রপ্তানি পণ্যের তালিকা হবে অনলাইনে
সিভয়েস প্রতিবেদক
পণ্য দ্রুত জাহাজীকরণ করতে রপ্তানি পণ্যের তালিকা অনলাইনে জমা নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে চট্টগ্রাম কাস্টমস। সোমবার (২৫ অক্টোবর) নেওয়া এই সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে সময়সীমাও বেঁধে দিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি। আগামী ১০ নভেম্বরের মধ্যে এ সিদ্ধান্ত কার্যকর করতে নির্দেশনাও দেওয়া হয়েছে।
চট্টগ্রাম কাস্টমস সূত্রে জানা গেছে, শুল্কায়ন শেষে খালাস করা আমদানি পণ্যের তালিকা এতদিন অনলাইনে জমা দেয়ার ব্যবস্থা ছিল। তবে খালাস করা রপ্তানি পণ্যের তালিকা জমা দেয়া হতো প্রথাগত পদ্ধতিতে। এতোদিন রপ্তানি পণ্য জাহাজে তোলার আগে বেসরকারি আইসিডিতে নিয়ে কাগজে পণ্যের তালিকা লিখে নেয়া হতো। এতে সময় নষ্ট হবার পাশাপাশি নানা ভোগান্তি পোহাতে হতো রপ্তানি সংশ্লিষ্টদের। তাই সমস্যাটি সমাধানে অনলাইনে রপ্তানি পণ্যের তালিকা জমা নেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কাস্টমস কর্তৃপক্ষ।
কাস্টমস কর্মকর্তারা বলছেন, ডিজিটালাইজেশনের অংশ হিসেবে অনলাইনে রপ্তানি পণ্যের তালিকা জমা নেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। প্রথমে পরীক্ষামূলকভাবে চালু করা হবে। পরবর্তীতে পুরোদমে সিস্টেমটি বাস্তবায়ন করা হবে। এতে করে রপ্তানিকারকদের পণ্যে জাহাজিকরণ সংক্রান্ত যাবতীয় জটিলতা ও ভোগান্তি দূর হওেয় যাবে।
চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসের কমিশনার মোহাম্মদ ফখরুল বলেন, আমদানি-রপ্তানির ক্ষেত্রে পণ্য তালিকা তৈরি করতে হয়। আগে শুল্কায়ন শেষে খালাসের আগে আমদানি পণ্যের তালিকা অনলাইনে জমা দেয়া হতো। এখন রপ্তানি পণ্য জাহাজিকরণ করার আগে এর তালিকাও অনলাইনে জমা দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। এটি ১০ নভেম্বরের মধ্যে বাস্তবায়নের জন্য সময়সীমা বেঁধে দেয়া হয়েছে। প্রথমে পরীক্ষামূলকভাবে সিস্টেমটি চালু করা হবে। এটি বাস্তায়ন হলে রপ্তানি সংশ্লিষ্টদের ভোগান্তি কমে যাবে, দ্রুত পণ্যের জাহাজীকরণ করা সম্ভব হবে।
উল্লেখ্য, পণ্য আমদানি-রপ্তানির ক্ষেত্রে প্রতিটি জাহাজের পণ্য সম্পর্কে তথ্য দিয়ে তালিকা তৈরি করে কাস্টমস কর্মকর্তার কাছে জমা দিতে হয়। এ তালিকায় জাহাজের নাম, জাহাজের নম্বর, রোটেশন নং, রপ্তানি বা আমদানিকারকের নাম-ঠিকানা, পণ্যের সংক্ষিপ্ত বিবরণ, পণ্যের পরিমাণ, বিএল নম্বর ও পণ্যের গন্তব্য সম্পর্কিত তথ্য দিতে হয়।