্রসারণ করতে হবে

সিভয়েস ডেস্ক

প্রকাশিত: ২০:৪০, ১৭ অক্টোবর ২০২১
কারখানা স্থাপন করে কোরিয়ায় বাংলাদেশি পণ্যের বাজার সম্প্রসারণ করতে হবে

দক্ষিণ কোরিয়া বাংলাদেশে অন্যতম প্রধান বিনিয়োগকারী দেশ। অথচ বাংলাদেশ থেকে কোরিয়াতে রপ্তানি হয় মাত্র ৩শ’ মিলিয়ন ডলারের তৈরি পোশাক। কাজেই আমাদের তৈরি পোশাক রপ্তানিতে রুলস অব অরিজিন সহজীকরণ, প্রধান আমদানিকারকদের সঙ্গে বাংলাদেশি রপ্তানিকারকদের যোগাযোগ স্থাপন এবং যৌথ উদ্যোগে আরএমজি ও টেক্সটাইল খাতে কারখানা স্থাপন করে কোরিয়া বাংলাদেশি পণ্যের বাজার সম্প্রসারণ করা প্রয়োজন। 

রোববার (১৭ অক্টোবর) সকালে চিটাগাং চেম্বারের ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারের বঙ্গবন্ধু কনফারেন্স হলে বাংলাদেশে নিযুক্ত দক্ষিণ কোরিয়ার রাষ্ট্রদূত লী জাং কেউনের সঙ্গে এক মতবিনিময় সভায় চট্টগ্রাম চেম্বারের সভাপতি মাহবুবুল আলম এসব কথা বলেন।

বাংলাদেশ-কোরিয়ার বাণিজ্য ঘাটতি মেটাতে প্রয়োজনীয় উদ্যোগের উপর গুরুত্ব দিয়ে মাহবুবুল আলম বলেন, ‘দক্ষিণ কোরিয়া বাংলাদেশের বিনিয়োগের পরিমাণ প্রায় ১.২ বিলিয়ন ডলার। কোরিয়াতে বাংলাদেশের রপ্তানি ৩৫০ মিলিয়নের কম। অন্যদিকে কোরিয়া থেকে আমদানি প্রায় এক বিলিয়ন ডলারেরও বেশী। কাজেই এই বিশাল বাণিজ্য ঘাটতি মেটাতে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণ করা প্রয়োজন। কোরিয়া প্রায় ১২-১৩ বিলিয়ন ডলারের তৈরি পোশাক আমদানি করে থাকে। যেখানে বাংলাদেশ থেকে কোরিয়াতে রপ্তানি হয় মাত্র ৩শ’ মিলিয়ন ডলারের তৈরি পোশাক।’

সভায় কোরিয়ান রাষ্ট্রদূত লী জাং কেউন বলেন, ‘বাংলাদেশ ও কোরিয়ার মধ্যে চমৎকার বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক রয়েছে। বাংলাদেশি প্রায় ৯৫ শতাংশ পণ্য কোরিয়ান বাজারে প্রবেশের ক্ষেত্রে শুল্ক ও কোটামুক্ত সুবিধা পেয়ে থাকে। বাংলাদেশ-কোরিয়ার তৃতীয় বৃহত্তম ওডিএ গ্রহণকারী দেশ। তবে আগামী দিনগুলোতে পারস্পরিক সহযোগিতার ভিত্তিতে উভয় দেশ ব্যবসা-বাণিজ্য ও বিনিয়োগের ক্ষেত্রে দ্বিপাক্ষিকভাবে আরও সম্পর্ক উন্নয়ন করতে পারে।’

কোরিয়া-বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি মোস্তফা কামাল বলেন, দুইশ এর অধিক কোরিয়ান কোম্পানী বাংলাদেশে সফলভাবে ব্যবসায়িক কর্মকাণ্ড পরিচালনা করছে। দু’দেশের মধ্যে বাণিজ্য বৃদ্ধি পাচ্ছে।’

কোরিয়া ট্রেড সেন্টারের ডাইরেক্টর জেনারেল কিম ডং হাইঅন বলেন, ‘বাংলাদেশসহ পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে ব্যবসা ও বিনিয়োগ সম্প্রসারণ আমাদের অন্যতম প্রধান কাজ। বাংলাদেশের ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কোরিয়ান কোম্পানীগুলো ও সরকারের মধ্যে যোগাযোগ স্থাপনের ক্ষেত্রে আমরা সেতুবন্ধন হিসেবে কাজ করে থাকি।’ 

চট্টগ্রাম কোরিয়ান কমিউনিটির সভাপতি জিন হিউক পাইক বলেন, ‘চট্টগ্রামে ৫০টি কোরিয়ান কোম্পানী অত্যন্ত সফলতার সঙ্গে ব্যবসা পরিচালনা করছে। তিনি ব্যবসায়িক কর্মকাণ্ড পরিচালনার ক্ষেত্রে চিটাগাং চেম্বারের সহযোগিতা কামনা করে ভবিষ্যতে এ সম্পর্ক আরও বেগবান হবে বলে আশা প্রকাশ করেন।

এ সময় আরও বক্তব্য রাখেন চেম্বারের সিনিয়র সহ-সভাপতি তরফদার মো. রুহুল আমিন, কোরিয়া-বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাষ্ট্রির সভাপতি মোস্তফা কামাল, চেম্বারের সাবেক সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার আলী আহমেদ, দৈনিক আজাদীর সম্পাদক এম. এ. মালেক, দৈনিক পূর্বকোণের ব্যবস্থাপনা সম্পাদক জসিম উদ্দিন চৌধুরী, চেম্বার পরিচালক অঞ্জন শেখর দাশ, ইঞ্জিনিয়ার ইফতেখার হোসেন ও সাজির আহমেদ, চট্টগ্রাম বন্দরের সদস্য (হার্বার এন্ড মেরিন) কমোডর মো. মোস্তাফিজুর রহমান, কোরিয়া ট্রেড সেন্টারের ডাইরেক্টর জেনারেল কিম ডং, চট্টগ্রাম কোরিয়ান কমিউনিটির সভাপতি জিন হিউক পাইক, কোরিয়ান ইপিজেড প্রেসিডেন্ট জাহাঙ্গীর সাদত, চেম্বারের প্রাক্তন পরিচালক মাহফুজুল হক শাহ, রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর পরিচালক শারমিন আক্তার, চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসের যুগ্ম কমিশনার তোফায়েল আহমদ, বিএসআরএম গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আমীর আলী হুসেইন, উইম্যান চেম্বারের সিনিয়র সহ-সভাপতি ও এফবিসিসিআই’র পরিচালক ডা. মুনাল মাহবুব এবং অপর সিনিয়র সহ-সভাপতি আবিদা মোস্তফা। 

অন্যান্যদের মধ্যে চেম্বার পরিচালক মো. অহীদ সিরাজ চৌধুরী (স্বপন), জহিরুল ইসলাম চৌধুরী (আলমগীর), হাসনাত মো. আবু ওবাইদা, নাজমুল করিম চৌধুরী শারুন, মো. ইফতেখার ফয়সাল, এস. এম. তাহসিন জোনায়েদ, তানভীর মোস্তফা চৌধুরী ও মোহাম্মদ নাসিরুল আলম (ফাহিম), কোরিয়ান দূতাবাসের ফার্স্ট সেক্রেটারী লী জংগিউল, কোরিয়ান কমিউনিটি ইন বাংলাদেশের চেয়ারম্যান ইয়ংগো ইউ, ফিলিপাইনস’র অনারারী কনস্যুল জেনারেল এম. এ. আউয়াল, চট্টগ্রাম-দক্ষিণ আফ্রিকার অনারারী কনসাল সোলায়মান শেঠ, ইয়ংওয়ান গ্রুপ বাংলাদেশের ব্যবস্থাপনা পরিচালক শেখ শাহীনুর রহমানসহ চট্টগ্রাম ইপিজেড-এ বিভিন্ন কোরিয়ান প্রতিষ্ঠানের কর্ণধার, কোরিয়া-বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাষ্ট্রি’র পরিচালকবৃন্দসহ বিভিন্ন সরকারি দপ্তরের উর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়